মেরি অ্যান ইভান্স (২২ নভেম্বর ১৮১৯ – ২২ ডিসেম্বর ১৮৮০; অন্যভাবে "মেরি অ্যান" বা "মারিয়ান"), জর্জ এলিয়ট ছদ্মনাম দ্বারা পরিচিত, একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, অনুবাদক এবং ভিক্টোরীয় যুগের নেতৃস্থানীয় লেখিকা ছিলেন।[][]

জর্জ এলিয়ট
জন্মশহর ওয়ারউইকশায়্যারে এলিয়টের মূর্তি
জন্মশহর ওয়ারউইকশায়্যারে এলিয়টের মূর্তি
জন্মমেরি অ্যান ইভান্স
(১৮১৯-১১-২২)২২ নভেম্বর ১৮১৯
নানইটন, ওয়ারউইকশায়্যার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২২ ডিসেম্বর ১৮৮০(1880-12-22) (বয়স ৬১)
চেলসি, লন্ডন, মিডলসেক্স, ইংল্যান্ড
সমাধিস্থলহাইগেট সিমেট্রি (পূর্ব), হাইগেট, লন্ডন
ছদ্মনামজর্জ এলিয়ট
পেশাঔপন্যাসিক
সময়কালভিক্টোরীয় যুগ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিদ্য মিল অন দ্য ফ্লস (১৮৬০), সাইলাস মারনার (১৮৬১), মিডলমার্চ (১৮৭১–৭২), ডানিয়েল দেরুন্দা (১৮৭৬)
দাম্পত্যসঙ্গীজন ক্রস (১৮৮০; তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত)
সঙ্গীজর্জ হেনরী লুইস (১৮৫৪–৭৮) (তার মৃত্যু পর্যন্ত)
আত্মীয়রবার্ট ইভান্স এবং ক্রিস্টিয়ানা পিয়ারসন (পিতা-মাতা); ক্রিস্টিয়ানা , আইজ্যাক, রবার্ট, এবং ফ্যানি (ভাই-বোন)

তিনি (সাতটি) উপন্যাস রচনা করেন। তার মধ্যে এডাম বেড (১৮৫৯), দ্য মিল অন দ্য ফ্লস (১৮৬০), সাইলাস মারনার (১৮৬১), মিডলমার্চ (১৮৭১–৭২), এবং ডানিয়েল দেরুন্দা (১৮৭৬) অন্যতম। সেগুলোর অধিকাংশই প্রাদেশিক ইংল্যান্ডের পটভূমি এবং এর বাস্তববাদ ও মানসিক অন্তর্দৃষ্টির জন্য সুপরিচিত।

তিনি পুরুষ ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন যেন তার কাজ গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা হয়। এলিয়টের জীবদ্দশায় তিনি কেবল হালকা উদার রোমান্স লেখা নারীদের বাঁধাধরা নিয়ম থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তিনি ইতোমধ্যেই সম্পাদক এবং সমালোচক হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেন। তার ছদ্মনাম ব্যবহারের আরো অতিরিক্ত কারণ হলো জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে তার ব্যক্তিগত জীবন রক্ষা করার ইচ্ছা এবং বিবাহিত জর্জ হেনরি লুইসের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কেলেঙ্কারি প্রতিরোধ করা, যার সাথে তিনি ২০ বছর ধরে বসবাস করতেন।[]

তার ১৮৭২-এর কাজ মিডলমার্চ-কে মার্টিন এমিস্‌[] এবং জুলিয়ান বার্নস[] ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসাবে বর্ণনা করেন।

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

সম্পাদনা

মেরি অ্যান ইভান্স ইংল্যান্ডের ওয়ারউইকশায়্যারের নানইটনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রবার্ট ইভান্স (১৭৭৩-১৮৪৯) এবং ক্রিস্টিয়ানা ইভান্সের (বিবাহ-পূর্ব পিয়ারসন, ১৭৮৮-১৮৩৬, একটি স্থানীয় কল-মালিকের কন্যা) দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন। মেরি অ্যানের নাম কখনও কখনও সংক্ষিপ্তভাবে মারিয়ান ছিল।[] তার আপন ভাই-বোন ছিলো ক্রিস্টিয়ানা (১৮১৪-১৮৫৯) (ক্রিস নামে পরিচিত), আইজ্যাক (১৮১৬-১৮৯০) এবং যমজ ভাই যারা ১৮২১ সালের মার্চে মাত্র কয়েকদিন বেঁচে ছিলো। তার সৎ ভাই রবার্ট (১৮০২-১৮৬৪), এবং সৎ বোন, ফ্যানি (১৮০৫-১৮৮২), তার পিতার পূর্ববর্তী স্ত্রী হ্যারিয়েট পয়ন্টনের সন্তান (?১৭৮০-১৮০৯)। ওয়েলশ বংশোদ্ভূত রবার্ট ইভান্স ওয়ারউইকশায়্যারে নিউডিগেট পরিবারের জন্য অরবারি হল এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন এবং মেরি অ্যান দক্ষিণ খামারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২০-এর প্রথমভাগে পরিবারটি গ্রিফ নামে একটি বাড়িতে গিয়ে ওঠে যা নানইটন এবং বেডওয়ার্থের মধ্যে।

