গুরই শাহী মসজিদ
গুরই শাহী মসজিদ কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ও বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১] এটি নিকলী উপজেলার গুরই গ্রামে অবস্থিত।[২]
গুরই শাহী মসজিদ | |
---|---|
বিকল্প নাম | গুরই শাহী মসজিদ |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থান | নিকলী উপজেলা |
ঠিকানা | গুরই, নিকলী উপজেলা |
শহর | কিশোরগঞ্জ |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
ভূমিমালিক | সুলতান বারবাক শাহ |
উচ্চতা | ৩৫ ফুট |
ইতিহাস
সম্পাদনাগুরই শাহী মসজিদটিতে মুঘল আমলের স্থাপত্যশিল্প ফুটে উঠেছে। মসজিদের গম্বুজের গোড়ায় একটি সরু ও লম্বা শিলালিপি রয়েছে। শিলালিপি থেকে জানা যায় মসজিদতি ১৬৮০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। শিলালিপিতে সুলতান বারবাক শাহের নাম খোদাই করা আছে।[৩]
বিবরণ
সম্পাদনাগুরই শাহী মসজিদটি বর্গাকৃতির। ভিতর দিক থেকে দেয়ালের উচ্চতা ২২ ফুট ও বাইরের দিক থেকে ৩৫ ফুট। ৪ কোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতির মিনার আছে, যা উপরে উঠে রৌপ্য নির্মিত ছোট গম্বুজে শেষ হয়েছে। মসজিদটিতে একটি বাল্ব আকৃতির বড় গম্বুজও আছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দেয়ালে একটি করে তিনটি প্রবেশ পথ আছে, যার মধ্যে পূর্বের বা কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথটি বড়। কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উচ্চতা ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং প্রস্ত ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে। মাঝের মেহরাবটি বাকিগুলোর চেয়ে বড়। মেহরাবগুলোতে সুন্দর টেরাকাটার কাজ আছে। এই মসজিদে সুলতানী আমলের স্থাপত্যশিল্পের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কিশোরগঞ্জের পর্যটন স্থান"। কিশোরগঞ্জ ডট কম। ২৪ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "নিকলী উপজেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ শামসুজ্জামান খান। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা: কিশোরগঞ্জ। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমি। আইএসবিএন 984-07-5295-2।