খোরাসান গ্রুপ বা কেবল খোরাসান হল সিরিয়ায় সক্রিয় আল-কায়েদার সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে সংগঠিত একটি জিহাদি গ্রুপ[১] গোষ্ঠীটিতে খুবই অল্প সংখ্যক যোদ্ধা রয়েছে এবং এটি সিরিয়ায় আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন আল-নুসরা ফ্রন্টের সাথে সমন্বয় করে পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে।[২] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই শব্দটি প্রথম সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই বছর ধরে গোষ্ঠীটির খোঁজ খবর রাখছিল বলে জানা যায়।[৩][৪] তবে অনেক বিশ্লেষক গ্রুপটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, হয়তো এই নামটি সিরিয়ায় মার্কিন হস্তক্ষেপের বৈধতার জন্যে অস্তিত্বে আনা হয়েছে।[৪]

খোরাসান গ্রুপ
Khorasan Group
নেতা
অপারেশনের তারিখমাচ, ২০১২- বর্তমান
সদরদপ্তরআলেপ্পো
সক্রিয়তার অঞ্চলসিরিয়া
মতাদর্শইসলামবাদ, জিহাদবাদ, খিলাফত, ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা, মার্কিন আধিপত্যবাদ বিরোধী, রুশ আধিপত্যবাদ বিরোধী
আকার৫০-১০০
এর অংশআল কায়েদা
মিত্রআল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা
বিপক্ষ
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধসিরীয় গৃহযুদ্ধ

২০১৫ সালের ২৮ মে আল-নুসরা ফ্রন্টের নেতা আবু মোহাম্মদ আল গিলানি স্পষ্টভাবে কথিত খোরাসান গ্রুপের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। [৫] আল নুসরা ফ্রন্ট কমপক্ষে 2015 সালের প্রথম দিকে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির কাছ থেকে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সাথে সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট আদেশ পেয়েছিল।[৬] ২০১৫ সালের জুলাই মাসে গ্রুপটির কথিত অপারেশনাল লিডার মুহসিন আল ফাদলি এবং এটির প্রধান বোমা প্রস্তুতকারক ডেভিড ড্রুজন দুজনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি পৃথক বিমান হামলায় নিহত হন।[৭][৮] তাদের মৃত্যুর পর এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি বলেন যে, খোরাসান গ্রুপটি হ্রাস পেয়েছে। আইএস এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় হুমকি। [৯]

২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি কোয়ালিশন বিমান হামলায় আব্দুল মোহসেন আদবল্লাহ ইব্রাহিম নিহত হন। তিনি তখন খোরাসান গ্রুপের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার নেতা ছিলেন। [১০] মুহসিন আল-ফাদলির মৃত্যুর আগে তিনি খোরাসানের ডেপুটি লিডার ছিলেন। [১১] ২০১৭ সালের জানুয়ারির শুরুতে রিপোর্ট করা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন খোরাসান যোদ্ধাদের বিশেষভাবে উল্লেখ করে না এবং মার্কিন সরকার খোরাসান ও আন-নুসরা ফ্রন্টের যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করার চেষ্টা করেনি; বরং তাদের সবাইকে আল-কায়েদা হিসাবে উল্লেখ করে। এই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন-নুসরা ফ্রন্ট ও আল কায়েদার অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে বিমান হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।[১২][১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Karouny, Mariam (২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Insight - U.S.-led strikes pressure al Qaeda's Syria group to join with Islamic State"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. Karl, Jonathan (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Today is the First Time Obama Has Said the Word 'Khorasan' in Public"। ABC News। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১ 
  3. "Syria Airstrikes Failed To Cripple Khorasan Threat"। Associated Press। ৯ অক্টোবর ২০১৪। ১০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. Banco, Erin (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Khorasan Group disappears from US political rhetoric, raising questions about its existence"International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৫ 
  5. "Nusra leader: Our mission is to defeat Syrian regime"Al Jazeera English। ২৮ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  6. Lister, Charles (১ জুন ২০১৫)। "An Internal Struggle: Al Qaeda's Syrian Affiliate Is Grappling With Its Identity"। Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  7. "Senior al-Qaida figure, Muhsin al-Fadhli, killed in US air strike in Syria, officials say"the Guardian 
  8. "French jihadist Drugeon killed in Syria: US official"। AFP। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  9. Evan Perez; Tom LoBianco (২৩ জুলাই ২০১৫)। "James Comey says Khorasan Group diminished"CNN 
  10. Release No: NR-400-15 (18 October 2015). Statement on Airstrike in Syria that Killed Sanafi al-Nasr. U.S. Department of Defense. Retrieved: 18 October 2015.
  11. "Khorasan"। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৫ 
  12. Pentagon: Airstrikes kill 20 or more al Qaeda fighters in northern Syria
  13. US kills al Qaeda facilitator and external ops planner in Syrian airstrikes