করোল বাগ
করোল বাগ ( কারোল বাগ ও লেখা হয়; উচ্চারিত [qəroːl baːɣ]) ভারতের দিল্লির মধ্য দিল্লি জেলার একটি অঞ্চল। এটি একটি মিশ্র আবাসিক-কাম-বাণিজ্যিক অঞ্চল, গফফর বাজার এবং আজমল খান রোডের মতো কেনাকাটার রাস্তাগুলির জন্য পরিচিত।
করোল বাগ | |
---|---|
দিল্লির নিকটবর্তী অঞ্চল | |
ডাকনাম: কে.বি., কিউ.বি. | |
দিল্লিতে করোল বাগের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৮°৩৯′৪৬″ উত্তর ৭৭°১২′৩৬″ পূর্ব / ২৮.৬৬২৯° উত্তর ৭৭.২১০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | দিল্লি |
জেলা | মধ্য দিল্লি |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৫,০৫,২৪২ |
সময় অঞ্চল | জিএমটি + ০৫ ৩০ |
ডাক সূচক সংখ্যা | ১১০০০৫ |
লোকসভা নির্বাচনী কেন্দ্র | নতুন দিল্লি (পূর্বে করোল বাগ) |
বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্র | করোল বাগ |
নাগরিক সংস্থা | এমসিডি |
বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব = ১৮ কিলোমিটার, রেলপথ থেকে দূরত্ব = ৩ কিলোমিটার |
২০০৮ সালে বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এটি ছিল করোল বাগ লোকসভা কেন্দ্র, এখন এটি নতুন দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র, দিল্লির বিধানসভার নির্বাচনী এলাকায়।
করোল বাগের উল্লেখযোগ্য আবাসিক স্থানগুলি হল ডব্লিউ.ই.এ., বিডন পুরা, রেঘার পুরা, দেব নগর এবং বাপা নগর। এগুলি আবাসিক কলোনী, এবং এখানে বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপ ও হয়। এই এলাকায় কিছু পাইকারি বাজার আছে, সেগুলি হল ট্যাঙ্ক রোড বস্ত্র বাজার, হরধ্যান সিং রোডের চামড়ার বাজার ইত্যাদি।
১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে, অল্প কিছু বিক্রেতা কে নিয়ে ট্যাঙ্ক রোড মার্কেট নামে পরিচিত একটি পাইকারি পোশাক বাজার চালু হয়েছিল।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯২০র দশকে, কনট প্লেস এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলি নির্মাণ করার জন্য, মধোগঞ্জ, জয়সিংহ পুরা, এবং রাজা কা বাজারের মতো গ্রামগুলির বাসিন্দারা জায়গা খালি করে দিয়েছিল, তাদের পশ্চিমে করোল বাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, তখন করোল বাগ গাছ ও বুনো ঝোপঝাড়ে ভরা একটি পাথুরে অঞ্চল ছিল।[১]
অঞ্চলটির আবাসিক ছিল মূলত বৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যা, এরপর ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে, দলবদ্ধভাবে অনেক মুসলমান পাকিস্তানে চলে যায় এবং পশ্চিম পাঞ্জাব এবং সিন্ধু থেকে শরণার্থী চলে আসে,[২] যাদের অনেকেই ব্যবসায়ী ছিল। এদের মধ্যে বহুসংখক মারাঠিভাষী মানুষ ছিল। এছাড়া তামিলভাষীও ছিল।[৩] করোল বাগ একটি বিশাল সংখ্যায় বাঙালি সম্প্রদায়েরও বাসস্থান, এবং শহরের প্রাচীনতম দুর্গাপূজা এরাই করে, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিক থেকে তাদের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে, যাদের বেশিরভাগই গহনা উৎপাদনের সঙ্গে নিযুক্ত। ১৯৮৪-শিখ বিরোধী দাঙ্গা চলাকালীন করোল বাগে বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল, অনেক দোকান পোড়ানো হয়েছিল।[৪] ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে, সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয় করোল বাগ, গফফর মার্কেটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।[৫]
শিক্ষা
সম্পাদনা১৯২২ সালে, মহাত্মা গান্ধী এখানে ঐতিহাসিক আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানী টিব্বিয়া কলেজের উদ্বোধন করেছিলেন,[৬] এছাড়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী গুরু নানক দেব খালসা কলেজ এখানে অবস্থিত।
বাজার
সম্পাদনামনে করা হয় এখন পশ্চিম ও মধ্য দিল্লির ধনী লোকেরা এই অঞ্চলে বাজার করেন। এখানকার গফফর বাজারটি স্ব্ধীনতা সংগ্রামী খান আবদুল গাফফার খানের নামানুসারে তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অনেক পাশ্চাত্য ব্যবসা এই অঞ্চলে শুরু হয়েছে। পিজা হাট, টিজিআইএফ, রিবক, স্কেচারস, পুমা এবং ল্যাকোস্টে এখানে সফলভাবে ব্যবসা করছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "A tale of two cities"। Hindustan Times। ১ সেপ্টেম্বর ২০১১। ২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Singh, Andrea (১৯৭৬)। Neighbourhood and Social Networks In Urban India। Marwah Publications। পৃষ্ঠা 67।
- ↑ Ganesh, Narayani (২০০২-০৯-১৫)। "Ubiquitous 'Madrasi' in Delhi"। Times of India। ২০১২-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-১৪।
- ↑ Das, Veena (২০০৭)। Life and words: violence and the descent into the ordinary। University of California Press। পৃষ্ঠা 137। আইএসবিএন 0-520-24745-0।
- ↑ "Karol Bagh's markets live in constant fear of a terrorist attack"। Hindustan Times। ১৭ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Sah, Ram Swarth (২০০৩-১২-২৫)। "Old medicine, new learners"। The Hindu। ২০০৪-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৫।