খাদিম আলি পাশা
খাদিম আলি পাশা (তুর্কি:Hadım Ali Paşa; মৃত্যু জুলাই ১৫১১), আতিক আলী পাশা (তুর্কি:Atik Ali Paşa) নামেও পরিচিত, ছিলেন বসনীয় বংশোদ্ভূত একজন উসমানীয় রাজনীতিবিদ এবং নপুংসক[১] (তুর্কি ভাষায় হাদিম বা খাদিম মানে "নপুংসক")। তিনি রুমেলির গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৪৮৫-১৪৯১ সালের উসমানীয়-মামলুক যুদ্ধে উসমানীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন, কিন্তু ১৪৮৮ সালে আদানায় পরাজিত হন। তারপর ১৫০১ থেকে ১৫০৩ পর্যন্ত এবং আবার ১৫০৯ থেকে ১৫১১ পর্যন্ত তাকে গ্র্যান্ড উজির দেওয়া হয়েছিল। তার শেষের মেয়াদে, তিনি আলেভি-নেতৃত্বাধীন শাহকুলু বিদ্রোহ দমনের নেতৃত্ব দেন, কিন্তু বিদ্রোহী নেতা শাহকুলুর সাথে সিভাসের কাছে যুদ্ধে মারা যান।
খাদিম আলি | |
---|---|
২২তম উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম | |
কাজের মেয়াদ ১৫০৬ – ১৫১১ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় বায়েজিদ |
পূর্বসূরী | হেরসেকজাদা আহমাদ পাশা |
উত্তরসূরী | হেরসেকজাদা আহমাদ পাশা |
কাজের মেয়াদ ১৫০১ – ১৫০৩ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় বায়েজিদ |
পূর্বসূরী | মসিহ পাশা |
উত্তরসূরী | হেরসেকজাদা আহমাদ পাশা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দ্রোজগোমেতভা, বসনিয়া |
মৃত্যু | জুলাই ১৫১১ চুভুকোভা, কায়সেরি ও সিভাসের মাঝামাঝি, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
জাতীয়তা | উসমানীয় |
গুরুত্বপূর্ণ পরিবার | অস্তোয়া বা অস্তোজা |
সামরিক পরিষেবা | |
যুদ্ধ | শাহকুলু বিদ্রোহ † |
জীবন
সম্পাদনাতিনি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার দ্রোজগোমেতভা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।[২]
তিনি রুমেলির গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৪৮৫-১৪৯১ সালের উসমানীয়-মামলুক যুদ্ধে উসমানীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন, কিন্তু ১৪৮৮ সালে আদানায় পরাজিত হন। এরপর তিনি ১৫০১-১৫০৩ সালে এবং আবার ১৫০৯-১৫১১ সালে উজিরে আজম নিযুক্ত হন। তার শেষের মেয়াদে তিনি শিয়া-নেতৃত্বাধীন শাহকুলু বিদ্রোহ দমনের নেতৃত্ব দেন, কিন্তু ১৫১১ সালের জুলাই মাসে বিদ্রোহী নেতা শাহকুলুর সাথে সিভাসের কাছে যুদ্ধে নিহত হন।[৩][৪]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনাইস্তাম্বুলের ফাতিহ জেলায় তার নামে দুটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। একটি হল চেম্বেরলিতাশ পাড়ায় গাজি আতিক আলি পাশা মসজিদ (১৪৯৮ সালে সম্পন্ন) এবং অন্যটি কারাগুমরুক পাড়ায় ভাসাত আতিক আলি পাশা মসজিদ (১৫১২ সালে সম্পন্ন)।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Peirce, Leslie P. (১৯৯৩)। The Imperial Harem Women and Sovereignty in the Ottoman Empire। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 304। আইএসবিএন 9780195086775।
- ↑ "Islam Encyclopaedia" (তুর্কি ভাষায়)। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২২।
- ↑ Finkel, Caroline (২০০৬)। Osman's Dream: The Story of the Ottoman Empire 1300–1923। John Murray। পৃষ্ঠা 91–92, 99–101। আইএসবিএন 978-0-7195-6112-2।
- ↑ Prof. Yaşar Yüce-Prof. Ali Sevim: Türkiye tarihi Cilt II, AKDTYKTTK Yayınları, İstanbul, 1991 pp. 225–226