কান এন ভং (জন্ম ১৮৯৯), গ্রেস কান বা গ্রেস সুইট নামেও পরিচিত, একজন চীনা কিণ্ডারগার্টেন শিক্ষাবিদ ছিলেন। তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয় ছিল শিশু মনোবিজ্ঞান।[১]

কান এন ভং
জন্ম১৮৯৯
জাতীয়তাচীনা
অন্যান্য নামকান এন ভং, গ্রেস কান, গ্রেস সুইট
পেশাশিক্ষাবিদ

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

শৈশবে কান এন ভং হাংচৌতে মার্কিন ব্যাপটিস্ট মিশনারি রেভারেণ্ড এবং মিসেস উইলিয়াম এস সুইটের পরিবারে যোগ দিয়েছিলেন; বলা হয়েছিল যে, তাঁর পাঁচ বছর বয়সে তাঁকে তাঁর জৈবিক পিতা ৩৫ সেন্টের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন,[১] পিতা আফিমের প্রতি আসক্ত একজন ব্যক্তি ছিলেন [২] পরে ফিলাডেলফিয়ার রেভারেণ্ড এ ই হ্যারিসকে তাঁর পালক পিতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[৩]

কান এন ভং হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং হাংচৌতে আমেরিকান মিশনারি শিক্ষক হেলেন রলিংসের অধীনে কিণ্ডারগার্টেন শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন।[২][৪] তিনি পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওবারলিন কলেজে[৫] সঙ্গীত ও শিক্ষা গ্রহণ করেন।[৬] তিনি ১৯২২ সালে ওবারলিন থেকে স্নাতক হন।[৭]

কর্মজীবন সম্পাদনা

কান এন ভং হাংচৌতে ইউনিয়ন হাই স্কুল কিণ্ডারগার্টেনের সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন।[৮] ১৯২৩ সালে, তিনি শানথৌতে একটি ব্যাপটিস্ট মিশনারি কিণ্ডারগার্টেনে পড়াতেন।[৯]

১৯২১ সালে কান এন ভং মিনিয়াপোলিস,[১০] সান ফ্রান্সিসকো,[১১]নিউ ইয়র্ক,[১২] এবং অন্যান্য আমেরিকান ও কানাডিয়ান শহরে বক্তৃতা দেন।[৩] তিনি শ্রোতাদের বলেছিলেন,- "আমাদের শিশুরা গান গায় এবং খেলায় অংশগ্রহণ করে, ঠিক আপনার দেশের শিশুরা যেমন করে। কিন্তু আমি মনে করি না আমেরিকান শিশুরা সম্ভবত চীনা কিশোরদের মতো তাদের কাজ উপভোগ করতে পারে"। "চীনে এই ধারণাটি এতটাই নতুন যে প্রথমে মায়েরা জানত না এটি থেকে কি তৈরি করতে হবে। এখন শিশুরা দুই ঘন্টা আগে চলে আসে, তারা কিণ্ডারগার্টেনে আসতে খুব আগ্রহী।"[১১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

কান এন ভং ১৯২১ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চীনা ছাত্রের সাথে বাগদান করেছিলেন।[১০] পরে তিনি লরেন্স লিউকে বিয়ে করেন।[১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Kan En Vong 1921"The Philadelphia Inquirer। ১৯২১-১২-৩০। পৃষ্ঠা 12। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০৯ 
  2. "Her Father Sold Her For Opium"। এপ্রিল ১৬, ১৯২১: 337। 
  3. "Chinese Mission Girl Appeals to Americans"The Philadelphia Inquirer। ডিসেম্বর ৩০, ১৯২১। পৃষ্ঠা 12। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১১, ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  4. Peabody, Mrs. H. W. (জুন ১৯২১)। "Women Who Are Transforming the Orient": 476। 
  5. Oberlin College (১৯১৮)। Course Catalog। পৃষ্ঠা 154। 
  6. "Our Oriental Guests to Date"। জানুয়ারি ১৯২২: 43। 
  7. "Chinese Girl Sold for 35 Cents Now College Student"Star-Gazette। জানুয়ারি ৪, ১৯২২। পৃষ্ঠা 16। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১১, ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  8. McConnell, Alexander; Moody, William Revell (জুলাই ১৯২১)। "Personalia": 486। 
  9. Montgomery, Helen Barrett (মার্চ ১৯২৩)। "News from Kan Eng Vong": 173। 
  10. "Aims of China Described to Baptist Society"Star Tribune। মে ২৫, ১৯২১। পৃষ্ঠা 13। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১১, ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  11. "Asiatic Women Tell of Gospel Work in Orient"Oakland Tribune। জুন ৯, ১৯২১। পৃষ্ঠা 17। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১১, ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  12. "Sold into Slavery as a Child, Grace Kan is Now an Educator"The Kansas City Kansan। এপ্রিল ২৬, ১৯২১। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২, ২০১৯ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে। 
  13. "Eugene E. Barnett papers, 1905-1970"Columbia University Libraries Finding Aids। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১২