কাঠিয়াবাবা কা স্থান, বৃন্দাবন
কাঠিয়াবাবা কা স্থান ভারতের উত্তর প্রদেশের, মথুরা জেলার, বৃন্দাবন গুরুকুল রোডে অবস্থিত।[১][২] এই আশ্রমের স্থাপত্যশৈলী এবং সৌন্দর্য পূর্ণনকশা বহু প্রচীনযুগের কাঠিয়াবাবা স্থাপত্য নির্দশন।[৩] এই মন্দিরটি নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের প্রধান মন্দির এবং কাঠিয়াবাবা কা স্থান (হেড ওয়াটার) নামে সুপরিচিত। এই মন্দির থেকেই বিশ্বের সকল দেশের নিম্বার্ক মন্দির ও আশ্রম পরিচালিত হয়।[৪]
কাঠিয়াবাবা কা স্থান, বৃন্দাবন | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দু মন্দির |
উৎসব |
|
পরিচালনা সংস্থা | কাঠিয়াবাবা চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট, বৃন্দাবন |
অবস্থান | |
অবস্থান | বৃন্দাবন |
রাজ্য | উওর প্রদেশ, মথুরা, ভারত |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৭°২০′৩৪″ উত্তর ৭৭°২৪′৫৫″ পূর্ব / ২৭.৩৪২৯° উত্তর ৭৭.৪১৫২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | পাশ্চাত্য স্থাপত্য শৈলীর আদলে দ্বারা নবনির্মিত মন্দির |
প্রতিষ্ঠাতা | সন্তদাস কাঠিয়াবাবা |
দৈর্ঘ্য | প্রায় ৭০ একর জমি |
ইতিহাস
সম্পাদনাশ্রীশ্রী কাঠিয়াবাবা কা স্থান ভারতের উত্তর প্রদেশ, মথুরা জেলা, বৃন্দাবনের প্রাণ কেন্দ্র গুরুকুল রোড অবস্থিত। নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের বাংলার প্রথম নিম্বার্ক মহন্ত, কুম্ভ মেলার সাবেক প্রেসিডেন্ট, ওরফে তারাকিশোর চৌধুরীর/শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী সন্তদাস কাঠিয়াবাবা গুরুদেবের সঙ্গে তিনি অনেক বার ব্রজ পরিক্রমায় গেছলেন এবং সব সময় তিনি গুরুদেবের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন।[৫] ছিন্নু সিং যে জমিটি শ্রীশ্রী কাঠিয়া বাবাজী মহারাজকে দান করেছিলেন সেখানে গুরুদেবের জন্য একটি আশ্রম তৈরী করার পরিকল্পনা শ্রী তারা কিশোর চৌধুরী করলেন। গুরুদেবের অনুমতি নিয়ে তিনি একটি বৃহৎ আশ্রমের নির্মাণ করতে লাগলেন। তিনি কলকাতা থেকে অর্থ পাঠাতেন এবং শ্রীশ্রী কাঠিয়া বাবাজী মহারাজের তত্ত্বাবাধানে বৃন্দাবনে “কাঠিয়াবাবা কা স্থান” তৈরী হতে লাগল। কিন্তু আশ্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই শ্রীশ্রী কাঠিয়া বাবাজী মহারাজ মর্ত্য দেহ লীলা সম্বরণ করে ব্রহ্মলীন হয়ে গেলেন। তাঁর গুরুদেবের দেহাবসানের পরও শ্রী তারাকিশোর আশ্রম তৈরী করার কাজটি অব্যাহত রাখলেন। বরং তাঁকে এই কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য প্রায় বত্রিশ হাজার টাকা ঋণ করতে হয়েছিল। কিন্তু শ্রীশ্রী গুরুদেবের কৃপায় সেই ঋণ তিনি অল্প সময়ের মধ্যে শোধ করে দিলেন। ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দে এই আশ্রমটি নিজ হস্তে পূর্ণনির্মাণ করেছিলেন। এই আশ্রমটি শুধু বৃন্দাবন নয় শুধু ভারত বর্ষে নয় তথা সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দুধর্ম নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ ও অনুসারীদের প্রার্থনা স্থল। প্রতিষ্ঠা লঙ্ঘন থেকেই আশ্রমটি হিন্দুধর্মালম্বী সাধু-বৈষ্ণব, ভক্তগণের সাধন-ভজন অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আজ পর্যন্ত হিন্দুধর্মের ঐতিহ্য ও ইতিহাস বহন করে চলছে এই আশ্রমটি।[৬]
