চাপাতি

রুটিজাতীয় খাবার

চাপাতি (চপাতি, চাপ্পাতি, ছাপ্পাতি, চাপাথি, চাপ্পাথি নামেও পরিচিত) একধরনের রুটি যা ভারতীয় উপমহাদেশের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কায় খুবই জনপ্রিয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসীদের জন্য চাপাতি সারা বিশ্বেই পরিচিত। বিশেষ করে হিন্দু ব্যবসায়ীদের হাত ধরে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকাক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে[১] চাপাতি বিস্তৃতি লাভ করেছে।

চাপাতি
আলু মটরের সাথে চাপাতি
অন্যান্য নামরুটি, রোটি, রোটলি
উৎপত্তিস্থলদক্ষিণ এশিয়া
অঞ্চল বা রাজ্যSouth Asia, Central Asia, Southeast Asia, East Africa
প্রধান উপকরণময়দা

ইতিহাস সম্পাদনা

চাপাতি শব্দটি হিন্দী চপত (चपत) থেকে এসেছে যার অর্থ চ্যাপ্টা। चपत দিয়ে ঐহিত্যগতভাবে এই রুটি তৈরীর পদ্ধতিকে বোঝায়। দুই হাতের তালুর মাঝে রেখে থাপড়ে থাপড়ে গোলাকার রুটি তৈরী করা হয়। প্রতি থাপড়ে ময়দার তালটি একবার করে ঘোরে। ১৬ শতকে মুঘল সম্রাট আকবরের জীবনীকার আবুল ফজল এর লেখা আইন ই আকবরিতে চাপাতির কথা উল্লেখ আছে।

রন্ধন সম্পাদনা

বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত রুটি
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান
৪৬.৩৬ g
চিনি২.৭২
খাদ্য আঁশ৪.৯ g
৭.৪৫ g
১১.২৫ g
ভিটামিনপরিমাণ দৈপ%
থায়ামিন (বি)
৪৮%
০.৫৫ মিগ্রা
রিবোফ্লাভিন (বি)
১৭%
০.২ মিগ্রা
নায়াসিন (বি)
৪৫%
৬.৭৮ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক
অ্যাসিড (বি)
০%
০ মিগ্রা
ভিটামিন বি
২১%
০.২৭০ মিগ্রা
ফোলেট (বি)
০%
০ μg
ভিটামিন ই
৬%
০.৮৮ মিগ্রা
ভিটামিন কে
০%
০ μg
খনিজপরিমাণ দৈপ%
ক্যালসিয়াম
৯%
৯৩ মিগ্রা
লৌহ
২৩%
৩ মিগ্রা
ম্যাগনেসিয়াম
১৭%
৬২ মিগ্রা
ম্যাঙ্গানিজ
০%
০ মিগ্রা
ফসফরাস
২৬%
১৮৪ মিগ্রা
পটাশিয়াম
৬%
২৬৬ মিগ্রা
সোডিয়াম
২৭%
৪০৯ মিগ্রা
জিংক
১৭%
১.৫৭ মিগ্রা

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল

আটা, লবণ এবং পানি মিশিয়ে নরম খামি তৈরী করা হয়। এই খামি থেকে চাপাতি তৈরী করা হয়। গমের আটায় চাপাতি ভালো হয়। ঐতিহ্যগতভাবে রুটি এবং ভাত তৈরীর সময় লবণ ব্যবহার করা হয় না।

ছবি প্রদর্শনী সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bruce Kraig, Colleen Taylor Sen (2013) "Street Food Around the World: An Encyclopedia of Food and Culture", p.124