কুন্তল বিশ্বাস (জন্ম: ৯ আগস্ট, ১৯৪৬ - মৃত্যু: ১৫ জানুয়ারি, ২০১২) বাংলাদেশের রাজনীতিক, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেত্রকোণা জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি জেলা সিপিবির সাবেক সম্পাদক ছাড়াও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্মিলন পরিষদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য ছিলেন। [১]

কুন্তল বিশ্বাস
জন্ম (1946-08-09) ৯ আগস্ট ১৯৪৬ (বয়স ৭৭)
মৃত্যুজানুয়ারি ১৫, ২০১২(2012-01-15) (বয়স ৬৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণরাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক

জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

কুন্তল বিশ্বাস ১৯৪৬ সালের ৯ আগস্ট নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মন্তলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে সম্মানসহ এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন সম্পাদনা

কুন্তল বিশ্বাস ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনসহ রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে বজলুর রহমানের সম্পাদনায় ‘সাপ্তাহিক একতা’ প্রকাশিত হলে তিনি সেখানে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ন্যাপ, সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত গেরিলা বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই জড়িত ছিলেন বাম রাজনীতির সঙ্গে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের জগন্নাথ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬৬'র ৬ দফা, ৬৭'র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯'র গণঅভু্যত্থান, ৭০'র নির্বাচনসহ ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিনগুলোতে তিনি গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[২] সিপিবির সহযোগিতায় ১৯৭৩ সালে জার্মানির বার্লিনে যান। সেখানে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক কারণে দুবার তিনি কারাবরণ করেন। [৩] পরবর্তীতে আশির দশকে তিনি আবার নেত্রকোণা ফিরে আসেন। পরে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজ-এর নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে আবারও সাংবাদিকতায় ফেরেন। এরপর ১৯৯৮ সালে প্রথম আলো প্রকাশিত হলে তিনি সেখানে একই পদে যোগ দেন।

পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ইউকে বিডি নিউজ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. দৈনিক জনকন্ঠ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. দৈনিক প্রথম আলো[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহি:সংযোগ সম্পাদনা