গোলাম নওশের
গোলাম মোহাম্মদ নওশের (জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯৬৪) ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সময়কালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে ৯টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ‘প্রিন্স’ ডাকনামে পরিচিত গোলাম নওশের। এছাড়াও, বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড একাদশের পক্ষেও খেলেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গোলাম মোহাম্মদ নওশের | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে - বাংলাদেশ) | ৬ অক্টোবর ১৯৬৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | প্রিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২) | ৩১ মার্চ ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১২ মে ২০১৭ |
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধ্বে বাংলাদেশের প্রধান স্ট্রাইক বোলার ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। পাশাপাশি বামহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাদীর্ঘদেহী নওশের মূলতঃ বামহাতি পেসার। ১৯৮৪ সালের অনানুষ্ঠানিক যুবদল ‘বাংলাদেশ টাইগার্সের’ পক্ষে খেলেন। একবছর পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্য বাংলাদেশ দলের সদস্য মনোনীত হন। রঞ্জন মাদুগালের উইকেট নিয়ে স্বীয় সামর্থের পরিচয় দেখান। জানুয়ারি, ১৯৮৬ সালে রমিজ রাজা ও শোয়েব মোহাম্মদের উইকেট পেয়েছিলেন।[১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনা৩১ মার্চ, ১৯৮৬ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক হয়।[২] মোরাতুয়ার টাইরোন ফার্নান্দো স্টেডিয়ামে ‘জন প্লেয়ার গোল্ড লীফ ট্রফি’ নামে পরিচিত এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরের দ্বিতীয় খেলায় গাজী আশরাফ, গোলাম নওশের, গোলাম ফারুক, হাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর শাহ, মিনহাজুল আবেদীন, নুরুল আবেদীন, রফিকুল আলম, রাকিবুল হাসান, সামিউর রহমান ও শহীদুর রহমানের ওডিআইয়ে একযোগে অভিষেক ঘটে।[৩] খেলায় তিনি ৩ বল মোকাবেলা করে ১* রানে অপরাজিত ছিলেন। বল হাতে ৭ ওভারে ৩২ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি। তার অভিষেক পর্বটি সুখকর হয়নি। পাকিস্তান দল ৭৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় পায়।
ক্যান্ডির অ্যাসগিরিয়া স্টেডিয়ামে আয়োজক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রতিযোগিতার তৃতীয় খেলায় ব্রেন্ডন কুরুপ্পুকে সামিউর রহমানের কটে পরিণত করে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। এছাড়াও ব্যাট হাতে ৩* রানে অপরাজিত থাকেন। ঐ খেলায়ও বাংলাদেশ দল ৭ উইকেটে হারে।
শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১/২৭ লাভ করেন যাতে উইকেট-রক্ষক ইয়ান হিলি তার শিকারে পরিণত হন।
আইসিসি ট্রফি
সম্পাদনাআঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এরফলে ১৯৯০-এর দশকে জাতীয় দলে ধারাবাহিতা রক্ষা করতে পারেননি। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৯৪ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফির দ্বিতীয় পর্বের খেলাগুলোয় তাকে আর দেখা যায়নি। আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়।
পরিসংখ্যান
সম্পাদনাবছর | ম্যাচ | রান | উইকেট | গড় | সেরা |
---|---|---|---|---|---|
১৯৮৬ | ৪ | ১২৯ | ৫ | ২৫.৮০ | ২/৩১ |
১৯৯০ | ৭ | ২১১ | ১১ | ১৯.১৮ | ৩/২৬ |
১৯৯৪ | ৪ | ১১৩ | ৮ | ১৪.১৩ | ৪/৩৬ |
মোট | ১৫ | ৪৫৩ | ২৪ | ১৮.৮৮ | ৪/৩৬ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hasan Babli. "Antorjartik Crickete Bangladesh". Khelar Bhuban Prakashani, November 1994.
- ↑ Profiles of Gholam Nousher at cricbuzz[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ John Player Gold Leaf Trophy (Asia Cup), 2nd Match: Bangladesh v Pakistan at Moratuwa, Mar 31, 1986
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গোলাম নওশের (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গোলাম নওশের (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- hedailystar.net