কাগজি

নিমফ্যালিডি পরিবারের প্রজাপতি

কাগজি (বৈজ্ঞানিক নাম: Cyrestis thyodamas (Boisduval)) এক প্রজাতির মাঝারি আকারের পাহাড়ী অরণ্যবাসী প্রজাপতি।[১] পাহাড়ে ৮০০০ফুট উচ্চতা অবধি এদের দেখা মেলে। কাগজির মূল শরীর হালকা হলদেটে সাদা বর্ণের এবং ডানাদুটি মানচিত্রের ন্যায় সীমানাচিহ্নের মতো সরু সরু কালো রেখায় চিত্রিত। সামনের ডানার শীর্ষে এবং উভয় ডানার কিনারাতে গাঢ় খয়েরি রঙের পটি লক্ষ্য করা যায়। নিচের ডানার নিম্নভাগে কমলা রঙ এর ছোঁয়া থাকে।[২] মিঃ বেল লিখেছেন আর কোন ভারতীয় প্রজাপতি এতক্ষণ ডানা না কাঁপিয়ে ভেসে থাকতে পারে না।[৩] এরা নিমফ্যালিডি পরিবার এবং সাইরেসটিস উপগোত্রের সদস্য।[৪]

কাগজি
Common Map
ডানা বন্ধ অবস্থায়
ডানা খোলা অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: অ্যানিম্যালিয়া
পর্ব: আর্থ্রোপোডা
শ্রেণী: ইনসেক্টা
বর্গ: লেপিডপ্টেরা
পরিবার: নিমফ্যালিডি
গণ: সাইরেসটিস(Cyrestis)
প্রজাতি: C. thyodamas
দ্বিপদী নাম
Cyrestis thyodamas
Boisduval, 1836

আকার সম্পাদনা

কাগজির প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৫০-৬০মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[৫]

উপপ্রজাতি সম্পাদনা

ভারতে প্রাপ্ত কাগজির উপপ্রজাতিসমূহ হল-[৬][৭]

  • Cyrestis thyodamas thyodamas Boisduval, 1836 – ওরিয়েন্টাল কাগজি (Oriental Map Butterfly)
  • Cyrestis thyodamas indica Evans, 1924 – ভারতীয় কাগজি (Indian Map Butterfly)
  • Cyrestis thyodamas ganescha Kollar, 1848 – কুমায়ুন কাগজি (Kumaon Map Butterfly)
  • Cyrestis thyodamas andamanica Wood-Mason & de Nicéville, 1881 – আন্দামান কাগজি (Andaman Map Butterfly)

বিস্তার সম্পাদনা

পাহাড়ি অরণ্য এদের প্রধান বাসভূমি। হিমালয়ের ৮০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত এদের দেখা যায়।[৮] এছাড়া হিমালয়ের সন্নিহিত অঞ্চল যেমন পশ্চিমে কাশ্মীর থেকে অসম, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম অবধি কাগজি দেখা যায়। নেপাল, মায়ানমার, চীন এবং জাপানের কিছু অংশেও এদের দেখতে পাওয়া যায়।[৯][১০][১১]

বর্ণনা সম্পাদনা

 
দুটি পুরুষ কাগজি প্রজাপতি ভেজা মাটিতে বসে জলপান করছে, বক্সা ব্যাঘ্য প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিশদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

কাগজির দেহের বর্ণ হাল্কা হলদেটে সাদা। ডানাদুটিতে মানচিত্রে আঁকা সীমানাচিহ্নের মতো সরু সরু রেখা দেখা যায়। সামনের ডানার শীর্ষে এবং উভয় ডানার কিনারাতে গাঢ় খয়েরি রঙের পটি লক্ষ্য করা যায়। নিচের ডানার নিম্নভাগে কমলা রঙ এর ছোঁয়া থাকে।[২]

পুরুষ এবং স্ত্রী কাগজি প্রজাপতির ডানার উপরিভাগের গ্রাউন্ড রঙ সাদা; যদিও অনেক নমুনাতে দেখা গেছে ডানার উপর ভাগের গ্রাউন্ড রঙ কমলা হলুদ। ডানার উপরিপৃষ্ঠে কালো শিরাগুলি সুস্পষ্ট ভাবে বিন্যস্ত। সামনের ডানায় কোস্টাল এবং কোস্টা শীর্ষভাগ থেকে তলা অবধি ৩টি খুব সরু এবং একটি অপেক্ষাকৃত পুরু কালো অনিয়মিত ভাবে আঁকাবাঁকা এবং তির্যক দাগ নেমে গেছে। ডানার কোস্টাল মার্জিন অথবা প্রান্তরেখার বেস অথবা অন্তভাগে হলদে কমলা রঙ এবং বর্হিভাগের রঙ ধূসর বাদামী ছাইরং।[১২]

