জলোচ্ছ্বাস হলো সমুদ্রের জল ফুলে উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানা। এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিভিন্ন কারণে এটা হতে পারে, সাধারণত ঘূর্ণিঝড়, সুনামির কারণে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। সুনামির ক্ষেত্রে সমুদ্রের জল সর্বোচ্চ প্রায় ৬৫ মিটার উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এধরনের জলোচ্ছ্বাসে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আবার সংকীর্ণ ও অগভীর নদীপথ অথবা মোহনায় প্রবল জোয়ারের কারণে সৃষ্ট তরঙ্গকেও জলোচ্ছ্বাস বলা হতে পারে।[]

জোয়ারের কারণে সংকীর্ণ জলপথে জলোচ্ছ্বাস
যুক্তরাজ্যের আর্নসাইড জলোচ্ছ্বাসের ভিডিও
আলাস্কার আপার কুক ইনলেটের জলোচ্ছ্বাস

বর্ণনা

সম্পাদনা

জলোচ্ছ্বাস বিশ্বব্যাপী কম জায়গায় তেই ঘটে। জলোচ্ছ্বাস সাধারণত একটি বৃহৎ জোয়ারের পরিসীমা, যা উচ্চ এবং নিম্ন জোয়ারের মধ্যে প্রায় ৬ মিটার (২০ ফু)* উঁচু হয়ে থাকে, এবং অগভীর সংকীর্ণ নদী বা হ্রদ দিয়ে বিস্তৃত উপসাগরের মধ্যে বিস্তৃত করা হয়।[] ফানেলের মত আকৃতি শুধুমাত্র জোয়ারের পরিসীমা বৃদ্ধি করে না এটি বন্যার জোয়ারের সময়কালও কমিয়ে দিতে পারে যাতে বন্যায় হঠাৎ করে পানির স্তর বৃদ্ধি পায়।

 
উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের আরাগুয়ারি নদীর মুখের কাছে একটি অনিয়মিত জলোচ্ছ্বাসের দৃশ্য। দৃশ্যটি বিমান থেকে প্রায় ৩০ মি (১০০ ফু) উচ্চতায় ধারণ করা হয়েছে।

একটি জলোচ্ছ্বাস, বিভিন্ন আকার নিতে পারে। এটি হতে পারে সমুদ্রের ছোটো ঢেউয়ের মতো, যে ক্ষেত্রে তরঙ্গের গতি পথের সম্মুখ অংশ তথা তরঙ্গমুখ ধীরে ধীরে উচ্চতা হারাতে থাকে (রোলার হিসেবে পরিচিত) ― হাইড্রোলিক জাম্পের মতো।[][][] আরেকটি ধরন হল আনডিউলার জলোচ্ছ্বাস, যেখানে পানির গতিপথের একটি মসৃণ তরঙ্গমুখ থাকে এবং এর পিছে থাকে অগৌণ তরঙ্গগুচ্ছ, যাকে ওয়েল্পস বলা হয়। বড় জলোচ্ছ্বাসগুলো জাহাজ চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনিরাপদ হতে পারে কিন্তু এটি রিভার সার্ফিংয়ের সুযোগ করে দেয়।[]

জলোচ্ছ্বাসের দুটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো তীব্র অস্থিরতা এবং প্রবাহ এগিয়ে যাওয়ার সময়কার অশান্ত মিশ্রণ (টার্বুলেন্ট মিক্সিং) ও এর সাথে যুক্ত হওয়া গর্জন। জোয়ারের দৃশ্যমান পর্যবেক্ষণ ক্রমবর্ধমান পানির অস্থির প্রকৃতিকে তুলে ধরে। জলোচ্ছ্বাস জলাশয় এলাকায় এই শক্তিশালী অশান্ত মিশ্রণকে প্ররোচিত করে এবং এর প্রভাব যথেষ্ট দূরত্বেও অনুভূত হতে পারে। বেগ পর্যবেক্ষণ জলোচ্ছ্বাসের গতিপথ এবং বেগের ওঠানামার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রবাহের দ্রুত হ্রাসকে ইঙ্গিত করে।[][] জলোচ্ছ্বাসের প্রবাহ বেশ শক্তিশালী গর্জন তৈরি করে, এবং এর সাথে যুক্ত হয় প্রবাহের উত্তাল সম্মুখ অংশ, ওয়েল্পস, প্রবাহের রোলারে আটকে পড়া বায়ু বুদবুদ, তীরবর্তী পলি ও প্রবাহের গতিপথের মাটি ক্ষয়, এবং পথে পড়া কোনো বাধার সাথে সংঘর্ষ। একটি জলোচ্ছ্বাস একটি শক্তিশালী গর্জন তৈরি করে যা অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায় কারণ এর ফ্রিকোয়েন্সি কম হওয়ায় এটি দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। নিম্ন-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দটি অগ্রগতি রোলারের বৈশিষ্ট্যযুক্ত যেখানে বড় আকারের বায়ু বুদবুদগুলি শাব্দিকভাবে সক্রিয় থাকে এবং শক্তিশালী-শব্দ উৎপাদনে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে।[]

