খুলনা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
খুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের খুলনায় বয়রাতে অবস্থিত একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। [১] ২০০৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করে থাকে।
খুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ | |
---|---|
অবস্থান | |
বয়রা, খুলনা , , ৯০০০ | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি |
নীতিবাক্য | বিদ্যাই বল |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | বাংলাদেশ সরকার |
ইআইআইএন | ১৩২১১৭ |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর এ টি এম বদরুজ্জামান |
লিঙ্গ | সমন্বিত |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাস | শহুরে পরিবেশ |
রং | |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট |
ডাকনাম | KGMSC |
শিক্ষা বোর্ড | যশোর শিক্ষা বোর্ড |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অধীনে ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা মহানগরী সহ দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে ১১টি মডেল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ঐ ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাঝে ঢাকা মহানগরীতে ৫টি, বাকী ৫টি বিভাগীয় শহরে ৫টি এবং বগুড়াতে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির এক সভায় প্রকল্পটি গৃহীত হয় ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীতে ৪ টি (মোহাম্মদপুরে ১টি, মিরপুরের রূপনগরে ১টি, শ্যমপুরে ১টি, লালবাগে ১টি) এবং রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনায় ১টি করে মোট ৯টি মডেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। [২] বাকি দু’টি প্রতিষ্ঠান (ঢাকা ও বগুড়ায়) বর্তমানে বিয়াম ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।
২০০৭ সালে খুলনা শহরের বয়রা এলাকায় জলিল সরণির উত্তর পাশে সরকারি ২ একর জমির উপর খুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হয়। [৩] ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন ২০০৭ সালের ১২ এপ্রিল এ প্রতিষ্ঠানটির প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালের ০২ জুলাই থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যায়ক্রমে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভর্তির ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য ষষ্ঠ - দশম শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
অবকাঠামো
সম্পাদনাখুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর একাডেমিক ভবনটি পাঁচ তলা চতুর্ভুজ আকৃতির। ভবনটিতে পাঁচটি ফ্লোর মিলে মোট ৭৬,১১২ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। এতে ৭৫টি কক্ষ, ১০টি বিজ্ঞানাগার, ৫০টি কম্পিউটার সমৃদ্ধ ১টি ল্যাব, একটি লাইব্রেরী ও ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক দুইটি ব্যয়ামাগার রয়েছে। চতুর্ভুজ আকৃতির ভবনটির মাঝখানে একটি বাগান ও সামনের দিকে খোলা মাঠ রয়েছে। কলেজের বিদ্যুৎ সরবরাহকে গতিশীল রাখার লক্ষ্যে এখানে ২৫০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও আছে ২০০ কেভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জেনারেটর। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য চারদিকে সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা কলেজটিতে আরও আছে অভিভাবক শেড, সাইকেল গ্যারেজ এবং একাডেমিক ভবন সংলগ্ন অধ্যক্ষের জন্য আধুনিকমানের ডুপ্লেক্স বাসভবন। কলেজের মূল ভবনের সামনে আছে একটি শহীদ মিনার ও নান্দনিক পতাকা স্ট্যান্ড।
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনামাধ্যমিক
সম্পাদনাউচ্চ মাধ্যমিক
সম্পাদনাএই কলেজে এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচ.এস.সি) কার্যক্রম যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম
সম্পাদনা- সাহিত্য-সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন
- শরীরচর্চা শিক্ষা
- লাইব্রেরি অনুশীলন
- বিতর্ক প্রতিযোগিতা
- শিক্ষা সফর
- দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ
- কলেক বার্ষিকী প্রকাশ
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা- পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ পদক লাভ (২০০৯)
- জেলা প্রশাসন, খুলনা আয়োজিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৬ তে সেরা ডিজিটাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সন্মাননা ও পদক লাভ।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস - Khulna Model School & College"। ২৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ সরকারিকরণ ও নিয়োগপ্রাপ্তদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি"। সময়ের খবর। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ"। খুলনা পিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]