কুরুক্ষেত্র জেলা
কুরুক্ষেত্র জেলা উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে একটি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান কুরুক্ষেত্র শহরটি এই জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর। জেলাটির আয়তন ১,৫৩০.০০ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার জনসংখ্যা হল ৯,৬৪,৬৫৫ জন (২০১১ শুমারি)। এই জেলাটি আম্বালা বিভাগের অন্তর্গত। কুরুক্ষেত্রও শ্রীমদ্ভাগবদগীতার ভূমি। জ্যোতিসর কুরুক্ষেত্র এমন এক স্থান যেখানে কৃষ্ণ মহাভারতে অর্জুনকে গীতার উপদেশ প্রচার করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
কুরুক্ষেত্র জেলা | |
---|---|
হরিয়ানা জেলা | |
![]() হরিয়ানায় কুরুক্ষেত্র জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হরিয়ানা |
সদর দপ্তর | কুরুক্ষেত্র |
তহসিল | ১. থানেসার, ২. শাহাবাদ ৩. পেহোয়া, ৪. লাডওয়া |
আয়তন | |
• মোট | ১,৫৩০ বর্গকিমি (৫৯০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৯,৬৪,৬৫৫ |
• জনঘনত্ব | ৬৩০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২৬.১০ |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৭৬.৩১ |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৮৮৮ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
লোকসভা কেন্দ্রগুলি | কুরুক্ষেত্র (যমুনা নগর ও কৈথল জেলার সাথে ভাগ করা) |
বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | ৪ |
ওয়েবসাইট | http://kurukshetra.gov.in/ |
নামের উৎপত্তিসম্পাদনা
জেলার নামকরণ কুরুক্ষেত্রের প্রাচীন অঞ্চল থেকে করা হয়েছে, যার আক্ষরিক অর্থ কুরুদের দেশ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মহাভারত পুরাণে বর্ণিত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ এখানে হয়েছিল এবং শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধের আগে অর্জুনকে ভাগবত গীতা প্রচার করেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৭৩ সালে জেলাটি পূর্ববর্তী কর্নাল জেলা থেকে পৃথক করা হয়। পরবর্তীকালে এই জেলার কিছু অংশ কৈথাল এবং যমুনা নগর জেলা গঠনের স্থানান্তরিত করা হয়।
বিভাগসম্পাদনা
কুরুক্ষেত্র জেলা দুটি মহকুমা নিয়ে গঠিত। মহকুমা দুটি হল- থানেসার ও পেহোয়া। থানেসার মহকুমা দুই তহশিল এবং দুই উপ- তহশিল নিয়ে গঠিত। তহশিল দুটি হল থানেসার এবং শাহাবাদ এবং উপ- তহশিল দুটি হল লাদুওয়া এবং বাবাইন। পেহোয়া মহকুমা পেহোয়া তহসিল ও ইসমাইলবাদ উপ-তহসিল নিয়ে গঠিত। এই জেলায় উল্লেখযোগ্য শহরগুলি হল - কুরুক্ষেত্র, থানেসার এবং পেহোয়া। পাঞ্জাব সীমান্তে অবস্থানের কারণে এই জেলাতে শিখদের জনসংখ্যাও যথেষ্ট।
আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসবসম্পাদনা
কুরুক্ষেত্র কেবল মহাভারতের ভূমি হিসাবে পরিচিত ভূমি নয়; এটি ভগবান কৃষ্ণ দ্বারা অর্জুনকে দেওয়া জীবনদর্শন এবং কর্মফলের জন্যও পরিচিত। আজ থেকে ৫০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবাদ গীতা এবং সম্প্রদায়ের থেকে মুক্ত এক ধর্মগ্রন্থ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। নিষ্কামকর্মের বার্তার জন্য এটি বিশ্বজুড়ে সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল, যা সমস্ত যুগে অনেক প্রাসঙ্গিক।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুরুক্ষেত্র জেলার জনসংখ্যা ৯,৬৪,২৩১ জন,[২] যা ফিজি রাষ্ট্রের সমান[৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যের সমান। [৪] জনসংখ্যার হিসাবে এটি ভারতে ৪৫৩তম স্থানে রয়েছে (মোট ৬৪০ টির মধ্যে)। জেলাটির জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৩০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৬০০ জন/বর্গমাইল)। ২০০১-১১ সময়কালে এক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৬.৮১%। কুরুক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৮৮৯ জন মহিলা রয়েছেন এবং সাক্ষরতার হার ৭৬.৭%। ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির সময়ে জেলার জনসংখ্যার ৮১.৯৪% হিন্দি এবং ১৭.৪৭% পাঞ্জাবি তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে দাবি করেছিলেন।[৫]
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ১,৭৫,৭৩৫ | — |
১৯১১ | ১,৫৮,৮০৭ | −৯.৬% |
১৯২১ | ১,৬৪,৫৬০ | +৩.৬% |
১৯৩১ | ১,৬৯,০০২ | +২.৭% |
১৯৪১ | ১,৯৭,১৫৭ | +১৬.৭% |
১৯৫১ | ২,১৯,৪৫৫ | +১১.৩% |
১৯৬১ | ৩,৪১,৯০৬ | +৫৫.৮% |
১৯৭১ | ৪,৬৫,২২২ | +৩৬.১% |
১৯৮১ | ৫,৪২,৪২৩ | +১৬.৬% |
১৯৯১ | ৬,৬৯,৩৪৬ | +২৩.৪% |
২০০১ | ৮,২৫,৪৫৪ | +২৩.৩% |
২০১১ | ৯,৬৪,৬৫৫ | +১৬.৯% |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ http://www.census2011.co.in/census/district/211-kurukshetra.html
- ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Fiji 883,125 July 2011 est.
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Montana 989,415
- ↑ 2011 Census of India, Population By Mother Tongue