ঈশানচন্দ্র বসু ( ডিসেম্বর ১৮৪৩ – অক্টোবর ১৯১২) ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ও দার্শনিক[১]

ঈশানচন্দ্র বসু
জন্মডিসেম্বর ১৮৪৩
মৃত্যুঅক্টোবর ১৯১২
পেশালেখক ও সম্পাদক
সন্তানদ্বিজেন্দ্রনাথ বসু

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

ঈশানচন্দ্র বসুর জন্ম ১২৫০ বঙ্গাব্দের ২৬ অগ্রহায়ণ রবিবার [২]( ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর)। তিনি বাংলা তথা ভারতের প্রথম ডক্টরেট মহিলা প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত ও দার্শনিক সুরমা মিত্র দাশগুপ্তর মাতামহ ছিলেন।[৩]:৪৬০ তার বাল্যকাল অতিবাহিত হয় মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর বিদ্যালয়ে রাজনারায়ণ বসুর প্রিয় ছাত্র ছিলেন তিনি। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার বিশিষ্ট লেখক ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সহ-সম্পাদক ছিলেন। কিছুদিন তিনি কায়স্থ পত্রিকার সম্পাদনাও করেছেন। বালক-বালিকাদের উপযুক্ত নীতিশিক্ষার পুস্তক প্রণয়ন করেন। রাজা রামমোহন রায়ের লুপ্তপ্রায় সংস্কৃত, বাংলা ও ইংরাজি বহু গ্রন্থের সংকলক এবং রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের বক্তৃতাবলি প্রকাশক ছিলেন।

ঈশানচন্দ্র আদি ব্রাহ্মসমাজের সভ্য ছিলেন। হিন্দুভাব রক্ষা করতে তিনি ব্রাহ্ম ধর্মপ্রচারের পক্ষপাতী ছিলেন। স্ত্রীশিক্ষায় তার উৎসাহ ছিল। ভবানীপুর বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। [১] ঈশানচন্দ্র ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বারো হাজার টাকা দান করেন। তার প্রদত্ত অর্থ থেকে প্রতি বৎসর অনার্সসহ স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারীকে ঈশান স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। [৩]:৬৫ তিনি নীতিবিষয়ক ও ধর্মীয় গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচিত গ্রন্থসমূহ হল-

  • হিন্দুধর্মনীতি (১৩০৭ ব.)
  • নারীনীতি (১৩০৮ ব.)
  • ব্রাহ্মসমাজের সাধ্য ও সাধনা (১৩২১ ব.)[৪]

মৃত্যু সম্পাদনা

ঈশানচন্দ্র বসু ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ২৮ আশ্বিন সোমবার (১৯১২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর) কলকাতায় প্রয়াত হন। [২]


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৯১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. বসু, ঈশানচন্দ্র। ব্রাহ্মসমাজের সাধ্য ও সাধনা। কলকাতা: আদি ব্রাহ্মসমাজ। পৃষ্ঠা ৫। 
  3. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  4. "ঈশানচন্দ্র বসু"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