সেল এর মধ্য দিয়ে ৩-৪টি অতিরিক্ত ছোট দাগ অতিক্রম করেছে। পোস্টডিসকাল অংশে ইন্টারস্পেসে একটি ভীষনরকম অসম্পূর্ণ সাদা কেন্দ্রযুক্ত চওড়া ধূসর বাদামী ছাইরঙা রিং এর শ্রেণী অথবা সিরিজ লক্ষ্য করা যায়। যেগুলির মধ্যে টর্নাস (ডানার নিম্ন প্রান্তিক কোণ) এর কাছে অবস্থিত রিং দুটি কমলা হলুদ রঙা এবং ডানার মধ্যবর্তী অংশের ৩ এবং ৪ নং ইন্টারস্পেসে রিংগুলি এতটাই অস্পস্ট যে প্রায় চোখেই পড়ে না।[১৩] এই রিংযুক্ত পোস্টডিসকাল অংশ ছাড়িয়ে টার্মেন (ডানার পাশের প্রান্ত) এর দিকে দুটি তির্যক কালো রেখা রয়েছে যেগুলি ডর্সাল (ডানার নিম্ন প্রান্ত) মার্জিন অবধি পৌঁছায়নি এবং এই তির্যক দাগদুটির মধ্যবর্তী অংশ ধূসর বাদামী ছাইরঙা অ্যাপেক্স (শীর্ষপ্রান্ত) বিষদভাবে ধূসর ছাইরঙা এবং টার্মেন একই রঙে রঞ্জিত।[২][১৪]

পিছনের ডানায় ৩টে তেরচা সরু রেখা রয়েছে। ডানার শীর্ষ দুটি অবস্থান থেকে ডর্সাম অবধি একজোড়া চওড়া তেরচা কালো রেখা কৌণিক অবস্থান সৃষ্টি করে নেমে এসেছে পোস্টডিসকাল অঞ্চল বরাবর এবং এদের মধ্যবর্তী অংশ হালকা সিপিয়া এবং ধূসর বাদামী রঙে রঞ্জিত এবং একটি চোখে পড়ার মতো সুস্পষ্ট এবং আর্কষনীয় ব্যান্ড অথবা বন্ধনীর মত দেখায়।[২] পিছনের ডানার পাশের প্রান্তিক রেখাটি বিচ্ছিন্ন অথবা ভাঙ্গাভাঙ্গা এবং অসম্পূর্ণ যাকে অনুসরণ করে দুটি কালো অসংলগ্ন রেখা রয়েছে। ডানার টার্মেন অংশে একটি অধিক বলিষ্ঠ উপপ্রান্তিক কালো রেখা এবং পশ্চাৎ প্রান্তে একটি সরু কালো প্রান্তিক রেখা বিদ্যমান। ডানার ডরসাল (নিম্নভাগে) প্রান্তরৈখিক অঞ্চল ধূসর বাদামী ছাইরঙা হয়।[৯]

নিচের ডানার টর্নাল অংশে এবং পাশের লোব এ উজ্জ্বল কমলা-হলুদ রঙ এবং কিছু সিপিয়া-বাদামী ও কালো দাগ দেখা যায়।[২]

ডানার নিম্নপৃষ্ঠ উপরিপৃষ্ঠের অনুরূপ। ডানা স্বচ্ছ হওয়ার দরুন উপরিপৃষ্ঠের দাগ এবং রেখা গুলি নিচের অংশেও প্রতীয়মান। পিছনের ডানার নিম্নপৃষ্ঠে ডরসাম এবং টর্নাস অংশে কমলা-হলুদ রঙ স্বল্প বিস্তৃত, তবে টর্নাস এর পাশের লোবে ঈষৎ কালচে কমলা-হলুদ এবং লোবের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় প্রায় গোলাকার কালো ছোপ রয়েছে। উপর এবং নিম্ন উভয় পৃষ্ঠের দাগগুলি বর্নের গভীরতায় এবং প্রস্থে অল্পবিস্তর ভিন্ন হয়। অনেক নমুনায় দেখা গেছে যে সামনের ডানার নিম্নপৃষ্ঠে পোস্ট-ডিসকাল অংশে একজোড়া তির্যক রেখার মধ্যবর্তী অংশে অস্পষ্ট একাধিক ধূসর বাদামী ছাইরঙা ছোপ লক্ষ্য করা যায়।[২]

অ্যান্টেনা অথবা শুঙ্গ, মাথা, থোরাক্স (বক্ষস্থল) এবং অ্যাবডোমেন (উদরদেশ) এর উপরিপৃষ্ঠ কালচে অথবা কালচে-সিপিয়া বর্ণের। বক্ষস্থল এবং উদরের পাশের দিকে ধূসর বর্ণের অনুদৈর্ঘিক ডোরা রয়েছে। দেহের তলদেশ সাদা রঙের। স্ত্রী কাগজির দেহের রঙ পুরুষ কাগজির দেহের অপেক্ষা ফিকে।[২]

