কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা

বাংলাদেশের একটি হাসপাতাল

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) বা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ঢাকার রাজারবাগে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পান।[][] ১৯৫৪ সালে হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল
বাংলাদেশ পুলিশ
হাসপাতালের মূল ফটক
মানচিত্র
ভৌগোলিক অবস্থান
অবস্থানরাজারবাগ, ঢাকা, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৪′০৮″ উত্তর ৯০°২৫′০১″ পূর্ব / ২৩.৭৩৫৬৬৬° উত্তর ৯০.৪১৬৯৭৬° পূর্ব / 23.735666; 90.416976
সংস্থা
তহবিলসরকার
ধরনবিশেষায়িত
পৃষ্ঠপোষকবাংলাদেশ পুলিশ
পরিষেবা
শয্যা৫০০টি []
ইতিহাস
নির্মাণ শুরু১৯৫৪
চালু১৯৫৪
সংযোগ
ওয়েবসাইটcph.police.gov.bd

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৫৪ সালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। ‘বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালসমূহ আধুনিকীকরণ(১৯৯৭-২০০৫)’ শীর্ষক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় এবং ২০২১ সালে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।[][]

অবকাঠামো

সম্পাদনা

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালটি ৪ তলাবিশিষ্ট ভবন। এটি স্টিল কাঠামোতে তৈরি করা হয়েছে। অন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ, জরুরী বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।[]

পরিষেবা

সম্পাদনা

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে শুধু বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে।

হাসপাতালটি বিভিন্ন বিভাগ আছে। উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ হলঃ[][]

  • কার্ডিওলজি বিভাগ
  • গাইনি ও অবস বিভাগ
  • অর্থোপেডিক বিভাগ
  • শিশু বিভাগ
  • মেডিসিন বিভাগ
  • জেনারেল সার্জারি বিভাগ
  • নেফ্রোলজি বিভাগ
  • ইএনটি বিভাগ
  • ডার্মাটোলজি বিভাগ
  • চক্ষু বিভাগ
  • দন্ত বিভাগ

এছারাও এই হাসপাতালে রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং ও ল্যাবরেটরি, ইকো-কার্ডিওগ্রাম , ব্লাড ব্যাংক, অপারেশন থিয়েটার, ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাম, ডায়ালাইসিস ইউনিট, ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফী, ১৬০ স্লাইচ সিটিস্ক্যান,ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, এমআরআই মেশিন, ইটিটি সুবিধা রয়েছে।[]

জনবল কাঠামো

সম্পাদনা

২০২০ সালের তথ্য অনুসারে, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ১২০টি চিকিৎসক পদ আছে।[] দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর মোট ১৬৬ পদের মধ্যে ৪০টি(১২৬ জন কর্মরত) শূন্য আছে।[]

করোনাকালীন ভূমিকা

সম্পাদনা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবা প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতালে শুরু করা হয়।[] আক্রান্ত এবং সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে হাসপাতাল ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সিআইডি ট্রেনিং স্কুল, সিদ্ধেশ্বরী কলেজে সহ বিভিন্ন জায়গাতে রেখে চিকিৎসা সেবা শুরু করেন এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।[]

তবে হাসপাতালটি করোনা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।[][১০] হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি দিয়ে করোনা রোগী ভাল করার চেষ্টা করা হয়।[১১] তাছাড়া হোমিও চিকিৎসা দিয়েও চেষ্টা করা হচ্ছে।[১২][১৩]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল আউটডোর উদ্বোধন"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  2. "কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা"cph.police.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. ইসলাম, নজরুল। "কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মাত্র ১০ শয্যার কোয়ারেন্টিন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  4. "রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে আউটডোর উদ্বোধন"jagonews24.com। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  5. আলম, এম জাহাঙ্গীর (১৩ মে ২০২০)। "করোনা চিকিৎসা: কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তুলনামূলক কম আক্রান্ত"unb.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২০ 
  6. "কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ভবন উদ্বোধন"দৈনিক ইত্তেফাক। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  7. "Manpower of Central Police Hospital, Dhaka"cph.police.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "করোনা: রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন সবচেয়ে বেশি রোগী"Bangla Tribune। ২০২০-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  9. "হিমশিম পুলিশ হাসপাতাল"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  10. "করোনাভাইরাস: কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রশংসায় চীনের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা"চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২০-০৬-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  11. "করোনায় প্লাজমা থেরাপিতে বিস্ময়কর সাফল্য দেখছে পুলিশ হাসপাতাল"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  12. হাসনাত, রাকিব (২০২০-০৬-০২)। "পুলিশ হাসপাতালে হোমিও ঔষধও নিচ্ছেন অনেকে, কাজ হচ্ছে?"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  13. "পুলিশ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা