এসপ্ল্যানেড ম্যানশন

এসপ্ল্যানেড ম্যানশন ভারতিয় শহর কলকাতায় অবস্থিত একটি ঐতিহ্য ভবন। এটি এসপ্ল্যানেড রো এবং মার্কস এঙ্গেলস বিটি রোড ক্রসিংয়ে, রাজভবনের বিপরীতে অবস্থিত। ইহুদি ব্যবসায়ী ডেভিড জোসেফ এজরা মালিকানাধীন একটি ভবন ছিল। এই আবাসিক ভবনটি আর্ট নুভাউ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হয়েছিল। আজ এটির মালিক ভারতীয় জীবন বীমা নিগম এবং এখানে বাণিজ্যিক আর অন্যান্য সরকারী অফিস রয়েছে।

Esplanade Mansion
এসপ্ল্যানেড ম্যানশন, ২০১৪
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিআর্ট নুভাউ
অবস্থানকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
ঠিকানাএসপ্ল্যানেড, ৭০০০৬৯[১]
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩৩′৫৯″ উত্তর ৮৮°২০′৫৭″ পূর্ব / ২২.৫৬৬৩৯৮° উত্তর ৮৮.৩৪৯০৭৬° পূর্ব / 22.566398; 88.349076
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৯১০
স্বত্বাধিকারীভারতীয় জীবন বীমা নিগম
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিমার্টিন অ্যান্ড কো.

অবস্থান সম্পাদনা

এসপ্ল্যানেড ম্যানশনটি শহরের কেন্দ্রস্থল, এসপ্ল্যানেডে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাসভবন, রাজভবনের এবং কার্জন পার্কের বিপরীতে। ভবনটি মার্কস এঙ্গেলস বিটি রোড (বা ওল্ড কোর্টহাউসে স্ট্রিট) এবং এসপ্ল্যানেড রোয়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত।[২][৩] আশেপাশের উল্লেখযোগ্য বিল্ডিংগুলির মধ্যে রয়েছে মেট্রোপলিটন বিল্ডিং, দ্য ললিট গ্রেট ইস্টার্ন, কারেন্সি বিল্ডিং ইত্যাদি।

ইতিহাস সম্পাদনা

এটি ১৯১০ সালে একটি ইহুদি ব্যবসায়ী, ডেভিড জোসেফ এজরা ভবনটি নির্মান করেন। তিনি ১৮৭৬ সালে কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং সড়ক ও সংরক্ষণ কমিটির সদস্যও হন। তাঁর অন্যান্য সম্পত্তি চৌরঙ্গী ম্যানশন, ইজরা ম্যানশন ইত্যাদি ছিল। আগে, এখানে স্কট থম্পসনের দোকান এবং দুটি বাড়ি ছিল। নির্মাণের জন্য মার্টিন অ্যান্ড কো-কে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছিল। এটি এজরা পরিবারের আবাসিক ভবন হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি মার্কিন গ্রন্থাগার ছিল।[৪][৫]

এটি শহরের একমাত্র আর্ট নুভাউ বিল্ডিং।[৬] আর্ট নুভাউ[৭][৮] এবং এডওয়ার্ডিয়ান স্থাপত্যশিল্পের মিশ্রণটি কোণার টাওয়ার এবং কুপোলায় দেখা যায়। এটিতে বৃত্তাকার বারান্দা এবং খিলানযুক্ত জানালা রয়েছে। এই ভবনে ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে।[২][৯] এটিকে কলকাতা পৌরসংস্থা কর্তৃক গ্রেড-১ ঐতিহ্য ভবন হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।[১০]

 
ভভনের প্রবেশ দ্বার

বর্তমান সম্পাদনা

আজ ভারতীয় জীবন বীমা নিগম (এলআইসি) এসপ্ল্যানেডের প্রায় ৩০টি ভবনের মালিক। এসপ্ল্যানেড ম্যানশন তার মধ্যে একটি।[১১] এটার এক তলায় দু'টি রেলের অফিস রয়েছে।[১২] একটি হল পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তার অফিস, কার্জন পার্কের দিকে আর একটি হল রেলওয়ে ক্লেইম্স ট্রাইবুনাল[১৩] রাজভবনের দিকে। ২০০৩ সালে, এলআইসি ভবনটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।  ১১ লাখ (US$ ১৩,৪০০) ব্যয়ে করে ভবনের রঙ লিল্যাক থেকে সাদাতে পরিবর্তন করা হয়েছিল।[১৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Distribution Matrix for Railway Claims Tribunals (RCT's)"rct.indianrail.gov.in। ২০২১-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৭ 
  2. "Kolkata On Wheels"kolkataonwheels.com। ২০২১-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৫ 
  3. "Detail Maps of 141 Wards of Kolkata" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 45। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২১ 
  4. Goyal, Anuradha (২০১৬-০৫-২৩)। "Kolkata - Colonial Calcutta Heritage Walk"Inditales (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৬ 
  5. Kolkata: City Guide (ইংরেজি ভাষায়)। New Delhi: Eicher Goodearth Publications। ২০১১। পৃষ্ঠা 39, 48। আইএসবিএন 978-93-80262-15-4 
  6. Ghosh, Deepanjan। "City secrets: Art Deco architecture spread across Kolkata, thanks to a state law – and jugaad"Scroll.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৬ 
  7. Desāī, Mādhavī; Desai, Madhavi; Desai, Miki; Lang, Jon (২০১২)। The Bungalow in Twentieth-Century India: The Cultural Expression of Changing Ways of Life and Aspirations in the Domestic Architecture of Colonial and Post-colonial Society (ইংরেজি ভাষায়)। Ashgate Publishing, Ltd.। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 978-1-4094-2738-4 
  8. Lang, Jon T. (২০০২)। A Concise History of Modern Architecture in India (ইংরেজি ভাষায়)। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 11–12। আইএসবিএন 978-81-7824-017-6 
  9. "Recalling Jewish Calcutta"jewishcalcutta.in। ২০২১-০৫-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৬ 
  10. "Graded List of Heritage Buildings" (পিডিএফ)kmcgov.in। Kolkata Municipal Corporation। ২৫ ফেব্রু ২০০৯। পৃষ্ঠা 43। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২১ 
  11. "LIC to launch inspection drive"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৬ 
  12. "The Restoration of Esplanade Mansions - Animesh Ray Photography"Animesh Ray Design & Photography (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-১৮। ২০২১-০৫-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৬ 
  13. "Distribution Matrix for Railway Claims Tribunals (RCT's)"rct.indianrail.gov.in। ২০২১-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৭ 
  14. Das, Soumitra (২৭ ফেব্রু ২০০৩)। "LIC buildings in the pink of health"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৬