ওড়িশার ইতিহাস
ওড়িশা নামটি দ্বারা ভারতবর্ষের একটি রাজ্যকে বোঝায়। ইতিহাসে বিভিন্ন সময় এই রাজ্যটি ও রাজ্যের অংশগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। অঞ্চলটির সীমান্তও অতীতে বহুবার বদলেছে।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b5/Ancient_Kalinga_location_or.svg/220px-Ancient_Kalinga_location_or.svg.png)
ওড়িশায় মানব ইতিহাসের শুরু ধরা হয় পূর্ব পুরাপ্রস্তর যুগে, কারণ সেই যুগের কিছু অ্যাকিউলীয় অস্ত্র ওড়িশার কিছু কিছু অঞ্চলে পাওয়া গেছে।[১] ওড়িশার প্রাচীন ইতিহাসের কথা মহাভারত, মহা গোবিন্দ সূত্র ও কিছু পুরাণে পাওয়া গেছে। ২৬১ খ্রিস্টাব্দে মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক কুখ্যাত কলিঙ্গের যুদ্ধে, যা অধুনা ভুবনেশ্বরের কাছে দয়া নদীর ধারে ঘটেছিল, অঞ্চলটি দখল করেন। কিন্তু এই যুদ্ধের ফলে অসংখ্য প্রাণনাশ ও রক্তক্ষয় অশোকের ওপরে গভীর প্রভাব ফেলে, ও তিনি শান্তিবাদী হয়ে যান। একটি জনপ্রিয় মতে ও কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে এর পরেই তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে মন দেন।[২]
এই অঞ্চলটি সম্পর্কে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বহু রাজ্যও অবহিত ছিল, মূলত নৌবাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে।[৩]
১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দ অঞ্চলটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল ধরা হয়। ১৫৬৮ সালে আইকনোক্লাস্ট কালাপাহাড়ের নেতৃত্বে শাহী বাংলার সৈন্যদল অঞ্চলটি দখল করে। ওড়িশা তার রাজনৈতিক পরিচয় ও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। ১৭৫১ সালের পরে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে অঞ্চলটি মারাঠাদের দখলে থাকে।[৪] ১৮০৩ থেকে ওড়িশা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দখলে থাকে।[৫] ১৮৩৬ সালে ওড়িয়া-ভাষী জেলাগুলি নিয়ে ওড়িশা প্রদেশটি তৈরি করা হয়।[৬]
ওড়িশার ঐতিহাসিক নামগুলি
সম্পাদনাঅধুনা ওড়িশার অন্তর্গত অঞ্চলগুলি ইতিহাস জুড়ে একই নামে পরিচিত ছিল না। অঞ্চলটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল।
- কলিঙ্গ: মহাভারত ও কিছু কিছু পুরাণ মতে সুতপার পুত্র রাজা বালি, একজন বৈরোচন, সন্তানহীন ছিলেন। তাই তিনি দীর্ঘতমস নামক এক ঋষির কাছে সন্তানের জন্য প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি ও তাঁর স্ত্রী রানি সুদেষ্ণা পাঁচজন পুত্রের জন্ম দেন।[৭] তাঁদের পুত্রের নাম ছিল: অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুহ্ম ও পুণ্ড্র।[৮][৯] রাজপুত্র বঙ্গ বঙ্গ রাজ্যের সূচনা করেন অধুনা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একাংশে। রাজপুত্র কলিঙ্গ অধুনা ওড়িশা, ও পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের কিছু জেলা নিয়ে কলিঙ্গ রাজ্য গঠন করেন।[১০] টলেমি, প্লিনি, ক্লাউদিয়ুস আইলিয়ানুস প্রভৃতি কিছু বিদেশিও কলিঙ্গের কথা লিখেছেন।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ https://books.google.co.in/books?id=Wba-EZhZcfgC&lpg=PA25&dq=Acheulian+orissa&pg=PA25&redir_esc=y&hl=bn#v=onepage&q=Acheulian%20orissa&f=false
- ↑ https://books.google.co.in/books?id=iE5uAAAAMAAJ&redir_esc=y
- ↑ http://drs.nio.org/drs/bitstream/handle/2264/127/Man_Environ_27_117.pdf;jsessionid=E74CCEBCCCE336A9DF1951A7410EE682?sequence=3
- ↑ https://books.google.co.in/books?id=bXWiACEwPR8C&pg=PA1941-IA82&redir_esc=y#v=onepage&q&f=false
- ↑ https://en.wikisource.org/wiki/1911_Encyclop%C3%A6dia_Britannica/Orissa
- ↑ https://web.archive.org/web/20061112195307/http://www.orissa.gov.in/history1.htm
- ↑ Devendrakumar Rajaram Patil (১৯৪৬)। Cultural History from the Vāyu Purāna। Motilal Banarsidass Pub.। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 9788120820852।
- ↑ J. P. Mitta (২০০৬)। History of Ancient India: From 7300 BC to 4250 BC। Atlantic Publishers & Dist.। আইএসবিএন 9788126906154। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ V. R. Ramachandra Dikshitar (১৯৯৯)। War in Ancient India। Genesis Publishing Pvt Ltd। পৃষ্ঠা 53। আইএসবিএন 9788170208945।
- ↑ Gaṅgā Rām Garg (১৯৯২)। Encyclopaedia of the Hindu World, Volume 1। Concept Publishing Company। আইএসবিএন 9788170223740। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ Josiah Conder (১৮২৮)। The modern traveller: a popular description, geographical, historical, and topographical of the various countries of the globe, Volume 1। James Duncan। পৃষ্ঠা 140, 158। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১২।