ব্যুৎপত্তি

সম্পাদনা

জলোচ্ছ্বাস শব্দটি প্রাচীন নর্স ভাষার শব্দ "বারা" থেকে প্রাচীন ইংরেজীর মাধ্যমে উদ্ভূত, যার অর্থ "তরঙ্গ" বা " ফোলা

প্রভাব

সম্পাদনা

জলোচ্ছ্বাস বিপজ্জনক হতে পারে। কিছু নদী যেমন ফ্রান্সের সেন, কানাডার পেটিটকোডিয়াক নদী, এবং মেক্সিকোর কলোরাডো নদীর জলোচ্ছ্বাসের জন্য জঘন্য খ্যাতি রয়েছে। চীনে, কিয়ানতাং নদীর তীরে সতর্কতা জারি করা সত্ত্বেও প্রতি বছর বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটে যারা জলোচ্ছ্বাসের মধ্যে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের চেষ্টা করে।[] জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় অঞ্চলে জাহাজ এবং নৌ চলাচলের উপর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, পাপুয়া নিউ গিনির (মাছি এবং বামু নদী), মালয়েশিয়া (বাতাং লুপারে বেনাক) এবং ভারতের (হুগলী নদী)।

অন্যদিকে, জোয়ার-ভাটা আক্রান্ত জলাশয় সমৃদ্ধ খাদ্য অঞ্চল এবং বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর প্রজনন ক্ষেত্র।[] এস্টুয়ারিন অঞ্চল বিভিন্ন দেশীয় মাছের প্রজাতির উৎপত্তিস্থল এবং প্রজনন ক্ষেত্র। জলোচ্ছ্বাস দ্বারা প্ররোচিত এরেশন অনেক প্রজাতির মাছ এবং চিংড়ির বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। জলোচ্ছ্বাস এছাড়াও বিনোদনমূলক অন্তর্দেশীয় সার্ফিং করার সুযোগ প্রদান করে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা

সম্পাদনা

যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের ডি নদী [], গ্যারোন [১০][১১][১২][১৩][১৪] , ফ্রান্সে স্যালুন,[১৫], অস্ট্রোলিয়ার ডালি নদী[১৬][১৭] এবং চীনের কিয়ান্টাং নদীর মোহনায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হয়েছে।[১৮][১৯] জোয়ারের প্রবাহের শক্তি পরিমাপ প্রায়ই বৈজ্ঞানিক পরিমাপের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, ডি নদীতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজের ঘটনা থেকে এটি প্রমাণিত হয়েছে।

জলোচ্ছ্বাস সহ নদী এবং উপসাগর

সম্পাদনা

নদী এবং উপসাগর যেগুলি জলোচ্ছ্বাস প্রদর্শনের জন্য পরিচিতি ওগুলো নিচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[][২০]

এশিয়া

সম্পাদনা
  • গঙ্গা - ব্রহ্মপুত্র, ভারত এবং বাংলাদেশ
  • সিন্ধু নদী, পাকিস্তান
  • সীততাং নদী, বার্মা
  • কিয়ানতাং নদী, চীন, পৃথিবীর বৃহত্তম জলোচ্ছ্বাসের নদী।[][১৯] এটিতে ৯ মি (৩০ ফু) পর্যন্ত উঁচু এবং ৪০ কিমি/ঘ (২৫ মা/ঘ) গতির জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • মালায়েশিয়ার শ্রী আমানের নিকটে বাতাং লুপার বা লুপার নদী। জলোচ্ছ্বাসের জন্য স্থানীয়ভাবে বেনাক নামে পরিচিত।[]
  • বাতাং সাদং বা সাদং নদী, সরওয়াক, মালয়েশিয়া।
  • বোনো, কাম্পার নদী, ইন্দোনেশিয়া। স্থানীয়রা এই নদীতে জাহাজ ডুবার আশঙ্কা করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এটিতে ১৩০ কিমি (৮১ মা) পর্যন্ত গতিবেগের জলোচ্ছ্বাস প্রবাহের রেকর্ড রয়েছে, তবে সাধারণত ৪০ কিমি (২৫ মা) বেগের সাথে ৬ মি (২০ ফু) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।[২১]

