খাজা মিয়া (জন্ম: ৫ জুলাই ১৯৬৫) একজন বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যিনি সর্বশেষ সিনিয়র সচিব হিসেবে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পদায়িত ছিলেন। ওএসডি হবার পূর্বে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

খাজা মিয়া
সিনিয়র সচিব
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
২ জুন ২০২১ – ১১ জুলাই ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
মন্ত্রীআ. ক. ম. মোজাম্মেল হক
পূর্বসূরীতপন কান্তি ঘোষ
সচিব
তথ্য মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
৩০ নভেম্বর ২০২০ – ১ জুন ২০২১
মন্ত্রীহাছান মাহমুদ
উত্তরসূরীমকবুল হোসেন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1965-07-05) ৫ জুলাই ১৯৬৫ (বয়স ৫৯)
ফুলদাহ গ্রাম, কালিয়া, নড়াইল
দাম্পত্য সঙ্গীখালেদা আক্তার
সন্তানদুই পুত্র
প্রাক্তন শিক্ষার্থীডিউক বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বি এল কলেজ
পেশাসরকারি কর্মকর্তা

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

খাজা মিয়া ৫ জুলাই ১৯৬৫ সালে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] চাচুড়ী পুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮০ সালে এসএসসি এবং খুলনার সরকারি বিএল কলেজ থেকে ১৯৮২ এইচএসসি পাস করে ১৯৮৬ সালের নিয়মিত ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] সর্বশেষ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে স্ট্যাংদেনিং অব বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডার অফিসার্স বিষয়ক কোর্স সম্পন্ন করেন।

তার স্ত্রী খালেদা আক্তার, বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা যিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।পারিবারিক জীবনে তিনি স্ত্রী খালেদা আক্তার,দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূ নিয়ে সংসার করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

খাজা মিয়া বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের দশম ব্যাচের সদস্য হিসেবে ১৯৯১ সালে ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকুরিজীবনে তিনি সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট এবং সিলেটের বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ থানায় সহকারী কমিশনার, ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত নরসিংদী জেলায় এনডিসি হিসেবে কাজ করেন। রাজবাড়ী, নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ জেলায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্টেট হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৩ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।[২]

সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ও উপসচিব হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সাল থেকে চার বছর তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ২৮ নভেম্বর ২০১৯ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল থেকে ২৬ নভেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]

২৬ নভেম্বর ২০২০ সালে সচিব হিসেবে পদায়ন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।[৩]

১১ জুলাই ২০২৩ সালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দ্বায়ে খাজা মিয়াকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।[৫] ৪ জুলাই, ২০২৪ সালে ওএসডি থাকা অবস্থাতেই তিনি অবসরে যান।[৬]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক (২৬ নভেম্বর ২০২০)। "নতুন তথ্য সচিব খাজা মিয়া"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. নিজস্ব প্রতিবেদক (২৬ নভেম্বর ২০২০)। "নতুন তথ্য সচিব খাজা মিয়া"জাগো নিউজ২৪.কম। ৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (৩০ নভেম্বর ২০২০)। "মন্ত্রণালয়ে যোগ দিলেন নতুন তথ্যসচিব খাজা মিয়া"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. "নতুন তথ্য সচিব খাজা মিয়া যোগদান করেছেন"বাসস। ৩০ নভেম্বর ২০২০। ৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "সচিব খাজা মিয়া ওএসডি"bdnews24। ২০২৩-০৭-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১২ 
  6. "ওএসডি অবস্থাতেই অবসরে গেলেন সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া"