কৃষ্ণা দাশগুপ্ত (১৯৩৭-২০১৩) (কৃষ্ণা গাঙ্গুলি নামে ২৯ ডিসেম্বর ১৯৩৭ জন্মগ্রহণ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান বাঙালি শাস্ত্রীয় গায়িকা এবং সংগীত শিক্ষিকা ছিলেন।তিনি বিশেষত ১৯৫০,৬০ এবং ৭০ এর দশকে বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে এবং চলচ্চিত্র ব্যতীতও অসংখ্য গান গেয়েছিলেন।[] তিনি পশ্চিমবঙ্গের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে (এআইআর) ১৯১৩ সাল থেকে প্রত্যূষে প্রচারিত জনপ্রিয় বিশেষ বাংলা রেডিও অনুষ্ঠান মহিষাসুরমর্দিনীতে কণ্ঠদানের জন্য বহুলভাবে পরিচিত।[]

শ্রীমতী কৃষ্ণা দাশগুপ্ত
শ্রীমতী কৃষ্ণা দাশগুপ্ত
শ্রীমতী কৃষ্ণা দাশগুপ্ত
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামকৃষ্ণা গাঙ্গুলি
জন্ম(১৯৩৭-১২-২৯)২৯ ডিসেম্বর ১৯৩৭
জানাই, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মৃত্যু২০১৩ (বয়স ৭৫–৭৬)
ধরনপ্লেব্যাক সংগীতশিল্পী
পেশাসংগীতশিল্পী

প্রথম জীবন

সম্পাদনা

কৃষ্ণা দাশগুপ্ত ১৯৩৭ সালের ২৯শে ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলির জনাই শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি খ্যাতিমান ভারতীয় শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পী আচার্য তারাপদ চক্রবর্তী এবং ওস্তাদ আমির খানের একজন বিখ্যাত শিষ্য ছিলেন।[]

কর্ম জীবন

সম্পাদনা

কৃষ্ণা দাশগুপ্ত একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন গায়িকা ছিলেন। বিশেষত খেয়াল, ঠুমরি, ভজনের পাশাপাশি বাংলা আধুনিক গানের জন্যও তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। তাঁর সঙ্গীত পরিবেশন একটি বিশেষ ধরনের ছিল, যেটি তাঁর গানগুলোকে অনন্য করে তুলেছিল। তিনি পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ রচিত গানে নেপথ্য কন্ঠদান করার পাশাপাশি অসমাপ্ত (১৯৫৬), একতারা (১৯৫৭), রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮)[] , ভ্রান্তি, নদের নিমাই (১৯৬০) এবং বিপাশা (১৯৬২)র মতো বাংলা চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। অন্যদের মধ্যে, বাসু ভট্টাচার্য পরিচালিত হিন্দি চলচ্চিত্র তুমহারা কাল্লু (১৯৭৫)তেও গান গেয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংগীত সম্মেলনেও গান করেছিলেন।[][]

তিনি পশ্চিমবঙ্গের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে (এআইআর) ১৯১৩ সাল থেকে প্রত্যূষে প্রচারিত জনপ্রিয় বিশেষ বাংলা রেডিও অনুষ্ঠান মহিষাসুরমর্দিনীতে কণ্ঠদানের জন্য বহুলভাবে পরিচিত। কর্মসূচীতে তিনি অখিল বিমান তব জয়গানে গানটি গেয়েছিলেন।[][]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার

সম্পাদনা

কৃষ্ণ দাশগুপ্ত ২০১৩ সালে কলকাতায় মারা যান।

তাঁর ছাত্রদের মধ্যে একজন, প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক রামানন্দ সেনগুপ্তের কন্যা নন্দিনী চক্রবর্তী, তাঁর জীবন নিয়ে হারানো সুর নামক একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহির্গত লিঙ্কসমূহ

সম্পাদনা