অস্ট্রেলিয়া

সম্পাদনা

যুক্তরাজ্য

সম্পাদনা
 
২০ সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে ট্রেন্ট এজির পশ্চিম স্টকউইথ, নটিংহামশায়ার এর জলোচ্ছ্বাস
 
লিনকনশায়ার, জেনসবারো তে ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে
  • ডি ওয়েলস নদী, ইংল্যান্ড
  • মিরসি নদী, কিয়ানতাং এর পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়। এটিতে ১.৭ মিটার (৬ ফু) অবধি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়। এটি ম্যানচেস্টার জাহাজ খালের পাশে হওয়ায় এর চারপাশে জলোচ্ছ্বাস তৈরি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
  • সেভার্ন নদী, ওয়েলস ও ইংল্যান্ড। এখানে ২ মিটার (৭ ফু) পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • রিভার ট্রেন্টে, ইংল্যান্ড। এখানে ১.৫ মিটার (৫ ফু) পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • পেরেট নদী
  • ওয়েলল্যান্ড নদী
  • রিভার ক্যান্টের আরনসাইড বোর
  • রিভার গ্রেট ওউস
  • ইয়র্কশায়ার নদী (এটি "দ্য এজির" নামেও পরিচিত।)
  • ইডেন নদী
  • এস্ক নদী
  • নিত নদীর
  • লুনা নদী, ল্যাঙ্কাশায়ার
  • রিভ রিবল, ল্যাঙ্কাশায়ার
  • নদী ইয়ালাম, ডিভন
  • লেভেন নদী, কুম্বরিয়া
 
নদীর তীরে জলোচ্ছ্বাস

বেলজিয়াম

সম্পাদনা
  • ডুরমে, ফ্ল্যান্ডার্স

ফ্রান্স

সম্পাদনা

ফরাসি ভাষায় এই ঘটনাকে সাধারণত আন মাস্কারেটের নামে উল্লেখ করা হয়।[২২] তবে স্থানীয়ভাবে পছন্দসই নামে ডাকা হয়।[২০]

  • সাইন ১৯৬০ এর দশক অবধি স্থানীয়ভাবে লা ব্যারে নামে পরিচিত ছিল। তবে ড্রেজিং এর কারণে এখন জলোচ্ছ্বাস দেখা যায় না।[২০]
  • কুয়েসনন, সেলুন, এবং সে সহ মন্ট-সেন্ট-মিশেল উপসাগর
  • আর্গুয়েনন
  • বাই ডি লা ফ্রান্নে
  • বীর
  • সিনেন
  • ভিলেন, স্থানীয়ভাবে নাম লে মাস্কারিন
  • ডর্ডোগন
  • গারন

পাপুয়া নিউ গিনি

সম্পাদনা
  • ফ্লাই রিভার [২৩]
  • তুরমা নদী

উত্তর আমেরিকা

সম্পাদনা

যুক্তরাষ্ট্র

সম্পাদনা
 
পেটিকোডিয়াক নদীর তীরে জলোচ্ছ্বাস
  • আলাস্কার কুক ইনলেট এর টার্নগেইন আর্ম। এখানে ২ মিটার (৭ ফু) উচ্চতার এবং ২০ কিমি/ঘ (১২ মা/ঘ) গতির জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • কলোরাডো নদী
  • সাভান্না নদী, এখানে ১০ মাইল (১৬ কিমি) গতির জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • মিসিসিপি উপসাগরীয় উপকূলে জোয়ারের তীরে মাত্র কয়েক ইঞ্চি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।

কানাডা

সম্পাদনা

নোভা স্কটিয়া এবং নিউ ব্রান্সউইকের মধ্যবর্তী উঁচু উপসাগর উপর দিয়ে প্রবাহিত বেশিরভাগ নদীতে জলোচ্ছ্বাস রয়েছে। উল্লেখযোগ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • পেটিকোডিয়াক নদী, পূর্বে এখানে ২ মিটার (৬.৬ ফু) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যেত,[২৪] তবে নদী পুনরুদ্ধারের পর জুলাই ২০১৩ সাল থেকে ১ মিটার (৩.৩ ফু) উচ্চতা এবং ২৯ কিলোমিটার (১৮.০ মা) গতির জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • শুভানাচিডি নদী
  • কম্বারল্যান্ড বেসিনে হেবার্ট এবং ম্যাককান নদী[২৫]

