বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলা সাহিত্যের উন্নতি এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ[১] ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলা সাহিত্যের উন্নতি এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। বাংলা ভাষার বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, অন্যান্য ভাষায় রচিত গ্রন্থের অনুবাদ, দুর্লভ বাংলা রচনা সংরক্ষণ, গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই পরিষদ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ
Bangiya Sahitya Parishad - Kolkata.JPG
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ভবনের সম্মুখ আলোকচিত্র
প্রতিষ্ঠিত২৩ জুলাই ১৮৯৩; ১২৯ বছর আগে (1893-07-23)
কেন্দ্রবিন্দুবাংলা ভাষাসাহিত্যের অধ্যয়ন ও বিকাশ
সভাপতিবারিদবরণ ঘোষ
প্রাক্তন নামবেঙ্গল একাডেমি অফ লিটারেচার
অবস্থান, ,
ঠিকানা২৪৩/১, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, কলকাতা-৭০০০০৬
ওয়েবসাইটbangiyasahityaparishat.com
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে সমবেত বিশিষ্ট জনেরা (৬ ডিসেম্বর ১৯০৮)

প্রতিষ্ঠাকালসম্পাদনা

১৮৯৩ সালের ২৩ জুলাই এল. লিউটার্ডক্ষেত্রপাল চক্রবর্তী'র উদ্যোগে বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত হয়। উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি ও প্রসার। এর প্রথম সভাপতি ছিলেন বিনয়কৃষ্ণ দেব। প্রথমদিকে একাডেমির সভার বিবরণ, মুখপত্র শুধু ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হতো। পরে এই ব্যাপারে কোনো কোনো সদস্য আপত্তি প্রকাশ করলে উমেশচন্দ্র বটব্যালের প্রস্তাবানুসারে একাডেমির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ করা হয় ১৩০১ বঙ্গাব্দের ১৭ বৈশাখ(এপ্রিল, ১৮৯৪)। এর যাত্রা শুরু হয় কলকাতার শোভাবাজারে বিনয়কৃষ্ণ দেবের বাসভবনে।[১] প্রথম সভাপতি হন রমেশচন্দ্র দত্ত। এরপর বহু মনিষী এই পদ অলঙ্কৃত করেন। তারা হলেন - চন্দ্রনাথ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সহকারী সভাপতি : বঙ্গাব্দ - ১৩০১-০৩, ১৩০৮,১৩১২-১৬,১৩২৪; বিশিষ্ট সদস্য ১৩১৬) প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

আরো দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ - বাংলাপিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা