চায়না গেট (চলচ্চিত্র)
চায়না গেট একটি ১৯৯৮ সালের বলিউড নির্মিত হিন্দি অ্যাকশন ধর্মী চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন রাজকুমার সন্তোষী।
চায়না গেট | |
---|---|
পরিচালক | রাজকুমার সন্তোষী |
প্রযোজক | রাজকুমার সন্তোষী |
শ্রেষ্ঠাংশে | ওম পুরী ওমরেশ পুরী নাসিরুদ্দিন শাহ মুকেশ তেওয়ারি মমতা কুলকার্নি সমীর সোনি অনুপম খের পরেশ রাওয়াল তিনু আনন্দ |
সুরকার | ভনরাজ ভাটিয়া অনু মালিক |
চিত্রগ্রাহক | পীযুষ শাহ |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৭৫ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
কাহিনী
সম্পাদনাকর্নেল কৃষ্ণকান্ত পুরী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন বহিষ্কৃত অফিসার যিনি ভারত-চীন যুদ্ধকালীন এক অসফল অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার কোর্ট মার্শাল হয়, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশ জীবন যাপন করছিলেন একাকী। তার ও তার বাকি সাথীদের ব্যার্থতার দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে একদিন আত্মহত্যা করতে মনস্থির করেন কিন্তু এসময় তার কাছে এসে সাহায্য চায় সন্ধ্যা নাম্নী এক তরুনী যার পিতাকে জাগিরা নামক এক দস্যু নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দেবদুর্গ গ্রাম জাগিরার কবলে। সে সেখানকার অধিবাসীদের ওপর জোরজুলুম চালায়। সন্ধ্যার পিতা ফরেস্ট অফিসার সুন্দর রাজন এর বিরোধীতা করলে তাকে হত্যা করে জাগিরা। গ্রামের মানুষরা কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। গ্রামের একমাত্র প্রতিবাদী মুখিয়াকেও হত্যা করে দস্যুরা। কর্নেল পুরী মনে করেন এই নতুন মিশন তাকে প্রতিষ্ঠা এনে দেবে ও মিথ্যা অপবাদের কলঙ্ক মুছতে সহায়ক হবে। তিনি তার দলের বাকি সাথীদের ডেকে আনেন নতুন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্যে। এদের মধ্যে রগচটা কর্নেল কৃষন পুরী, ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত মেজর গুরুং, মাতাল মেজর জন, ব্যবসায়ী মেজর কূলভূষন, মেজর সরফরাজ ও মৃত এক সাথীর পুত্র উদিত সমেত সকলেই এসে হাজির হয়। তারা দেবদুর্গ গ্রামে এলে জগিরার দলের সাথে প্রথম যুদ্ধে বোঝা যায় দু তিনজন বাদে প্রায় সকলেই যুদ্ধ করার মতো অবস্থায় নেই। তারা বয়েসের ভারে, রোগে ও অনভ্যাসে অসহায়। মেজর গুরুং তাদের আবার ট্রেনিং করার ব্যবস্থা করেন। গ্রামের সকল মানুষের সাথে তারা সুসম্পর্ক গড়ে তোলে, স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। অসৎ পুলিশ অফিসার বারুদ তাদের গ্রেপ্তার করতে আসে গ্রামে গোলাগুলি চালানোর জন্যে। তার চক্রান্তে কৃষ্ণকান্ত ও তার দলবল জগীরার কবলে পড়লেও সন্ধ্যার সাহায্যে মুক্তি পায় এবং সরফরাজ তাড়া করে জগীরাকে ধরে ফেলে। ইনস্পেকটর বারুদের সাহায্যে জগীরা আবার ছাড়া পায় এবং সরফরাজকে অসহায় অবস্থায় পেয়ে হত্যা করে। এই খবর পেয়ে কৃষ্ণকান্ত ও বাকি সাথীরা বারুদকে হত্যা করেন ও সকলে মিলে জগীরার দলকে আক্রমণ করেন। শেষ যুদ্ধে সাথীদের অনেকেই মারা যান। জগীরাকে তার নিজের ঘাঁটিতেই খুন করেন গুরুং, কর্নেল কৃষ্ণকান্ত, কৃষন পুরী ও উদিত। এই ঘটনায় গোটা দেবদুর্গ আতংকমুক্ত হয় ও রাজ্যপাল (যিনি অতীতে সেনাকর্তা হিসেবে, কৃষ্ণকান্ত ও সহ অফিসারদের বরখাস্ত করেছিলেন) জীবিত সেনাদের পুরষ্কৃত করেন ও হৃত সম্মান ফিরিয়ে দেন।[১]
অভিনয়
সম্পাদনা- ওম পুরি - কর্নেল কৃষ্ণকান্ত পুরী
- অমরিশ পুরী - কর্নেল কৃষন পুরী
- নাসিরুদ্দিন শাহ্ মেজর সরফরাজ
- ড্যানি - মেজর গুরুং
- মমতা কুলকার্নি - সন্ধ্যা
- অনুপম খের - গভর্নর
- পরেশ রাওয়াল - ইনস্পেকটর বারুদ
- উর্মিলা মাতন্ডকর - ছাম্মা ছাম্মা গানের বিশেষ চরিত্র
- মুকেশ তিওয়ারী - জাগিরা
- শিবাজী সতম - গ্রাম প্রধান
- ইলা অরুন - গ্রাম প্রধানের স্ত্রী
- গিরীশ কারণার্ড - ফরেস্ট অফিসার
- জগদীপ[১][২]
সংগীত
সম্পাদনানং | গান | সঙ্গীতকার |
---|---|---|
১ | "হামকো তো র্যাহেনা হ্যায়" | সোনু নিগম, হরিহরণ, বিনোদ রাঠোর |
২ | "ছাম্মা ছাম্মা (২)" | অনু মালিক, স্বপ্না অবস্তি |
৩ | "ছাম্মা ছাম্মা রে ছাম্মা" | বিনোদ রাঠোর, শঙ্কর মহাদেবন, অলকা ইয়াগনিক |
৪ | "ইস মিট্টিকা কর্জ থা মুঝপে" | সোনু নিগম |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "China Gate (1998)"। imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৭।
- ↑ "Full Cast of China Gate Actors/Actresses"। ranker.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে চায়না গেট (ইংরেজি)