সৃষ্টিকর্ম

সম্পাদনা

উপন্যাস

সম্পাদনা
  • The Spanish Gypsy (একটি চমকপ্রদ কবিতা), ১৮৬৮
  • Agatha, ১৮৬৯
  • Brother and Sister, ১৮৬৯
  • Armgart, ১৮৭১
  • Stradivarius, ১৮৭৩
  • The Legend of Jubal, ১৮৭৪
  • Arion, ১৮৭৪
  • A Minor Prophet, ১৮৭৪
  • A College Breakfast Party, ১৮৭৯
  • The Death of Moses, ১৮৭৯
  • From a London Drawing Room
  • Count That Day Lost
  • I Grant You Ample Leave

অন্যান্য

সম্পাদনা
  1. এস্টন, রোজম্যারি (১৯৯৬)। জর্জ এলিয়ট:একটি জীবনলন্ডন: হামিশ হ্যামিল্টন। পৃষ্ঠা ২৫৫। আইএসবিএন 978-0241134733 
  2. জ্যাকবস, আলেকজান্দ্রা (১৩ আগষ্ট ২০২৩)। "বিয়ের জবাবে জর্জ এলিয়ট যা বলেছিলেন"দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২৩ 
  3. Karl, Frederick R. George Eliot: Voice of a Century. Norton, 1995. pp. 237–38.
  4. Long, Camilla. Martin Amis and the sex war[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], The Times, 24 January 2010, p. 4: "They've [women] produced the greatest writer in the English language ever, George Eliot, and arguably the third greatest, Jane Austen, and certainly the greatest novel, Middlemarch..."
  5. Guppy, Shusha"Interviews: Julian Barnes, The Art of Fiction No. 165"The Paris Review (Winter 2000)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২ 
  6. University of Virginia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ আগস্ট ২০০৯ তারিখে According to a University of Virginia research forum published here, her baptismal records record the spelling as Mary-Anne, and she uses this spelling in her earliest letters. Around 1857, she began to use Mary Ann. In 1859, she was using Marian, but she reverted to Mary Ann in 1880. [অকার্যকর সংযোগ]

আরোও পড়ুন

সম্পাদনা

প্রেক্ষাপট এবং পটভূমি

সম্পাদনা

সমালোচনামূলক গবেষণা

সম্পাদনা
  • Alley, Henry, "The Quest for Anonymity: The Novels of George Eliot", University of Delaware Press, 1997.
  • Ashton, Rosemary, George Eliot, Oxford, Oxford University Press, 1983.
  • Beaty, Jerome, Middlemarch from Notebook to Novel: A Study of George Eliot's Creative Method, Champaign, Illinois, University of Illinois, 1960.
  • Carroll, Alicia, Dark Smiles: Race and Desire in George Eliot, Ohio University Press, 2003.
  • Carroll, David, ed., George Eliot: The Critical Heritage, London, Routledge & Kegan Paul, 1971.
  • Daiches, David, George Eliot: Middlemarch, London, Edward Arnold, 1963.
  • Dentith, Simon, George Eliot, Brighton, Harvester, 1986.
  • Garrett, Peter K., The Victorian Multiplot Novel: Studies in Dialogical Form, New Haven, Connecticut, Yale University Press, 1980.
  • Graver, Suzanne, George Eliot and Community: A Study in Social Theory and Fictional Form, Berkeley, California, University of California Press, 1984.
  • Harvey, W. J, The Art of George Eliot, London, Chatto & Windus, 1961.
  • Kettle, Arnold. An Introduction to the English Novel, vol. I, London, Hutchinson, 1951.
  • Leavis, F R The Great Tradition, London, Chatto & Windus, 1948.
  • Neale, Catherine, Middlemarch: Penguin Critical Studies,London, Penguin, 1989.
  • Sette, Miriam, George Eliot: il corpo della passione. Aspetti della corporeità nella narrativa dell’ultima fase, Pescara, Campus, 2004.
  • Swinden, Patrick, eel., George Eliot: Middlemarch, London, Macmillan, 1972.
  • Trainini, Marco, Vendetta, tienimi compagnia. Due vendicatori in «Middlemarch» di George Eliot e «Anna Karenina» di Lev Tolstoj, Milano, Arcipelago Edizioni, 2012, আইএসবিএন ৮৮৭৬৯৫৪৭৫৯.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা