ভোলাহাট উপজেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা

ভোলাহাট উপজেলা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

ভোলাহাট উপজেলা
মানচিত্র
প্রতিক্রিয়াশীল মানচিত্রে ভোলাহাট উপজেলা
ভোলাহাট উপজেলা রাজশাহী বিভাগ-এ অবস্থিত
ভোলাহাট উপজেলা
ভোলাহাট উপজেলা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ভোলাহাট উপজেলা
বাংলাদেশে ভোলাহাট উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৬′৮″ উত্তর ৮৮°১২′৪″ পূর্ব / ২৪.৯৩৫৫৬° উত্তর ৮৮.২০১১১° পূর্ব / 24.93556; 88.20111 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
আয়তন
 • মোট১২৩.৫২ বর্গকিমি (৪৭.৬৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা [১]
 • মোট১,২০,৪২৯
 • জনঘনত্ব৯৭০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৭০ ১৮
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা

এই উপজেলাটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সর্ব পশ্চিমের চারটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত। আয়তন ১২৩.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৮´ থেকে ২৪°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০৮´ থেকে ৮৮°১৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।এর উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে শিবগঞ্জ উপজেলাগোমস্তাপুর উপজেলা

ইতিহাস সম্পাদনা

ভোলাহাট ছিল ঐতিহাসিক গৌড়ের উপশহর। প্রাচীন বঙেগর রাজধানী ঐতিহাসিক গৌড় নগর্। এ উপজেলার লাগোয়া, ঠিক পশ্চিমে ঐতিহাসিক আবুল ফজল খ্যাত “ছাটিয়া ভাটিয়ার” বা আধুনিক ঐতিহ্যবাহী ভাতিয়া বিলের পশ্চিম সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। তাই ভোলাহাট-এর ইতিহাস গৌড় নগরী-কেন্দ্রীক। ভোলাহাট-এ কখন জনবসতি গড়ে উঠেছিল, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।

ভূতত্ত্ব সম্পাদনা

বাংলাদেশের ভূখণ্ড সৃষ্টি করেছে দেশটির অসংখ্য ছোট-বড় নদী। ভূতত্ত্বিকদের ধারণা যে, আনুমানিক বিশ-বাইশ কোটি বছর আগে এ অঞ্চলটি (সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চল) সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত ছিল। হিমালয়ের পলি জমে স্তরে স্তরে গড়ে উঠেছে ভূখণ্ডটি। মহানন্দা ও পদ্মা নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগের প্রায় ৮,৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে যে বরেন্দ্র অঞ্চল, তা পলি গঠিত সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১৫-৪০ মিটার উঁচু।

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

এই উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

২০০১ সালের আদমশুমারি বাংলাদেশ[২] অনুযায়ী ভোলাহাট উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৯২,১৪৯ জন। পুরুষ জনসংখ্যার ৫০.৫৮%, এবং নারী ৪৯.৪২%। এই উপজেলা পরিবারের হল ১৯,২৫৭টি। বাংলাদেশ আদমশুমারি, ২০০১ হিসাবে সাক্ষরতার হার ৩৯.২২% এবং পুরুষ সাক্ষরতার হার ৩৯.৭১% ও মহিলা সাক্ষরতার হার ৩৮.৭৪%।

শিক্ষা সম্পাদনা

কৃষি সম্পাদনা

এখানে আম, ধান, রেশম এবং চর অঞ্চলে আখের চাষ হয়।

অর্থনীতি সম্পাদনা

ভোলাহাট উপজেলা প্রধানত আমের উপর নির্ভরশীল। তবে রেশম শিল্পটি এখনও বেঁচে রয়েছে। মূলত ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক অঞ্চলে রেশমের ব্যবসা এখন বিদ্যমান।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে দুই রুটে সড়ক পথে ভোলাহাট উপজেলা সদরে যাওয়া যায়।

১) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে কানসাট হয়ে বড়গাছী বাজারের উপর দিয়ে....

২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে রহনপুর হয়ে....

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি সম্পাদনা

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

১) মহানন্দা নদী

২) কাজী জালাল সাহেবের তিন শত বিঘা জমির উপর আম বাগান।

৩) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল ভাতিয়া বিল

৪) জামবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোট জামবাড়িয়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রাচীন মসজিদ।

৫) "তালপল্লী" পর্যটনকেন্দ্র

৬) নয়নাভিরাম বজরাটেক ঘাট

৭) মুজিবনগর আবাসন

৮) টাঙ্গন (মহানন্দা ও টাঙ্গন নদীর মোহনা)

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "এক নজরে ভোলাহাট"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। ৪ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪ 
  2. ২০০১ আদমশুমারি বাংলাদেশ। ১৫ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা