গ্রাহাম থমাস

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

গ্রাহাম থমাস (ইংরেজি: Grahame Thomas; জন্ম: ২১ মার্চ, ১৯৩৮) নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রয়ডন পার্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

গ্রাহাম থমাস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্রাহাম থমাস
জন্ম (1938-03-21) ২১ মার্চ ১৯৩৮ (বয়স ৮৬)
ক্রয়ডন পার্ক, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩৫)
৩ মার্চ ১৯৬৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৭/৫৮ - ১৯৬৫/৬৬নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০০
রানের সংখ্যা ৩২৫ ৫৭২৬
ব্যাটিং গড় ২৯.৫৪ ৪০.৩২
১০০/৫০ ০/৩ ১৭/২৩
সর্বোচ্চ রান ৬১ ২২৯
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/০ ৯২/২
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত গ্রাহাম থমাসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আংশিক মার্কিনী-ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন গ্রাহাম থমাস। সুন্দরভাবে স্ট্রোকের মার মারতেন। তিনি তার সময়কালের অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। বিশ্বস্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গ্রাহাম থমাস। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাঝে-মধ্যেই উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন।

শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে তিনি বেশ কয়েক মৌসুম মারমুখী ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। রাজ্য পর্যায়ের খেলায় বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের সদস্যরূপে ৪৬.৪১ গড়ে ৩৯৯২ রান তুলেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২২৯ রান তুলেন। ঐ গ্রীষ্মে তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ৫৮.৮৮ গড়ে ১১৭১ রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রাহাম থমাস। ৩ মার্চ, ১৯৬৫ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড, ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় - মোট তিনটি সফরে যান। সবমিলিয়ে আট টেস্ট খেলেন। ক্যারিবীয় ও ইংল্যান্ডে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে তিনি তিনটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলতে সমর্থ হন।

নিজস্ব ২৭তম জন্মদিন পালনের অল্প কয়েকদিন পূর্বে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৬৫ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। এ সফরেই তিনি টেস্টে অভিষিক্ত হন ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের সবকটিতে খেলেন। তবে, তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেননি। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের মাধ্যমে পুনরায় জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ববি সিম্পসন আঘাতপ্রাপ্ত হলে তিনি খেলার সুযোগ পান। সিরিজের শেষ তিন টেস্টে অংশ নিয়ে দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন।

অবসর সম্পাদনা

১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাকে দলের সদস্যরূপে রাখা হয়। কিন্তু, কোন টেস্টে তাকে খেলার জন্যে মনোনীত করা হয়নি। ফলশ্রুতিতে, এ সফর শেষে ২৮ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এরপর মুদ্রণ শিল্পে মনোনিবেশ ঘটানোর মাধ্যমে কর্ম জীবন অতিবাহিত করেন।[১]

সিডনিভিত্তিক গ্রেড ক্রিকেটে ব্যাংকসট্রাউন-ক্যান্টারবারি দলের পক্ষে তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহন করেছিলেন। তার সম্মানার্থে ২০০৫ সালে ব্যাংকসট্রাউন মেমোরিয়াল আউটার ওভালের নাম পুণঃনামাঙ্কিত করে ‘গ্রাহাম থমাস ওভাল’ রাখা হয়। ২০১১ সালে ক্রিকেট এনএসডব্লিউ কর্তৃক আজীবন সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford, Melbourne, 1996, pp. 527–28.
  2. "Two new Life Members of Cricket NSW"Cricket NSW। ৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৮ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা