কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর

কুষ্টিয়া জেলার একটি জাদুঘর

কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি স্মৃতি জাদুঘর[১][২] কুষ্টিয়া জেলার কৃতি সন্তান গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকার সম্পাদক ও কবি কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি স্মরণে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।[৩][৪] জাদুঘরটি ২০১৭ সালে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।[৫]

কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত২০১৩; ১১ বছর আগে (2013)[৫]
অবস্থানকুমারখালী পৌরসভা, কুষ্টিয়া জেলা
স্থানাঙ্ক২৩°৫১′২১″ উত্তর ৮৯°১৪′১৩″ পূর্ব / ২৩.৮৫৫৮৯৪৬° উত্তর ৮৯.২৩৬৮৪৬৮° পূর্ব / 23.8558946; 89.2368468
ধরনস্মৃতি জাদুঘর
প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
নিকটবর্তী পার্কিংপাশেই (কোন চার্জ নেই)
ওয়েবসাইটkangalharinath.org.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হরিনাথ মজুমদার একজন উল্লেখযোগ্য ও আলোচিত মানুষের মধ্য একজন। তার জীবন দশায় কর্মকান্ড বিজড়িত স্মৃতি ধরে রাখার একান্ত প্রয়াসে কুষ্টিয়াবাসির দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাদুঘরটি উদ্ভোধন করেন। জাদুঘরটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শাখা জাদুঘর। কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরটি ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে দর্শকদের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে।[৫]

হরিনাথ মজুমদার সম্পাদনা

হরিনাথ মজুমদার (জন্ম: ২২ জুলাই,: ১৮৩৩ - মৃত্যু: ১৬ এপ্রিল, ১৮৯৬) উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা লোকসংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। তিনি বাউল সঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি সর্বসমক্ষে ফকির চাঁদ বাউল নামেও পরিচিত ছিলেন। অধিকন্তু তিনি গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশের জন্যও প্রসিদ্ধ।

জাদুঘরের অবকাঠামো সম্পাদনা

জাদুঘরের মূল ভবনটি দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবন।

নিচতলায় সম্মেলনকক্ষ, ছোট আকারের মিলনায়তন, পাশে লাগোয়া পাঠাগার। প্রায় ২৮ শতক জমির ওপর জাদুঘরটি অবস্থিত।[৩]

সংগ্রহশালা সম্পাদনা

জাদুঘরের সংগ্রহশালায় রয়েছে হরিনাথ মজুমদারের সুবিন্যস্ত বিভিন্ন হস্তলিপি, কবিতা, লেখা-লেখির খসড়া, পত্রপত্রিকার প্রচ্ছদ, মুদ্রণকাজের নানা সরঞ্জাম, বেশ কয়েকটি কাঠের ব্লক ইত্যাদি।[৩] জাদুঘরটিতে একটি গ্যালারিতে ১৭০ টি নিদর্শন রয়েছে।[৫]

জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ছাপাখানা জাদুঘরে স্থান পায়নি। মুদ্রণযন্ত্রটি কেন জাদুঘরে দেননি-জানতে চাইলে হরিনাথের পঞ্চম পুরুষ অশোক মজুমদার-এর স্ত্রী গীতা মজুমদার বলেন,

এ ব্যাপারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আমি লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমার কিছু বিষয় আছে, সেগুলো তাদের জানানো হয়েছে।[৪]

পরবর্তীতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ছাপাখানাটি (গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা) জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। এই সময় ছাপাখানাটি বাস্তুভিটা থেকে জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়। জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সূত্র অনুযায়ী, চুক্তিপত্র হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষর করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন[৬]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. মিজানুর রহমান নয়ন, কুষ্টিয়া (কুমারখালী) প্রতিনিধি (২০২৩-০৭-১৬)। "কাঙ্গাল হরিনাথের ছাপাখানা যাচ্ছে জাদুঘরে"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  2. "সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন-গণপূর্ত বিভাগ, কুষ্টিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  3. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (২০২২-১০-১৮)। "কাঙাল হরিনাথ জাদুঘর ও কিছু কথা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  4. তৌহিদ হাসান, কুষ্টিয়া (২০১৮-০৭-২৩)। "নান্দনিক এক জাদুঘর"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  5. "কাঙাল হরিনাথ মজুমদার"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০ 
  6. এ.এইচ.এম. আরিফ, কুষ্টিয়া (২০২৩-০৭-১৮)। "অবশেষে জাদুঘরে যাচ্ছে পত্রিকার ছাপাখানা"আলোকিত বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২০