কাজী জালাল উদ্দিন আহমদ (জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৩০- মৃত্যু: ২৩ নভেম্বর ২০০৫) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে প্রতিরক্ষা সচিব হয়ে অবসর গ্রহণ করেন।

কাজী জালাল উদ্দিন আহমদ
কাজী জালাল উদ্দিন অাহমদ এর মুখচিত্র
কাজী জালাল উদ্দিন অাহমদ এর মুখচিত্র
জন্ম১ জানুয়ারি ১৯৩০
মৃত্যু২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাকলামিষ্ট ও শিক্ষাবিদ
উল্লেখযোগ্য কর্ম
তাঁর লিখা বই ADMINISTRATIVE LEADERSHIP
পিতা-মাতা
  • কাজী অাজাহার উদ্দীন (পিতা)
  • কানিজ জোহুরা (মাতা)

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী গ্রাম ভোলাহাটে ১ জানুয়ারি ১৯৩০ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ড.কাজী অাজাহারউদ্দীন এবং মাতার নাম কানিজ জোহুরা।[১]

শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

তিনি মালদহ জেলা স্কুল হতে ১৯৪৬ সালে মেট্রিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৫১ সালে রসায়নে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।[২]

পেশাগত জীবন

সম্পাদনা

তিনি পি.এস.সি. সম্পন্ন করে পাকিস্তান সরকারের সিভিল সার্ভিস ক্যাডারে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে পাবনা জেলা প্রশাসক হন। পরবর্তীকালে তিনি যোগাযোগ সচিব, শিক্ষা সচিবসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ চাকুরীরর পদ অলংকার করেন। তিনি দেশী ও অার্ন্তজাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু সংগঠনেরর সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৯ সালে প্রতিরক্ষা সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৩]

শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখেন। অাধুনিক শিক্ষা বিস্তারে রহনপুর ইউসুফ অালী কলেজ এ "কাজী জালাল উদ্দিন অাহমদ বিজ্ঞান ভবন" নির্মাণ করেন। পরিত্যক্ত "গিলাবাড়ি জামে মসজিদ"যা স্থাপিত ১২৩৬[৪] পুনরায় নির্মাণ করেন এবং বর্তমানে পরিচলানার সকল অর্থায়ন তাঁর সেবা ফান্ড করে থাকে।[৫] তাঁর লিখা ADMINISTRATIVE LEADERSHIP ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়।

মৃত্যুবরণ

সম্পাদনা

তিনি ২০০৫ সালের ২৩ নভেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ভোলাহটের ইতিহাস ও ঐতিহ্য,পৃষ্ঠা-২৩৩, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন
  2. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন অনুষদ
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২১ 
  4. গৌড়ের ইতিহাস-রজনীকান্ত চক্রবর্তী
  5. "কাজী জালালের বাগানে প্রাচীন মসজিদ"চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ২৩ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