চাঁদপাড়া
চাঁদপাড়া হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বনগাঁ মহকুমার অন্তর্গত একটি শহর। এটি গাইঘাটা থানার অন্তর্গত। এই শহরটি প্রধানত গড়ে উঠেছে চাঁদপাড়া বাজারকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে শহরটি পার্শবর্তী চেকাটি, ঢাকুরিয়া, সোনারটিকারি, শিমুলিয়াপাড়া ও দেবীপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। কালীপুজোর জন্য এই শহর ও সো নারটিকারি ২০১১ সালের জনগননায় সেন্সার টাউনে পরিনত হয়েছে।২০১১ সালের হিসাবে এই বৃহত্তর চাঁদপাড়ার মোট জনসংখ্যা ৩৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ডাকুরিয়ার জনসংখ্যা ১০ হাজার। বনগাঁ মহকুমার মধ্যে বনগাঁ শহর এর পর চাঁদপাড়াই সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল। বর্তমানে এই শহরাঞ্চলের জন্য একটি পৌরসভা গঠনের দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
চাঁদপাড়া | |
---|---|
শহর | |
![]() চাঁদপাড়া বানী বিদ্যা বিথী, চাঁদপাড়া বালিকা বিদ্যালয়, চাঁদপাড়া বাজার, চাঁদপাড়া স্টেশন ও যশোর রোড (ঘড়ির কাঁটার দিকে) | |
চাঁদপাড়ার অবস্থান (পশ্চিমবঙ্গ) | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°০১′১৪″ উত্তর ৮৮°৪৯′২১″ পূর্ব / ২৩.০২০৫° উত্তর ৮৮.৮২২৫° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
অঞ্চল | পূর্ব ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | উত্তর চব্বিশ পরগনা |
মহকুমা | বনগাঁ মহকুমা |
সরকার | |
• সাংসদ | মমতা ঠাকুর |
আয়তন | |
• শহর | ২ বর্গকিমি (০.৮ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৭ বর্গকিমি (৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• শহর | ৭,১১৩ |
• পৌর এলাকা | ৩৫,০০০ |
ভাষা | |
• সরকারি ভাষা | বাংলা,ইংরাজি |
সময় অঞ্চল | +৫:৩০ |
ভৌগোলিক উপাত্তসম্পাদনা
শহরটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার উচু। এটি গঙ্গা-বহ্মপুত্র ব-দ্বীপ এর অংশ। এটি আর্সেনিক-কবলিত অঞ্চল।
জনসংখ্যাসম্পাদনা
২০১১ সালের জনগণনায় চাঁদপাড়ার জনসংখ্যা প্রায় ৭,১১৩ জন। এই শহরের মোট জনসংখার ৫১% পুরুষ ও ৪৯% নারী। এখানে মোট জনসংখার ১৩% শিশু। শিক্ষার হার ৮১% যা জাতীয় হার ৭৪% এর থেকে বেশি।[১]
পরিবহনসম্পাদনা
চাঁদপাড়া দিয়ে চলে গেছে ৩৫ নং জাতীয় সড়ক (ভারত)।[২][৩] চাঁদপাড়া রেলওয়ে স্টেশন চাঁদপাড়ার সঙ্গে বনগাঁ, হাবরা, বারাসত ও কলকাতা শহরের যোগাযোগ রক্ষা করে।শহরটির বেশির ভাগ পাকা রাস্তা।চাঁদপাড়া-ঠাকুরনগর রোড, চাঁদপাড়া-ঝাউডাঙ্গা রোড,চাঁদপাড়া-পাল্লা রোড যথাক্রমে ঠাকুরনগর, ঝাউডাঙ্গা ও পাল্লার সঙ্গে চাঁদপাড়ার যোগাযোগ রক্ষা করে।চাঁদপাড়া-ঝাউডাঙা রোড এর দ্বারা চাঁদপাড়া যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে। এই সীমান্ত দ্বারা বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি হয়। ৩৫ নং জাতীয় সড়ক বাংলাদেশ এর সঙ্গে যুক্ত করেছে চাঁদপাড়াকে পেট্রাপোল সীমান্তে। বর্তমানে জাতীয় সড়ক ৩৫ কে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাসম্পাদনা
এখানে একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে।
- মহাবিদ্যালয়
- চাঁদপাড়া গভর্মেন্ট পলিটেকনিক কলেজ
- বেঙ্গল আর্ট কলেজ, চাঁদপাড়া
- অন্যান্য
- রাজীব গান্ধী কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশন, চাঁদপাড়া
অর্থনীতিসম্পাদনা
এখানে বড় বাজার রয়েছে। এখানকার বেশির ভাগ ব্যক্তি ব্যবসা বা চাকরিজীবী। চাঁদপাড়া বাজার এলাকার সবচেয়ে বড় কাঁচা সবজীর বাজার। এখান থেকে সবজী কলকাতা পাঠানো হয়।ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ এই সবজী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এখানে একটি আইসক্রিম কারখানা আছে।চাঁদপাড়ায় বহু কাঠকল বা কাঠ মিল, দুটি তেল মিল রয়েছে। তাছাড়া কৃষিকাজ এই এলাকার মানুষের অন্যতম জীবিকা।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ভারতে ২০১১ সালের আদম শুমারি"। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আঁধারে ঢাকা জাতীয় সড়ক"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স"। আনন্দবাজর পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে চাঁদপাড়া সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |