খ্যান্ত বালা রায়
খ্যান্ত বালা রায় (জন্ম ১৮৯৭) একজন বাঙালি খ্রিস্টান শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯২৩ সালে মেদিনীপুরের মিশন গার্লস হাই স্কুলের প্রধান ছিলেন।
খ্যান্ত বালা রায় | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৭ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | খান্ত বেলা রায় |
পেশা | শিক্ষক |
পরিচিতির কারণ | অধ্যক্ষ, মিশন গার্লস হাই স্কুল, মেদিনীপুর |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাখ্যান্ত বালা রায় ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক সচ্চিদানন্দ রায়[১][২] এবং বাংলার ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান শিক্ষক এস্থার রায়ের কন্যা।[৩] খ্যান্ত বালা এবং তাঁর বোন শান্ত বালা মেদিনীপুরের গার্লস মিশন স্কুল, কলকাতার গার্ডনার মেমোরিয়াল স্কুল[৪] বেথুন কলেজ,[৫] এবং নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।[৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাখ্যান্ত বালা রায় মেদিনীপুরের একটি ব্যাপ্টিস্ট গার্লস স্কুলে পড়াতেন।[৭][৮] তাঁর বড় বোন শান্ত বালা রায়ও মেদিনীপুরে একজন শিক্ষক ছিলেন।[৯]
খ্যান্ত বালা রায় চিকিৎসক ধর্মপ্রচারক মেরি ডব্লিউ ব্যাচেলারের সাথে ১৯২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেন।[১০][১১] সেই বছর, তিনি আমেরিকান ব্যাপ্টিস্ট সমাবেশে উপস্থিত হন এবং বক্তৃতা করেন। এশিয়ান দেশগুলিতে ব্যাপটিস্ট মহিলা মিশনারিদের কাজের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল হিসাবে অন্যদের মধ্যে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বার্মিজ ডাক্তার মা সাও সা এবং চীনা শিক্ষক কান এন ভং।[১২][১৩][১৪] তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন, সেখান থেকে ইংরেজি ভাষার বই সংগ্রহ করেছিলেন। যখন তিনি ফিরে আসেন, তখন মেদিনীপুরের স্কুলে সেই সব বই দিয়ে একটি গ্রন্থাগার তৈরি করেন। তিনি ১৯২২ সালে একটি ব্যাপটিস্ট প্রকাশনাকে ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন "আমরা সব ধরণের শিশুদের গল্পের বই, পত্রিকা এবং কিছু ধর্মীয় গল্পের বই চাই"।[১৫]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর তিনি মেদিনীপুরে ফিরে আসেন এবং মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে ১৯২৩ সালে স্কুলের কাজে ফিরে আসেন। ১৯২৪ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, "নির্বাহী ক্ষমতায় থাকাকালীন, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং পৃষ্ঠপোষকদের সাথে কৌশল এবং স্কুলের চাহিদা ও সুযোগ সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মিস রায় তাঁর প্রকৃত মূল্য দেখিয়েছেন এবং স্কুলটিকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করেছেন"।[১৬] তিনি আমেরিকান ব্যাপটিস্টদের কাছে ১৯২৫ সালের চিঠিতে একটি ক্রমবর্ধমান স্কুলের সমস্যাগুলি বর্ণনা করেছিলেন।[১৭] ১৯২৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, তিনি তখনও স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন।[১৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Stacy, Thomas Hobbs (১৯০৪)। Rev. Otis Robinson Bacheler: fifty-three years missionary to India। The Morning Star Publishing House। পৃষ্ঠা 425।
- ↑ Griffin, Rev. Z. F. (সেপ্টেম্বর ১৯২৩)। "Sachidanandi Rai": 478–479।
- ↑ Hudson, Helen (১০ ডিসেম্বর ১৯২১)। "More Echoes from the Jubilee": 1432।
- ↑ "Khanto Bala Rai 1921"। Spokane Chronicle। ১৯২১-০৫-১৬। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০৯।
- ↑ "Girl from India to See Spokane"। Spokane Chronicle। ১৬ মে ১৯২১। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Co-Ed So Different From Other Girls"। The Saint Charles Herald। ২৪ ডিসেম্বর ১৯২১। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ Peabody, Mrs. H. W. (জুন ১৯২১)। "Women Who Are Transforming the Orient": 475–476।
- ↑ "Khanto Bala Rai to be City's Guest"। Star Tribune। ৮ মে ১৯২১। পৃষ্ঠা 19। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ The Free Baptist Woman's Missionary Society, 1873-1921। The Society। ১৯২২। পৃষ্ঠা 43।
- ↑ The Free Baptist Woman's Missionary Society, 1873-1921। The Society। ১৯২২। পৃষ্ঠা 104।
- ↑ "40 Missionaries Return from India on STR City of Sparta"। The Boston Globe। ২২ মার্চ ১৯২১। পৃষ্ঠা 9। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ Mansfield, J. A. (১৮ জুন ১৯২১)। "Silver Trumpets of Women's Jubilee Still Blow": 630।
- ↑ Annual of the Northern Baptist Convention। The Convention। ১৯২১। পৃষ্ঠা 231।
- ↑ "Golden Jubilee of the Baptists is Celebrated"। The Selma Times-Journal। ২৩ জুন ১৯২১। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ Montgomery, Helen B. (নভেম্বর ১৯২২)। "An Opportunity for a Book Shower": 623।
- ↑ "Midnapore Increases Local Support" American Baptist Foreign Mission Society 1924: 159-160.
- ↑ Rai, Miss K. B. "Midnapore Mission Girls' School" Tidings from the ABFM Society of Bengal-Orissa (1925): 21-25.
- ↑ Prescott, Nellie G.; Northern Baptist Convention. Board of Education (১৯২৬)। The Baptist family in foreign mission fields [microform]। Internet Archive। Philadelphia, Boston : The Judson Press।