ইসরা আল-মোদাল্লাল (আরবি : إسراء المدلل) ২০১৩-২০১৪ মেয়াদে গাজায় হামাস সরকারের ইংরেজি ভাষার মুখপাত্র ছিলেন।[১] তিনি হামাসের প্রথম নারী মুখপাত্র। মিশরে জন্মগ্রহণকারী ইসরা গাজায় বেড়ে ওঠেন। তিনি ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ডের হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণমাধ্যম বিদ্যায় স্নাতক অর্জন করেন। মুখপাত্রের ভূমিকা গ্রহণ করার আগে তিনি সম্প্রচার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছিলেন। তার নিয়োগ হামাসের জনসাধারণের ভাবমূর্তি পরিবর্তনের প্রচেষ্টার অংশ ছিল।

ইসরা আল-মোদাল্লাল
إسراء المدلل
জন্ম১৯৮৯/১৯৯০ (৩৩–৩৪ বছর)
মাতৃশিক্ষায়তনগাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাহামাসের মুখপাত্র
পরিচিতির কারণহামাসের প্রথম নারী মুখপাত্র

প্রারম্ভিক জীবন এবং কর্মজীবন সম্পাদনা

ইসরা আল-মোদাল্লাল মিশরে[২] একটি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন[৩] এবং তার যৌবন গাজায় কাটিয়েছেন।[৪] তিনি ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ডের গ্রেঞ্জ টেকনোলজি কলেজে পড়েন[৪] তখন তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।[৫] ইংল্যান্ডে থাকাকালীন তার ইংরেজি কথ্যভাষায় ইয়র্কশায়ার উপভাষার আঞ্চলিকতার প্রভাব পরে।[৫] তিনি গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণমাধ্যম বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে সম্প্রচার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন।[৫] তিনি একটি স্থানীয় স্টেশন এবং ইংরেজি ভাষার স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেলে কাজের অভিজ্ঞতাকে কর্মজীবনের গঠনমূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছেন।[৪]

ইসরা আল-মোদাল্লাল ২০১৩ সালের নভেম্বরে হামাস সরকারের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র হিসাবে যোগ দেন। এই পদে অধিষ্ঠিত প্রথম মহিলা ছিলেন।[৫] মিডিয়া প্রধান ইহাব আল-গুসেইনের অধীনে হামাসের প্রতি জনসাধারণের ভাবমূর্তি পরিবর্তনের একটি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তার নিয়োগ হয়েছিল। ইহাব একটি নতুন সরকারি ওয়েবসাইট খুলেছেন, সরকারী সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি করেছেন এবং অল্প বয়স্ক কর্মী নিয়োগ করেছেন।[৪] ক্ষমতায় একজন নারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে, তার ভূমিকা ফিলিস্তিনি ও হামাসের উদ্বেগকে পশ্চিমের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করা এবং ফিলিস্তিনি নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রত্যাশিত ছিল।[৫] আল-মোদাল্লাল নিজেকে একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, হামাসের ভক্ত হিসেবে নয়।[৪][৫] তিনি বলেছিলেন যে তিনি মানবাধিকার এবং মানবিক কারণগুলিতে মনোনিবেশ করবেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন না এবং একটি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার শুরু করবেন।[৫]

তিনি তালাকপ্রাপ্ত, এবং একটি মেয়ে আছে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "أول مرة..ظهور الناطقة الإعلامية إسراء المدلل في مؤتمر صحفي بغزة"। র‍্যাচেল করি। ১০ নভেম্বর ২০১৩। ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৫ 
  2. আসবর্ণ, সাইমন (১২ নভেম্বর ২০১৩)। "A move in the right direction? After years of restricting women's rights Hamas hires Isra Al-Modallal as its first female spokesperson"দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  3. টেইট, রবার্ট (১১ নভেম্বর ২০১৩)। "British-educated woman becomes first female spokesman for Hamas"। দ্য টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  4. বারজাক, ইব্রাহিম (১০ নভেম্বর ২০১৩)। "Isra Almodallal Appointed First Spokeswoman For Hamas"হাফপোস্টএওএলঅ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ১৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৩ 
  5. রবার্ট, হেরিয়েট (৭ নভেম্বর ২০১৩)। "Yorkshire-educated woman becomes first female Hamas spokesperson"দ্য গার্ডিয়ান। ১২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৩