আচরণ সম্পাদনা

এরা দু'বার ডানা ঝাপটানোর মাঝে অনেকক্ষণ হাওয়ায় ডানা ভাসিয়ে রাখতে পারে।[১৫] বিরক্ত হলে ক্ষিপ্রতার সাথে এলোমেলো ভাবে উড়তে থেকে তবে খুব বেশি দূর ওড়ে না।[১৬] কাগজি প্রজাপতিরা রৌদ্র এবং ছায়া মেশানো অঞ্চল পছন্দ করে।[১৭] মাঝে মধ্যে পুরুষ প্রজাপতিদের ভিজে বালিতে জল পান করতে দেখা যায়।[১৮][১৯]

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

ডিম সম্পাদনা

এই প্রজাতির স্ত্রী প্রজাপতিরা কচি পাতার নিচের দিকে ডিম পাড়ে। ডিমগুলি দেখতে সুউচ্চ গম্বুজের মতো এবং চকচকে হলুদ বর্ণের।[৯] ডিমের গা জুড়ে ওপর থেকে নীচ বরাবর লম্বালম্বি শির তোলা। মাথায় একটা সমতল ঢাকনা বসানো থাকে। দাঁত লাগানো চাকার মতো এই ঢাকনার দাঁতগুলো শিরের চূড়ার সাথে খাঁজে খাঁজে বসানো থাকে।[৫] শূককীট ভূমিষ্ট হওয়ার সময় এই ঢাকনাটি খুলে বেড়িয়ে আসে।[n ১]

শূককীট সম্পাদনা

শূককীট এর বর্ণ গাঢ় খয়েরি রঙের। কাগজির শূককীট অন্যান্য শূককীটদের মতো ভূমিষ্ট হয়েই ডিমের উপরের অংশ খায় না। শূককীট এর মাথায় এক জোড়া শিং আছে এবং এদের দেহের সামনে এবং পিছন দিক সরু।[৯] দেহের ৬ এবং ১২ নং দেহের খণ্ডে দু'জোড়া সরু এবং লম্বা মাংসল কর্ষিকা থাকে ।[৫]

আহার্য উদ্ভিদ সম্পাদনা

এই শূককীট ডুমুরগোত্রীয় উদ্ভিদ যেমন- বট, অশ্বত্থ এবং জগডুমুর গাছের কচি পাতার রসালো অংশ আহার করে।[২০]

মিঃ বেল নামক একজন লেপিডপ্টেরিস্ট কোনো এক অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে বট গাছের কচি পাতায় এবং কুঁড়িতে একটি স্ত্রী কাগজি প্রজাপতিকে ডিম পারতে দেখেন। ৬টি ডিমের মধ্যে দুটিকে বেল প্রতিপালন এবং নজরদারি শুরু করেন। ডিমগুলি খুব আকর্ষনীয় গড়নের এবং সুন্দর। উঁচু গম্বুজের মত আকৃতি অথবা প্রায় শঙ্কু আকারের। এই শঙ্কু আকৃতি গড়নের শীর্ষ একটি ছোট ছিদ্র ছিল যার সঙ্গে গভীর খাঁজকাটা/খাঁজযুক্ত একটি চ্যাপ্টা টুপির মত অংশ জুড়ে ছিল। ডিমের উপরিভাগে এই বিশেষ টুপির মত অংশটি ফাটিয়ে শূককীট বাইরে বেরিয়ে আসে এবং প্রজাপতির লার্ভা অথবা শূককীটের প্রথাগত আচরণ বহির্ভূত ভাবে ডিমের খোলাটি খেয়ে ফেলা থেকে বিরত থাকে। এই মূককীট এর গড়ন অন্যান্য প্রজাপতির শূককীটের গড়ন অপেক্ষা অদ্ভুত রকমের আলাদা, এটি দেখতে সরু, বেলনাকার এবং মসৃন। মাথায় দুটি লম্বা এবং বাঁকা বিপরীতমুখী ফিলামেন্ট অথবা নরম শিং আছে। লার্ভার পৃষ্ঠদেশে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ খণ্ডে তরবারির বাইরের দিকের অংশের মত বাঁকানো একটি ফিলামেন্ট ছিল যার ভিতরের ধারটি কাঁটাযুক্ত। দেহের অন্তিম খণ্ডে অপর একটি সামনের দিকে বাঁকানো ফিলামেন্ট ছিল যার বাইরের ধারটিও কাঁটাযুক্ত। গায়ের রঙ ছিল হালকা লালচে বাদামী বর্ণের এবং দেহের পঞ্চম খন্ড থেকে অন্তিম খন্ড অবধি চওড়া সবুজ ব্যান্ড অথবা বন্ধনী ছিল।[৯]

