এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এইবার
এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এইবার ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি হাস্যরসাত্মক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[১] ছায়াছবিটি নাজিম উদ্দিন শেখের প্রযোজনা ও উত্তম আকাশের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে। কঠোর জমিদারি প্রথার কাল্পনিক কাহিনীর উপর নির্মিত, এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আমিন খান, সিলভি, ওমর সানি, কাবিলা, প্রবীর মিত্র ও আফজাল শরিফ প্রমুখ। জমিদারের নাম ভূমিকায় অভিনয়ে করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি। চলচ্চিত্রটি হুমায়ূন ফরীদি অভিনীত সর্বশেষ ও মরণোত্তর মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র।[২] ২৬ আগস্ট ২০১৬-তে চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৩]
এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এইবার | |
---|---|
![]() আনুষ্ঠানিক পোস্টার | |
পরিচালক | উত্তম আকাশ |
প্রযোজক | নাজিম উদ্দিন শেখ জি এম সারোয়ার |
কাহিনিকার | উত্তম আকাশ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
প্রযোজনা কোম্পানি | এন এস ইন্টারন্যাশনাল |
পরিবেশক | এন এস ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
দেশ | ![]() |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | প্রা. ৳ ৮০ লাখ |
কাহিনী সারাংশসম্পাদনা
হুমায়ূন ফরিদী একজন জমিদার ও এক কথার মানুষ। মুখে যা বলেন তা-ই করেন।[৩] জমিদারের মেয়ে গ্রামের একটি ছেলেকে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের কথা জানতে পেরে জমিদার মেয়েকে লন্ডন পাঠিয়ে দেন। তিনি আর কখনো তার মেয়েকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে দেননি। ২০ বছর পর জমিদারের নাতনি দেশে বেড়াতে আসেন। নাতনিকে জমিদারী ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য কেউ রাজি হয় না; কারণ, কোন ভুল হলেই জমিদার রুষ্ট হবেন। আমিন খান সাহস করে রাজি হন। তবে শর্ত দেন, যত দিন জমিদারের নাতনিকে নিয়ে তিনি ঘুরবেন, প্রতিদিন তাকে টাকা দিতে হবে। প্রথম দিন যা দেয়া হবে, দ্বিতীয় দিন থেকে তার দ্বিগুণ দিতে হবে। এভাবে নাতনিকে পুরো জমিদারের সম্পত্তি আমিন খান ঘুরিয়ে দেখাতে থাকেন। একসময় নাতনির বিদেশে ফেরার সময় আসে। হিসাব করে দেখা যায়, আমিন খানের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হুমায়ূন ফরিদীকে পুরো জমিদারি দিতে হবে।[৪] কথা রাখতে গিয়ে অবশেষে জমিদার হেরে যান।
কুশীলবসম্পাদনা
নির্মাণ ইতিহাসসম্পাদনা
২০০৯ সালে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ শুরু হয়,[৫][৬] ২০১১ সালে মুখ্য চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়।[৭] নির্মাণ পরবর্তী সময়ে মুখ্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী ও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক নিজাম উদ্দিন শেখ মৃত্যুবরণ করেন। তবে মৃত্যুর আগে ফরীদি এই ছায়াছবিতে নিজের চিত্রনাট্যের অভিনয় ও ডাবিং সম্পন্ন করেছিলেন। প্রযোজকের মৃত্যুর পর সম্পাদনার কাজ স্থগিত হয়ে যায়। প্রযোজকের পরিবার হতে চলচ্চিত্রটির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হলে নির্মাণ সম্পন্ন হয়। চলচ্চিত্রটি ৩৫ মিলিমিটার ফরম্যাটে নির্মাণ শুরু করা হয়েছিল। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর, মুক্তির জন্য ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তর করা হয়।[৪] সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাণে ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।[৮] ১০ মার্চ, ২০১৬ তে চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শনের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে[৭] এবং একই মাসে প্রদর্শনের ছাড়পত্র অর্জন করে।[৩]
প্রচারণা ও মুক্তিসম্পাদনা
এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এইবার চলচ্চিত্রটির মুক্তির পূর্বে বড় পরিসরে প্রচারণা চালানো হয়নি।[১] প্রচারণার জন্য ২২ আগস্ট, ২০১৬-তে চলচ্চিত্রটির মুক্তির প্রচারণা উপলক্ষে একটি ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়।[৯] চারদিন পর, ২৬ আগস্ট ২০১৬-তে চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ৬০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়।[৩][১০][১১]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "নীরবেই মুক্তি পেলো হুমায়ূন ফরীদির শেষ ছবি!"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৬-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ "শেষবারের মতো ফরীদিকে দেখা যাবে সিনেমা হলে"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০১৬-০৮-২৬। ১০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ "'এক জবানের জমিদার'"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ২০১৬-০৮-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ ক খ "হুমায়ূন ফরিদীর শেষ চলচ্চিত্র মুক্তি শুক্রবার"। আরটিভি অনলাইন। ২০১৬-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ "মুক্তি পেল হুমায়ূন ফরিদীর শেষ ছবি "এক জবানের জমিদার""। রেডিও ধ্বনি। ২০১৬-০৮-২৬। ২০২০-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ "মুক্তি পাচ্ছে হুমায়ুন ফরীদির ছবি"। দৈনিক মানবজমিন। ২০১৬-০৮-২৪। ২০২০-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ ক খ "সেন্সরে যাচ্ছে হুমায়ুন ফরীদির ছবি"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। ২০১৬-০৩-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "২০১৬: চলচ্চিত্রে কম ছবিই ব্যবসাসফল"। প্রথম আলো। ২০১৬-১২-২৯। ২০২০-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৭।
- ↑ "Ek Jobaner Jomidar Hare Galen Ei Bar 2016 Bangla Movie Official Trailer Ft. Amin Khan 1080p HD"। বাংলা নিউ মিডিয়া। ২০১৬-০৮-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮ – ইউটিউব-এর মাধ্যমে।
- ↑ "আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে ফরীদির শেষ ছবি"। দৈনিক সমকাল। ২০১৬-০৮-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।
- ↑ "আজ বড় পর্দায় হুমায়ুন ফরীদির নতুন ছবি"। প্রথম আলো। ২০১৬-০৮-২৬। ২০২০-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৮।