ঋষি পঞ্চমী

ঋষি পঞ্চমী ( সংস্কৃত: ऋषिपंचमी ) হলো একটি হিন্দু অনুষ্ঠান, যা ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়। সাতজন মহান ঋষিদের সম্মান জানাতে গণেশ চতুর্থীর পরের দিন ঋষি পঞ্চমী পালন করা হয়। এটি হলো সপ্ত ঋষির (সপ্তর্ষির) ঐতিহ্যগত পূজা অর্চনা। এই বিশিষ্ট সাতজন ঋষি হলেন- কশ্যপ, অত্রি, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, গৌতম মহর্ষি, জমদগ্নি এবং বশিষ্ঠ। বেদ শাস্ত্র মতে এই সাতজন ঋষি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে জ্ঞান দান করেছিলেন। মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে তাঁরা অমর হয়ে আছেন। তাই এই সব ঋষিদের কথা স্মরণ করে তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পালিত হয় ঋষি পঞ্চমী। কেরালার কিছু অঞ্চলে দিনটিতে বিশ্বকর্মা পূজাও পালন করা হয়। হিন্দুদের এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

ঋষি পঞ্চমী
ঋষি পঞ্চমী পালনকারী ভক্তরা
পালনকারী	হিন্দু
ধরন	ধর্মীয়, ভারত এবং নেপাল
পালন	সাত ঋষির পূজা, উপবাস, প্রার্থনা
তারিখ	ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি
সংঘটন	বার্ষিক
সম্পর্কিত	গণেশ চতুর্থী, বিশ্বকর্মা পূজা

পালন

বিশ্বাস করা হয় যে ঋষি পঞ্চমীর দিনে যে ব্যক্তি ঋষিদের স্মরণ করে পুজো করেন, তিনি সমস্ত প্রকার পাপ থেকে মুক্ত হন। ঋষি পঞ্চমীতে মহিলারা গঙ্গা স্নান করলে তার ফল বহুগুণ বেড়ে যায়। এই উপলক্ষে, সাত ঋষি এবং বশিষ্ঠের স্ত্রী অরুন্ধতীকে পান, ফুল, কর্পূর এবং একটি প্রদীপ দিয়ে পূজা করা হয়। অরুন্ধতী হলেন সব দেবতার মা। এই ব্রত পালনের জন্য নারীদের উপবাস পালন করার রীতি আছে। তবে পুরুষরাও তাদের স্ত্রীদের কল্যাণের জন্য উপবাস করতে পারেন। সাত ঋষির পূজা উপলক্ষে ব্রতীরা ব্রাহ্মণদের দক্ষিণা দেয়।

ঋষি পঞ্চমীর দিন সাধারণত স্নান করার পর শুদ্ধ মনে সপ্ত ঋষির ধ্যান করা হয়। সাত জন ঋষির নামে সাতটি আসন পেতে তাতে ফুল দিয়ে সাজিয়ে প্রতিটি আসনের সামনে একটি জলের গ্লাস রাখা হয়। একাগ্র মনে এই সাত ঋষির নাম স্মরণ করে জগতের মঙ্গল কামনা করা হয়। ঋষি পঞ্চমীর দিন অনেকে বাড়িতে সাতজন ব্রাহ্মণের নামে তাদের সাধ্যমত সাত রকম ভূজ্যের ব্যবস্থা করেন। ভূজ্যের সামগ্রী সামনে সাজিয়ে একটি করে পৈতে ও গীতা দিয়ে তা ব্রাহ্মণদের দান করা হয়।

আরও দেখুন

• সাবিত্রী ব্রত
• বসন্ত পঞ্চমী