চতুরঙ্গপত্তনম
চতুরঙ্গপত্তনম বা সাদ্রাজ দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত চেঙ্গলপট্টু জেলার একটি পুর অঞ্চল। করমণ্ডল উপকূল বরাবর এটি চেন্নাই শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত৷ কালবক্কম ও পুদুপত্তনম শহরদুটি এর অতিনিকটে অবস্থিত৷
চতুরঙ্গপত্তনম சதுரங்கப்பட்டினம் সাদ্রাজ | |
---|---|
শহর | |
তামিলনাড়ুতে চতুরঙ্গপত্তনমের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১২°৩১′৩০″ উত্তর ৮০°৯′৪৪″ পূর্ব / ১২.৫২৫০০° উত্তর ৮০.১৬২২২° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০৩১০২ |
টেলিফোন কোড | ০৪৪ |
নিকটবর্তী শহর | চেঙ্গলপট্টু |
ইতিহাস ও নামকরণ
সম্পাদনাসাদরাস থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে পুরাতন শিলালেখটি ১৩৫৯ খ্রিস্টাব্দের সময়কালীন৷ লেখ অনুযায়ী তৎকালীন শম্ভুবরায় বংশের পরাক্রমশালী সেনাধ্যক্ষের নামানুসারে এই স্থানের নাম ছিলো রাজনারায়ণপত্তনম৷ এই স্থানে অবস্থিত একটি বিষ্ণু মন্দিরের কারণে পরবর্তীকালে এই স্থানটির নাম হয় চতুরবাসকনপত্তনম৷[১] এই নাম থেকেই পরবর্তীকালে চতুরঙ্গপত্তনম নাম এবং সংক্ষেপে চতুরাই নামটি এসেছে৷ পরে ওলন্দাজ উপনিবেশের সময় তারা নামের বিকৃতি ঘটিয়ে সাদরাস নাম দেয়৷[২]
ওলন্দাজ দুর্গ
সম্পাদনাবর্তমান চতুরঙ্গপত্তনম খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর সময়কালীন ওলন্দাজ করমণ্ডলের অংশ ছিল৷ এটি পূর্বে অতিসূক্ষ্ম মসলিন কাপড়, মুক্তা ও ভোজ্য তেল বিপণনের কেন্দ্র ছিল৷[৩] ওলন্দাজদের অর্থনৈতিক লাভের জন্য তারা নির্মাণ করেন চমৎকার সাদরাস দুর্গ৷ দুর্গে বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণ, বড় শস্যগোলা, হাতিতে চড়ার জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত এখনো রয়েছে৷ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ বাহিনী আক্রমণ করলে এই দুর্গ বেশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়৷[৪] ওলন্দাজরা পরাজিত হলে এখানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়৷ আসন্ন ধ্বংসপ্রবণা প্রতিরোধ করতে বর্তমানে এই দুর্গটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ৷ পুরাতাত্ত্বিক গবেষণার বিভিন্ন দিক উন্মোচনে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে দূর্গটির বৃহত্তর সংস্কার করা হয়৷[৫] ব্রিটিশ কোম্পানি ও ওলন্দাজদের মধ্যে প্রথম যুদ্ধটি এখানেই হয়েছিল, যা সাদরাসের যুদ্ধ নামে পরিচিত৷ দুর্গে রয়েছে একটি গোরস্থান এবং ১৬২০থেকে ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দাফন করা বহু সুসজ্জিত কবর৷[৬]
অবস্থান
সম্পাদনাঅতিসম্প্রতি মাদ্রাজ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর এটোমিক রিসার্চ নিকটবর্তী কালবক্কমে থাকার কারণে চতুরঙ্গপত্তনম আলাদাভাবে পরিচিতি পেয়েছে৷
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "SADRAS HISTORY & MONUMENTS"। Art and Architecture Research, Development Education (AARDE)। ২৮ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Moulana, Ramanujar (১৬ এপ্রিল ২০১৮)। "Day-trip down history lane"। Metro Plus। Chennai। পৃষ্ঠা 4।
- ↑ P. Jayakumar (২০০১)। தமிழக துறைமுகங்கள்। Thanjavur: Anbu Publishers।
- ↑ Hussain Kodinhi (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Sadras cries for attention"। The Times of India। Chennai। পৃষ্ঠা 10।
- ↑ T. S. Subramanian Photographs: K. Gajendran (১০ মে ২০০৩)। "Unravelling a Dutch past"। Frontline। 20 (10)। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Anusha Parthasarathy (১৪ জুন ২০১২)। "Sadras musings"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।