হিলাল মসজিদ বা কাটাংকার হিলাল ওল্ড মসজিদ, যা কাটাংকা মসজিদ নামে বেশি পরিচিত, এটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসির একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। ১৬০৩ সালে গোয়ার সালতানাতের প্রথম মুসলিম শাসক সুলতান আলাউদ্দিন এটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিকে দক্ষিণ সুলাওয়েসির প্রাচীনতম মসজিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

মসজিদ তুয়াল হিলাল কাটাংকা
হিলাল পুরাতন মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানকাটাংকা, সোম্বা ওপু, গোওয়া, দক্ষিণ সুলাওয়েসি, ইন্দোনেশিয়া
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীজাভানীয় মুসলিম স্থাপত্য শৈলী
ভূমি খনন১৬০৩
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ0
মিনার0

বর্ণনা সম্পাদনা

 
গোয়ার সালতানাতের পতাকা
১৬০৩ সালে সুলতান আলাউদ্দিন কাটাংকা মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি ছিলেন গোয়ার সালতানাতের ১৪তম রাজা যিনি প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।[১] প্রাথমিকভাবে, এটি দুর্গ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ছিল; যা রাজা এবং তার রক্ষীদের নামাযের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হত। ঐতিহাসিক সময়ে জুমার নামাজের সময়ে খুতবা প্রদানকারী ইমামদের তলোয়ার বহনকারী দুই দেহরক্ষী দ্বারা পাহারা দেওয়া হত। মসজিদের মিম্বরটি আজ অবধি তিন-ধারী বর্শা দ্বারা বেষ্টিত। নামাযের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও মসজিদ ভবনটি যুদ্ধের সময় দুর্গ হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি মসজিদের শক্ত দেয়াল থেকে বোঝা যায়, যার পুরুত্ব ১২০ সেন্টিমিটার।[২]

কাটাংকা মসজিদ ছিল দক্ষিণ সুলাওয়েসিতে গোয়ার সালতানাতা এবং তালো রাজ্যের মত অঞ্চলগুলোতে ইসলামিক বিস্তারের কেন্দ্র ছিল। মসজিদের কাছেই সুলতান হাসানুদ্দিন এবং শেখ ইউসুফ মাকাসারি প্রভৃতি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সমাধি রয়েছে। সুলতান আলাউদ্দিন শেখ ইউসুফকে বান্তেন এবং আচেহ ভ্রমণের আগে ও শেষজীবনে দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত হওয়ার আগে, কাটাংকা মসজিদের আশেপাশে দেখাশোনা করেছিলেন। এছাড়াও তিনজন মিনাংকাবাউ পণ্ডিত যারা দক্ষিণ সুলাওয়েসিতে ইসলাম প্রচার করেছিলেন, যাদের নাম মসজিদে খোদাই করা আছে; দাতুক রি তিরো, দাতুক রিবান্দং এবং দাতুক পতিমাং।[১]

স্থাপত্যের দিক থেকে এটি জাভানিজ মুসলিম শৈলীর দেমাকের সালতানাত দ্বারা নির্মিত দেমাক মসজিদ দ্বারা প্রভাবিত। দেমাক মসজিদও সেসময়ে ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র ছিল। কাটাংকা মসজিদের ছাদের আকৃতি থেকে এটি বুঝা যায়।[২] মসজিদটি সাতবার সংস্কার করা হলেও মূল কাঠামোর ৮০% অক্ষত রয়েছে।[১] মিম্বর, মিহরাব এবং জানালাসহ মসজিদের কিছু অভ্যন্তরীণ উপাদানও তাদের আসল আকারে সংরক্ষিত আছে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Masjid Tua Katangka, Saksi Sejarah Masuknya Islam di Sulsel. IDN Times. Retrieved April 2, 2021.
  2. Masjid Katangka Tertua di Sulawesi Selatan. Republika. Retrieved April 2, 2021.