মূককীট সম্পাদনা

কাগজির মূককীট এর রঙ গাঢ় সবজে বাদামী বর্ণের এবং তার উপর গাঢ় বাদামী রঙের সূক্ষ্ম শিরার জাল আঁকা।[৫] মূককীটের দেহত্বক মসৃন এবং চকচকে। ৫ এবং ৮ দেহখণ্ডে পিঠের দিকে একটা চ্যাপ্টা উঁচু মতো অংশ দেখা যায়।[৯]

জীবনচক্রের চিত্রশালা সম্পাদনা

চিত্রশালা সম্পাদনা

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. The early stages are exceptional. The top of the egg is furnished with a small lid or trap-door,shaped like a cog-wheel,which the caterpillar lifts when it emerges.[১৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Kunte, Krushnamegh (২০১৩)। Butterflies of The Garo Hills। Dehradun: Samrakshan Trust, Titli Trust and Indian Foundation of Butterflies। 
  2. "Cyrestis thyodamas Common Map"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. Bell, T.R। "The Common Butterflies of the Plains of India(including those met with in the Hill Stations of the Bombay Presidency)"। Journal of Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 180। 
  4. Shamsudeen, R.S.M; Mathew, G.। "Diversity of Butterflies in Shendurny Wildlife Sanctuary,Kerala(India)" (পিডিএফ)। World Journal of Zoology। পৃষ্ঠা 324-329। আইএসএসএন 1817-3098। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. Dāśagupta, Yudhājit̲̲̲̲̲̲a (২০০৬)। Paścimabaṅgera prajāpati (1. saṃskaraṇa. সংস্করণ)। Kalakātā: Ānanda। পৃষ্ঠা 86। আইএসবিএন 81-7756-558-3 
  6. "Butterflies of the Indian subcontinent Common Mapwing"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  7. "Cyrestis thyodamas Boisduval, 1836 – Map Butterfly"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  8. Gupta, R.P.; Majumder, A.; Raha, A.। "New Records and Updated List of Butterflies (Lepidoptera:Rhopalocera) from Chhattisgarh, Central India" (পিডিএফ)। Zoological Survey of India। পৃষ্ঠা 235। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  9. Bingham, C. T. 1905. Fauna of British India. Butterflies. Vol. 1
  10. Bhattacharya, D.P.। "Insecta:Lepidoptera Part-II Nymphalidae" (পিডিএফ)। Fauna Of India। পৃষ্ঠা 83-97। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  11. Pratap Singh, Arun (২০১১)। Butterflies of India (1st সংস্করণ)। Utter Pradesh: Om Books International। পৃষ্ঠা 90। আইএসবিএন 978-93-80069-60-9 
  12. Shamsudeen, R.S.M; Mathew, G.। "Diversity of Butterflies in Shendurny Wildlife Sanctuary,Kerala(India)" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 324-329। আইএসএসএন 1817-3098। সংগ্রহের তারিখ arch 1983  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  13. Eguchi, E; Rochow, V.B.M.। "Ultraviolet Photography of Forty-three Species of Lepidoptera Representing Ten Familie" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 10-18। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  14. B. Antram, Charles। "Butterfflies of India"। Mittal Publications। 
  15. Wynter-Blyth, M.A. (১৯৫৭)। Butterflies of the Indian region (First Edition সংস্করণ)। Bombay: The Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 198-199। 
  16. A Pictorial Guide Butterflies of Gorumara National Park (2013 সংস্করণ)। Department of Forests Government of West Bengal। পৃষ্ঠা 248। 
  17. Smetacek, Peter (২০১৭)। A Naturalist's Guide to the Butterflies of India। John Beaufoy Publishing Limited। পৃষ্ঠা 109। আইএসবিএন 978-1-909612-79-2 
  18. Sreekumar, P.G.; Balakrishnan, M.। "Habitat and Altitude Preferences of Butterflies in Aralam Wildlife Sanctuary,Kerala (India)" (পিডিএফ)। International Society for Tropical Ecology। পৃষ্ঠা 277-281। আইএসএসএন 0564-3295। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  19. Mathew, G.; Binoy, C.F. (২০০২)। "Migration of butterflies (Lepidoptera: Rhopalocera) in the New Amarambalam Reserve Forest of the Nilgiri Biosphere Reserve" (পিডিএফ)Zoos' Print Journal17 (8): 844–847। ডিওআই:10.11609/jott.zpj.17.8.844-7। ১ জুন ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  20. Sutherland Robinson, Gaden (১৫ মার্চ ২০১০)। Hostplants of the moth and butterfly caterpillars of the Oriental region। পৃষ্ঠা 514-517। আইএসবিএন 978-9-83400-533-7