এম এ মতিন (রাজনীতিবিদ)
এম এ (মোহাম্মদ আব্দুল) মতিন (আনু. ১৯৩২–১৩ জুন ২০১২) বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক যিনি সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[১]
ডাক্তার এম এ মতিন | |
---|---|
বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৪ – ১৯৮৮ | |
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৫ জুলাই ১৯৭৯ – ২২ আগস্ট ১৯৭৯ | |
পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | |
সিরাজগঞ্জ-৭ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য | |
কাজের মেয়াদ ৪ জানুয়ারী ১৯৯৬ – ১৩ জুন ২০১২ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আনু. ১৯৩২ শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৩ জুন ২০১২ রাজারবাগ, ঢাকা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাসমিনা মাহমুদ সেবা |
সম্পর্ক | ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (শ্যালক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (শশুর) |
সন্তান | দুই ছেলে |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনামতিন আনু. ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[২]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাএম এ মতিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সদস্য ছিলেন। তিনি শাহজাদপুর থেকে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রথমে জিয়াউর রহমান ও পরে এরশাদ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। দুই সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, যুব ও ক্রীড়া, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৪][৫]
১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাবনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬] তিনি ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭][৮]
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের ব্যানারে সিরাজগঞ্জ-৭ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৯]
কর্মজীবন
সম্পাদনাএম এ মতিন একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসা সমিতির সভাপতি, বিএনএস চক্ষু হাসপাতাল ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সহ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য ছিলেন তিনি।
পরিবার
সম্পাদনাএম এ মতিনের স্ত্রী তাসনিমা মতিনও চিকিৎসক। তার বড় ছেলে এম এ মুকিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক। ছোট ছেলে এম এ মুহিত এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শিল্পমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বড় জামাতা তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ভগ্নীপতি তিনি।[১০]
মৃত্যু
সম্পাদনাএম এ মতিন ১৩ জুন ২০১২ সালে ঢাকার রাজারবাগ ১১৬ শান্তিনগরের নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সিরাজগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সাবেক মন্ত্রী ডা. এম এ মতিন আর নেই"। বিডিনিউজ.কম। ১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এম এ মতিন আর নেই"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ এ এস এম শামসুল আরেফিন। বাংলাদেশে নির্বাচন।
- ↑ খালেদা হাবিব। বাংলাদেশঃ নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা ১৯৭০-৯১।
- ↑ মাহফুজ উল্লাহ। প্রেসিডেন্ট জিয়া: রাজনৈতিক জীবনী।
- ↑ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাবেক মন্ত্রী ডা. এম এ মতিন আর নেই | বিডি নিউজ | bdnews.com"। ২০১৮-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৩।
- ↑ "ডা. এম এ মতিনআর নেই"। যায়যায়দিন। ১৩ জুন ২০১২। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।