ইসলামি সাইকেল

নারীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা রক্ষার জন্য ডিজাইন করা সাইকেল
(ইসলামীয় সাইকেল থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ইসলামি সাইকেল মুসলিম নারীদের জন্য সুন্নি এবং শিয়া উভয় মতবাদেই শালীনতা (শরীর প্রকাশ না করা) এবং গতিশীলতা (সামাজিক নিয়ন্ত্রণ) কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আলোচনার একটি বিষয়।

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে সাইকেলে চড়ে দীর্ঘ চাদরে এক মহিলা

ধর্মতাত্ত্বিক এবং দার্শনিক আলপারস্লান অকজেনি ইস্তাম্বুলে একটি সম্মেলনে এই সমস্যাটির সুরাহা করে বলেন, "ঈশ্বরের আশীর্বাদ এবং মানুষের স্বার্থকে সামনে রেখে তৈরি করা হয় তাহলো একটি ইসলামিক সাইকেল"। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাবিদরা উদ্বিগ্ন যে তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকার ইসলামকে বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে রাখছে। তুর্কি সাংবাদিক মোস্তফা আকিওল যুক্তি দেখান যে ইসলামী সাইকেলের ধারণাটি এমন একটি মানসিকতার ইঙ্গিত দেয় যা মুসলিম চিন্তাকে স্থবির করে দিয়েছে।[১] সৌদি আরব সীমাবদ্ধ বিনোদন এলাকা ছাড়া মহিলাদের বাইসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।[২] সাইকেলের ইরানি সংস্করণে আছে "বক্সি কন্ট্রাপশন যা মহিলার নিচের শরীর লুকিয়ে রাখে।"[৩] ইরানে নারীদের শালীনতার বাহিরে ঐতিহ্যবাহী সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ। নারী রাইডাররা ভিজিলেন্টদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়।

সমালোচকরা সাইকেল নিষিদ্ধকরণ এবং ইসলামী সাইকেল উভয়কেই নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে নিন্দা করেন।[৪][৫]

ইরানে সম্পাদনা

 
ফ্রাঙ্ক পারতোয়াজার, ইরানি পেশাদার সাইক্লিস্ট

ইসলামি সাইকেল ইরানেও খুব জনপ্রিয় হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৭ সালে, ইরানের আরাক শহরে মহিলাদের জন্য ইসলামি সাইকেল তৈরির পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছিল। প্রকল্পের একজন উপস্থাপক ছিলেন একজন ইরানি মহিলা, যিনি বলেছিলেন, "এই সাইকেলটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এর চারপাশের কেবিনটি নারীদের দেহের অর্ধেক অংশকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে।"[৬]

২০১১ সালের নভেম্বরে, ইরানের একটি মহিলা সাইকেল ডিজাইন কোম্পানি বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইরানি গণমাধ্যম তাবনাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে "ধর্মীয় সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য এই ধরনের সাইকেল ডিজাইন করতে চার মাস লেগেছে"। মহিলাদের শারীরিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে, সাইকেলে একটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে এবং তারা একটু বেশি বিদ্যুতায়িত করেছে।[৭]

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে কিছু লোক ইরানি নারীদের সাইকেল চালানোকে সকলের চোখে "সাংস্কৃতিক অশ্লীলতার প্রদর্শন" বলে মনে করেছিল। একই বছরে, সিরাজ ইসলামিক কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য এমটি তজারভি বলেছিলেন: "সর্বোচ্চ নেতার ফরমান অনুসারে, বাইক চালক মহিলাদের অপরিচিতদের সামনে আসা নিষিদ্ধ এবং তাই বাইক চালক মহিলারা শুধুমাত্র অভ্যন্তরে এবং "এটি অ-মহরমদের দৃষ্টিতে নয়, আমি এটিকে জায়েয মনে করি।"[৮]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Turkey and science: Peddling religion | The Economist"web.archive.org। ২০১২-১০-৩১। Archived from the original on ২০১২-১০-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  2. Quan, Kristene (২০১৩-০৪-০৩)। "Saudi Women Can Now Ride Bicycles in Public (Kind of)"Time (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0040-781X। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  3. Slackman, Michael (২০০৭-০৯-০৯)। "Molding the Ideal Islamic Citizen"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  4. "'Islamic bicycle' can't slow Iranian women - USATODAY.com"usatoday30.usatoday.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  5. "A Woman's Right to Bike - Ms. Magazine"msmagazine.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  6. "طرح ساخت دوچرخه اسلامی برای بانوان در اراک تصویب شد"web.archive.org। ২০২১-০৪-০৭। Archived from the original on ২০২১-০৪-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  7. Behnegarsoft.com (২০১১-১১-০৬)। "عکس/ دوچرخه اسلامی بانوان"جهان نيوز (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  8. "چالش‌های دوچرخه‌سواری بانوان در شهر ملی دوچرخه - ایرنا"web.archive.org। ২০২১-০৪-০৭। Archived from the original on ২০২১-০৪-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১