উৎসব
সম্পাদনা- ৮৪ ক্রোশ বজ্র পরিক্রমা- সমগ্র বৃন্দাবন পদ বজ্রে পরিক্রমা করেন শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী রাসবিহারীদাস কাঠিয়াবাবা মহারাজ ও সকল সাধু-বৈষ্ণব, নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ গণ।[৭]
ভগবান পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথি, রাধা রাণীর জন্মাষ্টমী তিথি, নিম্বার্ক জয়ন্তী মহোৎসব, রামদাস কাঠিয়াবাবার আবির্ভাব ও তিরোভাব মহোৎসব,সন্তদাস কাঠিয়াবাবার আবির্ভাব ও তিরোভাব মহোৎসব, ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবার আবির্ভাব ও তিরোভাব মহোৎসব, বর্তমান আর্চায্য শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী রাসবিহারীদাস কাঠিয়াবাবার আবির্ভাব মহামহোৎসব, চন্দন যাত্রা, রথযাত্রা মহোৎসব, দোলযাত্রা, রাসযাত্রা।[৮]
পরিচালনা
সম্পাদনাআশ্রমটি বর্তমান পরিচালনা ও দিক নির্দেশনা করেন নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের ৫৭তম আচার্য্য ব্রজবিদেহী শ্রীমহন্ত অনন্ত শ্রীবিভূষিত শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী রাসবিহারীদাস কাঠিয়াবাবা মহারাজ এবং আশ্রমের নিজস্ব পরিচালনা কমিটি রয়েছেন।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Title: Vrindavan Kumbh Mela:हाथी, घोड़ा और ऊंटों की सवारी के साथ निकलेगी कुंभ मेला की ध्वजा - Vrindavan Kumbh Mela 2021 Date Shobhayatra Will Held On Basant Panchami In Vrindavan - Amar Ujala"। www.google.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।
- ↑ "মহাযজ্ঞের আয়োজন: কাঠিয়াবাবা কা স্থান, বৃন্দাবন শ্রী রামদাস কাঠিয়াবাবার আশ্রমে ৬ মে ভাগবত কথা ও বিষ্ণু মহাযজ্ঞ শুরু হবে"।
- ↑ "हाथी, घोड़ा और ऊंटों की सवारी के साथ निकलेगी कुंभ मेला की ध्वजा"। Amar Ujala (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।
- ↑ "धर्म और आस्था की नगरी वृंदावन में ध्वजारोहण के साथ वैष्णव कुंभ शुरू, 40 दिन चलेगा आयोजन"। Amar Ujala (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।
- ↑ Shweta (২০২১-০২-০৬)। "वृन्दावन कुंभ मेला: हरिद्वार महाकुम्भ से पहले वृंदावन में लगेगा "कुम्भ मेला""। Religion World (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।
- ↑ "Kumbh Mela 2021: वृंदावन के यमुनातट पर श्रद्धालुओं को आकर्षित करेगी हठयोगियों की साधना, दिखेगा अनूठा दृश्य..."। Prabhat Khabar (হিন্দি ভাষায়)। ২০২১-০২-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।
- ↑ "मथुरा: कठिया बाबा की यात्रा में लोगों ने बिछाए पलक पांवड़े, बैंडबाजों पर झूमे श्रद्धालु"। www.amritvichar.com (হিন্দি ভাষায়)। ২০২২-০৯-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।
- ↑ "বৃন্দাবনে কাঠিয়াবাবা কা স্থানে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে- 2021"।
- ↑ "Title: Know history of Vrindavan Kumbh, elephants used to be the center of attraction - Vrindavan Kumbh का जानें इतिहास, हाथियों का रेला होता था आकर्षण का केंद्र - News Nation"। www.google.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১০।