মেক্সিকো

সম্পাদনা

ঐতিহাসিকভাবে, কলোরাডো নদীর মুখে মেক্সিকোর ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে একটি জোয়ার ছিল। এটি মন্টাগ দ্বীপের উপকূলে গঠিত হয় এবং উপরের স্রোত কে ছড়িয়ে দেয়। এটা একসময় খুব শক্তিশালী ছিল কিন্তু সেচ ব্যবস্থার কারণে নদীর বিচ্যুতি নদীর প্রবাহকে দুর্বল করে দিয়েছে যার কারণে জলোচ্ছ্বাস ও জহচশ প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে।

দক্ষিণ আমেরিকা

সম্পাদনা
  • ব্রাজিলের অ্যামাজন নদী এবং ভেনিজুয়েলার অরিনোকো নদী এখানে ৪ মিটার (১৩ ফু) উচ্চতা এবং ১৩ মা/ঘ (২১ কিমি/ঘ) গতির পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়।
  • ব্রাজিলের মিয়ারিম নদী
  • ব্রাজিলের আরাগুয়ারি নদী। অতীতে এটিতে খুব শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাস ছিল। এটি ২০১৫ সাল এর পর থেকে সেচ, এবং নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের ফলে হারিয়ে যায়।

জলোচ্ছ্বাসের ফলে হ্রদ

সম্পাদনা

জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদীর মোহনায় হ্রদ তৈরি করতে পারে।

