যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ যে সংস্কৃতি লালন করে আসছে সাধারণ অর্থে তাই লোকসংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতির বিশেষত্ব নিহিত আছে 'লোক' কথাটির মধ্যে। লোক সংস্কৃতির জন্ম সাধারণ মানুষের মুখে মুখে, তাদের চিন্তায় ও কর্মে। ঐতিহ্যনুসারে বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্টীর ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস, আচার-আচরণ ও অনুষ্ঠান, জীবন-যাপন প্রণালী, শিল্প ও বিনোদন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা সংস্কৃতিকে সহজ ভাষায় লোকসংস্কৃতি বলা হয়।

আদিকাল থেকেই বাঙালীরা লোক সংস্কৃতি লালন করে আসছে। বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতি এদেশের কৃষিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটি বিরাজমান রয়েছে, তবে কালের পরিক্রমায় অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে।

কিছু রীতি বা আচারের উপর ভিত্তি করে লোক সংস্কৃতি গড়ে উঠে। যেমনঃ

ভূতের ভয়ঃ লোকসমাজে ভুতের ভয় থেকে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্র, যেমনঃ শাঁখচুন্নি, মামদো ভুত ইত্যাদি। এছারা ভূত তাড়ানোর পেশা যেমনঃওঝা প্রভৃতিও তৈরি হয়েছে!

অশুভ দৃষ্টি থেকে বাচাঁর জন্যঃ লোক সমাজে বিশ্বাস রয়েছে বাচ্চার উপর অশুভ দৃষ্টি পড়লে তার ক্ষতি হতে পারে, এজন্য প্রায়শই বাচ্চাদের কপালের পাশে কাজলের টিপ দেয়া হয়।

গায়ে হলুদঃ এটি এক ধরনের রীতি ভিত্তিক অনুষ্ঠান।এটি সাধারণত বিয়ের আগের দিন বা এক দিন আগে পালন করা হয়, তবে বর্তমানে অনেকে তিনদিন আগেও পালন করে।লোকসংস্কৃতির প্রধান উপাদানগুলোকে দুইটি প্রধান ধারায় ভাগ করা হয়।

যেমন:১.বস্তুগত (material) ২.অবস্তুগত(abstract):