ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ
সরকারি ওমরগণি মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এম.ই.এস.) কলেজ চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় জাকির হোসেন রোডে অবস্থিত একটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা এম ই এস কলেজ নামে বহুল পরিচিত।
ধরন | বেসরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (কলেজ কোড: ৪৩০৭) |
অধ্যক্ষ | আ.ন.ম. সরওয়ার আলম |
শিক্ষার্থী | ৬৫০০ |
অবস্থান | জাকির হোসেন রোড, নাসিরাবাদ |
পোশাকের রঙ | সাদা, কালো |
কলেজটির দক্ষিণে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং পূর্বে ওমরগণি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এটি চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র জিইসি মোড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। কলেজটি চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতির জন্যেও ব্যাপক আলোচিত।
কলেজটিতে বিজ্ঞান,ব্যবসায় শিক্ষা,মানবিক বিভাগে পড়ানো হয়। এছাড়া রয়েছে ডিগ্রি পর্যায় এবং স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৪ বছর মেয়াদি কোর্সে পড়াশুনা করার সুযোগ। প্রতিবছর এমইএস কলেজ থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। [১]
প্রতিষ্ঠার পটভূমি
সম্পাদনাওমরগণি এম.ই.এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মুসলমান শিক্ষা সভা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন বাংলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও সমাজকর্মী খান বাহাদুর আবদুল আজিজ (১৮৬৩-১৯২৬) ১৯০০ সালে চট্টগ্রামে মুসলিম শিক্ষা সভা গঠন করেন। মুসলমান শিক্ষা সভা কর্তৃক একে একে ভিক্টোরিয়া হল,কবিরউদ্দিন মেমোরিয়াল লাইব্রেরি ও ফ্রি ইসলামিয়া রিডিং রুম প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরেই ১৯৬৪ সালে খান বাহাদুর আবদুল আজিজের মৃত্যুর প্রায় ৩৮ বছর পর এমইএস কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্নে এর প্রধান লক্ষ্য ছিল পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সামনের কাতারে আনা।প্রতিষ্ঠালগ্নে কলেজটিতে শুধুমাত্র মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পড়ানোর সুযোগ থাকলেও পরবর্তীতে সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
কলেজ ভবন
সম্পাদনা•মূল ভবন (তিনতলা বিশিষ্ট বৃহৎ এই ভবনে একই সাথে বিজ্ঞান,ব্যবসা,মানবিক,লাইব্রেরী,ল্যাব ও ডিগ্রি শাখার কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হয়)
•আইসিটি ভবন
•অনার্স ভবন(নির্মাণাধীন)
•ব্যবসায় অনুষদ ভবন (৫তলা বিশিষ্ট এ ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম তলায় রয়েছে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ।)
মাঠ
সম্পাদনাকলেজটিতে বিজ্ঞান,ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক ভবনের মাঝে একটি মাঠ রয়েছে। তাছাড়াও মূল কলেজের বাইরে ওমরগণি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাঠটিকেও কলেজের মূল মাঠ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
অনুষদ ও বিভাগসমূহ
সম্পাদনাবিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা,কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রায় ১৫ টি বিষয়ে এখানে পড়ানো হয়ে থাকে।
উচ্চমাধ্যমিক
সম্পাদনা- বিজ্ঞান
- ব্যবসায় শিক্ষা
- মানবিক
স্নাতক(পাস)
সম্পাদনা- বিএ(পাস)
- বিএসএস(পাস)
- বিএসসি(পাস)
- বিবিএস(পাস)
বাংলা অনুষদ
সম্পাদনা- বাংলা বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ
- প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
- অর্থনীতি বিভাগ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
সম্পাদনা- হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
পাঠাগার
সম্পাদনাকলেজটিতে রয়েছে দুইটি বিশাল সুবিন্যস্ত লাইব্রেরি। কলেজের যেকোনো শিক্ষার্থী চাইলে বিনামূল্যে এখান থেকে বই নিতে পারে। তবে এর জন্য প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে লাইব্রেরি কার্ড নিতে হবে। লাইব্রেরিতে কয়েকজন লাইব্রেরিয়ান রয়েছে।
সংগঠন
সম্পাদনারাজনৈতিক
সম্পাদনাসাংস্কৃতিক
সম্পাদনাক্রীড়া
সম্পাদনা- এম.ই.এস. কলেজ স্পোর্টস ক্লাব
সেচ্ছাসেবী
সম্পাদনা- যুব রেড ক্রিসেন্ট ওমরগনি এম.ই.এস. কলেজ ইউনিট
প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- আ ফ ম খালিদ হোসেন
- শফিউল আলম, বাংলাদেশের ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ওমরগণি এমইএস কলেজ"। ২৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২২।