উত্তর আমেরিকা

সম্পাদনা
  • ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের নিতিনাট হ্রদ কখনও কখনও একটি বিপজ্জনক জলোচ্ছ্বাসের জোয়ারের মুখোমুখি হয় যেখানে প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে মিলিত হয়। হ্রদটিতে ধারাবাহিক বায়ু প্রবাহের কারণে এটি বায়ু-সার্ফারদের কাছে জনপ্রিয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. এইচ.এস মোজাদ্দাদ ফারুক। "জলোচ্ছ্বাস"বাংলাপিডিয়া 
  2. Chanson, H. (২০১১)। Tidal Bores, Aegir, Eagre, Mascaret, Pororoca. Theory and Observations। World Scientific, Singapore। আইএসবিএন 978-981-4335-41-6। ৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  3. Chanson, H. (২০১২)। "Momentum considerations in hydraulic jumps and bores"। ASCE: 382–85। আইএসএসএন 0372-0187ডিওআই:10.1061/(ASCE)IR.1943-4774.0000409 
  4. Chanson, H. (২০০৯)। "Current Knowledge In Hydraulic Jumps And Related Phenomena. A Survey of Experimental Results": 191–210। আইএসএসএন 0997-7546ডিওআই:10.1016/j.euromechflu.2008.06.004 
  5. Chanson, H. (২০০৯)। Environmental, Ecological and Cultural Impacts of Tidal Bores, Benaks, Bonos and Burros। Proc. International Workshop on Environmental Hydraulics IWEH09, Theoretical, Experimental and Computational Solutions, Valencia, Spain, 29–30 October Editor P.A. Lopez-Jimenez et al., Invited keynote lecture, 20 pp. (CD-ROM)। 
  6. Koch, C. and Chanson, H. (২০০৮)। "Turbulent Mixing beneath an Undular Bore Front": 999–1007। ডিওআই:10.2112/06-0688.1 
  7. Koch, C. and Chanson, H. (২০০৯)। "Turbulence Measurements in Positive Surges and Bores": 29–40। ডিওআই:10.3826/jhr.2009.2954 
  8. Chanson, H. (২০০৯)। "The Rumble Sound Generated by a Tidal Bore Event in the Baie du Mont Saint Michel": 3561–68। ডিওআই:10.1121/1.3124781পিএমআইডি 19507938 
  9. Simpson, J.H., Fisher, N.R., and Wiles, P. (২০০৪)। "Reynolds Stress and TKE Production in an Estuary with a Tidal Bore": 619–27। ডিওআই:10.1016/j.ecss.2004.03.006 
  10. Chanson, H., Lubin, P., Simon, B., and Reungoat, D. (২০১০)। Turbulence and Sediment Processes in the Tidal Bore of the Garonne River: First Observations। Hydraulic Model Report No. CH79/10, School of Civil Engineering, The University of Queensland, Brisbane, Australia, 97 pp.। আইএসবিএন 978-1-74272-010-4 
  11. Simon, B., Lubin, P., Reungoat, D., Chanson, H. (২০১১)। Turbulence Measurements in the Garonne River Tidal Bore: First Observations। Proc. 34th IAHR World Congress, Brisbane, Australia, 26 June–1 July, Engineers Australia Publication, Eric Valentine, Colin Apelt, James Ball, Hubert Chanson, Ron Cox, Rob Ettema, George Kuczera, Martin Lambert, Bruce Melville and Jane Sargison Editors, pp. 1141–48। আইএসবিএন 978-0-85825-868-6 
  12. Chanson, H., Reungoat, D., Simon, B., Lubin, P. (২০১২)। "High-Frequency Turbulence and Suspended Sediment Concentration Measurements in the Garonne River Tidal Bore": 298–306। আইএসএসএন 0272-7714ডিওআই:10.1016/j.ecss.2011.09.012সাইট সিয়ারX 10.1.1.692.2537  
  13. Reungoat, D., Chanson, H., Caplain, C. (২০১৪)। "Sediment Processes and Flow Reversal in the Undular Tidal Bore of the Garonne River (France)" (3): 591–616। আইএসএসএন 1567-7419ডিওআই:10.1007/s10652-013-9319-y 
  14. Reungoat, D., Chanson, H., Keevil, C. (২০১৪)। Turbulence, Sedimentary Processes and Tidal Bore Collision in the Arcins Channel, Garonne River (October 2013)Hydraulic Model Report No. CH94/14, School of Civil Engineering, the University of Queensland, Brisbane, Australia, 145 Pp.আইএসবিএন 9781742721033 
  15. Mouazé, D., Chanson, H., and Simon, B. (২০১০)। Field Measurements in the Tidal Bore of the Sélune River in the Bay of Mont Saint Michel (September 2010)। Hydraulic Model Report No. CH81/10, School of Civil Engineering, The University of Queensland, Brisbane, Australia, 72 pp.। আইএসবিএন 978-1-74272-021-0 
  16. Wolanski, E., Williams, D., Spagnol, S., and Chanson, H. (২০০৪)। "Undular Tidal Bore Dynamics in the Daly Estuary, Northern Australia": 629–36। ডিওআই:10.1016/j.ecss.2004.03.001 
  17. Mouazé, D., Chanson, H., and Simon, B. (২০১০)। Field Measurements in the Tidal Bore of the Sélune River in the Bay of Mont Saint Michel (September 2010)। Hydraulic Model Report No. CH81/10, School of Civil Engineering, The University of Queensland, Brisbane, Australia, 72 pp.। আইএসবিএন 978-1-74272-021-0 
  18. Wolanski, E., Williams, D., Spagnol, S., and Chanson, H. (২০০৪)। "Undular Tidal Bore Dynamics in the Daly Estuary, Northern Australia": 629–36। ডিওআই:10.1016/j.ecss.2004.03.001 
  19. Li, Ying; Pan, Dong-Zi (জুলাই ২০১৯)। "Real-time characteristics of tidal bore propagation in the Qiantang River Estuary, China, recorded by marine radar" (পিডিএফ)। Elsevier: 48–58। ডিওআই:10.1016/j.csr.2019.04.012 
  20. Chanson, H. (২০০৮)। Photographic Observations of Tidal Bores (Mascarets) in France। Hydraulic Model Report No. CH71/08, Univ. of Queensland, Australia, 104 pp.। আইএসবিএন 978-1-86499-930-3 
  21. Ryan Novitra (ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭)। "Riau to Introduce Bono Wave to International Tourism" 
  22. "MASCARET : Définition de MASCARET"www.cnrtl.fr 
  23. p. 159, Barrie R. Bolton. 2009. The Fly River, Papua New Guinea: Environmental Studies in an Impacted Tropical River System. Elsevier Science. আইএসবিএন ৯৭৮-০৪৪৪৫২৯৬৪০.
  24. Petitcodiac River changing faster than expected
  25. Museum, Museum of Natural History Nova Scotia (22 ফেব, 1996)। "Topic 6 (T6): The Ocean"Nova Scotia Museum0 (0) – ojs.library.dal.ca-এর মাধ্যমে।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা