তারাপদ চক্রবর্তী
তারাপদ চক্রবর্তী (১৯০৯-১৯৭৫) ছিলেন কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীতাচার্য।
তারাপদ চক্রবর্তী | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৩ এপ্রিল ১৯০৯ কোটালিপাড়া, ফরিদপুর জেলা |
মৃত্যু | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী, লেখক |
কর্মজীবন | ১৯২৫ - ১৯৭৫ |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রভাবতী দেবী |
জন্মসম্পাদনা
সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়ায় এক সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত কুলচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা দুর্গারানী দেবী। তার পিতা, পিতামহ এবং প্রপিতামহ সকলেই সংগীতে পারদর্শী ছিলেন। সেই সূত্রে তিনি পরিবার থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।[১][২]
সঙ্গীতচর্চাসম্পাদনা
কলকাতা বেতারে তবলা বাদকের চাকরি নেন। ক্রমেই উচ্চাঙ্গের শিল্পী হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। বাংলা খেয়াল ও বাংলা ঠুমরী গানের প্রবর্তক তিনি। তারাপদ বিভিন্ন সময়ে ওস্তাদ এনায়েত খাঁ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ হাফিজ আলী খাঁ প্রমুখ সঙ্গীত সম্রাটের সঙ্গে তবলা সঙ্গীত করেন।[৩] সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী কয়েকটি নূতন রাগের সৃষ্টি করেন। “ছায়াহিন্দোল” তার মধ্যে অন্যতম। [২][৪]
গ্রন্থসম্পাদনা
সুরতীর্থ নামে তার একটি গ্রন্থ আছে।
উপাধিসম্পাদনা
তিনি বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত হন। ভাটপাড়া পণ্ডিতসমাজ কতৃর্ক সঙ্গীতাচার্য, বিদ্বৎ সম্মিলনী থেকে সঙ্গীতরত্নাকর ও কুমিল্লা সংগীত পরিষদ থেকে ‘’সংগীতার্ণব’’ উপাধি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি সংগীত-নাটক অ্যাকাডেমির সদস্য নির্বাচিত হন এবং রাজ্য সরকারের আকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে জীবনসায়াহ্নেপদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করলে তিনি ওই উপাধি গ্রহণে অসম্মতি জানান। তিনি বিশ্বভারতীর নির্বাচন-বোর্ডের সদস্য ছিলেন। [৪]
মৃত্যুসম্পাদনা
তিনি ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে কলকাতায় মারা যান।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাপিডিয়া
- ↑ ক খ "ছায়াহিন্দোল"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১১।
- ↑ সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ১৮৫।
- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২৭০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