এ কে এম জহিরুল হক (বিচারক)
এ কে এম জহিরুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিচারপতি।
এ কে এম জহিরুল হক' | |
---|---|
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৯ জানুয়ারী | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
জীবিকা | বিচারক |
প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা
হক ১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
কর্মজীবন সম্পাদনা
হক ১৯৯৫ সালের ১০ অক্টোবর জেলা আদালত এবং ১৯৯৯ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[১]
হক ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।[১] ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন।[১] ২০১৯ সালের নভেম্বরে হক এবং বিচারপতি ওবাইদুল হাসান হংকংয়ের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান এবং তাঁর ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়ে নিম্ন আদালতের একটি রায় বহাল রাখেন।[২] খানের প্রতিনিধিত্ব করেন শেখ ফজলে নূর তাপস ও আজমলুল হোসেন।[২]
২০২০ সালের জানুয়ারিতে হক ও বিচারপতি ওবাইদুল হাসান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান একটি মামলায় জামিন প্রদান করেন।[৩] মতিউর রহমানকে হয়রানি না করার জন্যও সরকারকে নির্দেশ দেয় বেঞ্চ।[৪] দুর্নীতি মামলায় আওয়ামী লীগ সাবেক সাংসদ একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি হক ও বিচারপতি ওবাইদুল হাসান।[৫] ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হক এবং বিচারপতি ওবাইদুল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বন্ধ করে দেন।[৬] সেপ্টেম্বর মাসে হক ও বিচারপতি ওবাইদুল হাসান সংসদ সদস্য আসলামুল হক তার আরিশা অর্থনৈতিক অঞ্চল তুরাগ নদী দখলদারিত্বের অভিযোগে নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।[৭] ২০২০ সালের ডিসেম্বরে হক এবং বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করা দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে রায় দেন।[৮]
২০২১ সালের নভেম্বরে হক এবং বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার অভিনেতা ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের ১৮০ মিলিয়ন বিডিটি অর্থ পাচার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।[৯]
২০২২ সালের জানুয়ারিতে হক ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক মো. খালেদ হাসান মতিনকে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে জামিন দেন।[১০] হক ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকারকে ৩৩ লাখ টাকা অর্থ পাচারের মামলায় জামিন দিয়েছেন।[১১]
২০২৩ সালের জুলাই মাসে হক ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন আইনজীবীদের বলেন , তাঁরা যেন তাঁদেরকে ' লর্ড ' হিসেবে উল্লেখ না করেন , বরং ' স্যার ' বা ' আপনার সম্মান ' ব্যবহার করেন।[১২]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ ক খ "HC upholds court order to confiscate Morshed Khan's HK bank accounts"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Abrar's Death: Prothom Alo editor gets anticipatory bail from HC"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Don't arrest or harass Prothom Alo editor, 5 others: HC"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Graft: Ex-AL MP Awal, his wife get HC bail"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Corruption case against Latif Siddique stayed for 6 months"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "HC halts work of AL MP's economic zone near Turag"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "HC clears way for ACC to quiz DAG Rupa over graft allegation"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Film producer Raz denied bail in money laundering case"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Lakehead Grammar School's proprietor gets HC bail in money laundering case"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Graft Case: Tufan Sarkar gets HC bail"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "HC bench asks lawyers not to use 'my lord' to address them"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।