গ্রীনল্যান্ডে ধর্ম

গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যার অধিকাংশই খ্রিস্টান এবং তারা চার্চ অফ গ্রিনল্যান্ডের মাধ্যমে ডেনমার্কের চার্চের সাথে যুক্ত। এখানকার খ্রিস্টানরা জাতিগত শ্রেণিবিভাগে প্রোটেস্ট্যান্ট এবং অভিযোজনে লুথারান। ডেনমার্কের চার্চ হল ডেনমার্কের সংবিধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত চার্চ এবং এটি ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ বাদে ডেনমার্কের সকল রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ ২০০৭ সালে চার্চ অফ দ্য ফ্যারো আইল্যান্ড স্বাধীন হয়েছিল৷ কিন্তু প্রথাগত ইনুইট আধ্যাত্মিক বিশ্বাস গ্রিনল্যান্ডের অনেক প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে দৃঢ় রয়েছে। ২০১৩ সালের হিসাব মতে গ্রীনল্যান্ডে মাত্র একজন লেবাননী মুসলিম বসবাস করেন।

গ্রীনল্যান্ডে ধর্ম(২০১০)[১][২]

  অন্যান্য খ্রিস্টান (০.৮%)
  নাস্তিক (০.২%)
  বাহাই ও অন্যান্য ধর্ম (০.৬%)

ইসলাম সম্পাদনা

২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রীনল্যান্ডে বসবাসকারী একমাত্র পরিচিত মুসলিম হলেন লেবাননের নাগরিক ওয়াসাম আজাকির। তিনি নুকে থাকেন এবং সেখানে তিনি একটি রেস্তোরাঁ চালান।[৩] [৪] ২০২১ -২০২২ এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে কয়েকজন মুসলমান নুক এবং ইলুসিট বিমানবন্দর প্রকল্পে কাজের জন্য গ্রীনল্যান্ডে এসেছেন। এছাড়া সরকারি হিসাব মতে গ্রীনল্যান্ডে আর কোনো মুসলিম নেই।[৩]

ইনুইট আধ্যাত্মিক বিশ্বাস সম্পাদনা

নৃতাত্ত্বিকভাবে গ্রীনল্যান্ডের জনসংখ্যার ৮০% ইনুইট এবং ডেনিশের সাথে মিশ্র বিভক্ত। বলা হয় যে, ইনুইট জনসংখ্যা সাইবেরিয়ানদের বংশোদ্ভূত, যারা এই দ্বীপে এশিয়াউত্তর আমেরিকায় থেকে পাড়ি জমায়। খ্রিস্টান ধর্ম আগমনের ফলে এদের সংখ্যা হ্রাস পায় এবং বর্তমান ১% এরও কম বাসিন্দা ইনুইট আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের অনুশীলন করে।[৫]

খ্রিস্টান ধর্ম সম্পাদনা

গ্রীনল্যান্ডের বেশিরভাগ খ্রিস্টান প্রটেস্টান্টোর লুথারানিজম শাখার অনুসারী। এছাড়াও ব্যাপ্টিস্ট, মরমন, রোমান ক্যাথলিক, যিহোবার এবং সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্টদের ছোট একটি সম্প্রদায় রয়েছে।প্রথম ১০০০ সালে খ্রিস্টধর্ম গ্রীনল্যান্ডে আনা হয়। তখন নর্স সিতে একদল বসতি স্থাপনকারী ইউরোপ থেকে খ্রিস্টানধর্ম নিয়ে আসে। এরপর ডেনমার্কের অধীনে ব্যাপকভাবে ধর্মান্তর শুরু হয়। ১৮১৪ সালে নরওয়ে এবং ডেনমার্ক আলাদা হয়ে গেলে গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অধীনে থাকে। বর্তমান সেখানে ডেনমার্কের চার্চ দেশের প্রধান ধর্মীয় পছন্দ হলেও স্বায়ত্তশাসনের একটি ডিগ্রিসহ নিজস্ব বিশপ, ১৯টি প্যারিশ, ৩টি ডিনারি, ৪০টি গীর্জা বা চ্যাপেল এবং ২৫ জন ভিকার বা পুরোহিত রয়েছে।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Greenland, Religion and Social Profile | National Profiles | International Data"Thearda.com। ২০০৯-০৬-২১। ২০১৭-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-১৮ 
  2. "Table: Christian Population as Percentages of Total Population by Country"। ১৯ ডিসেম্বর ২০১১। ১১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২ 
  3. "The only Muslim in Greenland who fasts for 21 hours"The Jazba Blog। ৮ আগস্ট ২০১১। ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. Malcolm (১১ আগস্ট ২০১৩)। "Greenland's sole Muslim resident fasts 21 hours"IceNews। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  5. "Inuit Religion"Sacred-texts.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৬ 
  6. "Greenland Religion Facts & Stats"www.nationmaster.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৩