ইরানে টেলিভিশন প্রথম চালু হয় ১৯৫৮ সালে। ইরানে টেলিভিশন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিতভাবে চলে। ইরানের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল ছিল জাতীয় ইরানি রেডিও ও টেলিভিশন ও ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর তা ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান সম্প্রচার হিসেবে নামকরণ করা হয়। শুরুতে বেসরকারি টেলিভিশন সংস্থা হিসেবে চালু হলেও এটিকে সরকারি সংস্থায় পরিবর্তন করা হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

টেলিভিশন ইরান সম্পাদনা

 
মোহাম্মদ রেজা পাহলভি হাবিব সাবেতের সাথে টেলিভিশন সেন্টারে, জুন ১৯৭০

১৯৫৮ সালের ৩ অক্টোবরে টেলিভিশন ইরান (টিভিআই) তেহরান থেকে সম্প্রচার শুরু করে। দেশের দ্বিতীয় টেলিভিশন কেন্দ্র আবাদানে স্থাপিত হয় ১৯৬০ সালে।[১] টিভিআই ফার্সি ভাষায় ডাব করা মার্কিন কুইজ শো অশোধিত দর্শকদের জন্য প্রচারিত করতো।[২]

চ্যানেলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাবিব সাবেত, একজন বাহাই এবং ইরানের প্রধান শিল্পপতির মধ্যে এক।[৩] এটির ম্যানেজার, এ ভান্স হ্যাল্যাক, ছিলেন একজন মার্কিন। আগে ইরাকের বাগদাদ টেলিভিশন স্টেশন চালাতেন, এবং মধ্যপ্রাচ্যে আসার আগে এনবিসি এর রঙিন ডিভিশনের ব্যবস্থা করতেন।[৪]

স্থাপনের পর থেকেই টিভিআই প্রচুর ওয়েস্টার্ন ব্লু চিপ এবং অন্যান্য কম্পানিসমূহের বিজ্ঞাপনী উদ্যোগ ছিলো।[৫] কিন্ত ১৯৬৩ সালে টিভিআই দাবি দেন যে উনাদের ৭ কটি রিয়াল শেষ হয়ে গেছে, এবং কেন্দ্রটি ইরানি সরকারের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্ত তখন থেকেই সরকার নিজেদের একটি টেলিভিশন সংস্থা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন।[৬]

জাতীয় ইরানি টেলিভিশন সম্পাদনা

১৯৬৬ সালে জাতীয় ইরানি টেলিভিশন (এনআইটিভি) স্থাপিত হয়।[৭] আরো শিক্ষিত দর্শকদের জন্য পুরণ করা হয় চ্যানেলটি।[২] ২৬ অক্টোবরে এনআইটিভির পরিক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করে, এবং ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসের নওরোজে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার শুরু করে। এটির প্রথম প্রচারিত অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে ছিলো আমজাদিয়েহ স্টেডিয়াম থেকে ইরানের শাহ্ এর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান।[৮]

অ্যামেরিকান ফর্সেস রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন সার্ভিস সম্পাদনা

১৯৭৬ সালের পর্যন্ত অ্যামেরিকান ফর্সেস রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন সার্ভিস তেহরান এবং পাশাপাশি এলাকায় একটি টেলিভিশন কেন্দ্র চালাতো এই শহর থেকে।[৯] মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীদের জন্য, কেন্দ্রটি এএফটিভির নামে প্রচারিত, এবং তখন এটি ইরানের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিলো যেটার অনুষ্ঠান ইংরেজিতে প্রচারিত হতো, কারণ এনআইটিভি এবং টিভিআই এর সমস্ত বিদেশিয় অনুষ্ঠানসমূহ ফার্সিতে ডাবিং করা হয়েছিল।[১০] এএফটিভি এমন কোনো অনুষ্ঠান প্রচারিত করতো না যেগুলো আক্রমণাত্মক হতে পারে, এবং এগুলোর বাদে কাউবয় অথবা ডিটেক্টিভ চলচ্চিত্র প্রচারিত করতো।[১১]

১৯৭৬ সালে সরকার দায়িত্ব নেয় অ্যামেরিকান ফর্সেস রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন সার্ভিসের রেডিও এবং টেলিভিশন সার্ভিস বন্ধ করার জন্য, এবং তাই হয় ২৫ অক্টোবরে।[১২] এগুলোর জায়গায় একি রকমের সার্ভিস দিয়ে বদলানো হয়, যেগুলো চালিয়েছে রাষ্ট্রিয় সম্প্রচারক।[১২]

জাতীয় ইরানি রেডিও ও টেলিভিশন সম্পাদনা

১৯৭১ সালে এনআইটিভি রেডিও ইরানের সাথে যুক্ত হয় স্থাপিত হয় জাতীয় ইরানি রেডিও ও টেলিভিশন (এনআইআরটি)।[১৩] টিভিআই ১৯৬৯ এর শেষ দিকে একটি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হয়ে যায়।[১৪] তখন সরকার দাবি দেন যে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হচ্ছে এক প্রতিযোগিতামূলক ক্ষতি, এবং সাবেত থেকে কিনে নেয় ২ কোটি তোমান দিয়ে। সাথে কেন্দ্রের ভবন দখল করে এডুকেশনাল টেলিভিশন সার্ভিস।[৮]

১৯৬৭ সালের আগে টেলিভিশন ইরানের ২১ লক্ষ্য মানুষদের ছড়িয়েছিল। যখন এনআইটিভি পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার শুরু করে ওই সালে, টেলিভিশন ৪৮ লক্ষ্য মানুষদের ছড়ানো হয়, এবং ১৯৭৪ সালে ১.৫ কটি মানুষদের ছড়ানো হয়, তখন ইরানের আঁধার মতো জনসংখ্যা ছিলো।[১৫]

১৯৭৫ এবং ১৯৭৬ এর মধ্যে ইরানের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা টেলিভিশনের সিগনাল পায়[১৬] আগের থেকেই ১৯৭৩ সালে এনআইটিভি ১৪টি টেলিভিশন প্রডাকশন কেন্দ্র, ১৫৩টি ট্রান্সমিটার সহ, স্থাপন করেছে, যেগুলোর সিগনাল ইরানের ৮৮টি সহরে পাওয়া যায়, এবং দেশের ৬০ শতাংশ জনসংখ্যা টেলিভিশনের সিগনাল পায়।[১৭] পরের সালে আর একটি কেন্দ্র স্থাপন হয়।[১৩]

আগে এনআইআরটি ১৯৭৭ সালের মধ্যে এটির প্রথম টেলিভিশন সংস্থা ইরানের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের কাছে এবং দ্বিতীয় টেলিভিশন সংস্থা ইরানের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের কাছে পৌঁছানো চেয়ে ছিলো, শেষ হয়ে দেশের পঞ্চম উন্নয়নের প্ল্যান।[১৮]

১৯৭৪ সালে এশিয়ায় সম্প্রচার ক্ষমতার উন্নয়নের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ইরান শুধুমাত্র জাপানের পিছে ছিলো।[১৩] ১৯৭৭ সালে একজন পশ্চিমী ভাষ্যকার বলেন যে যদি ইরান আজকের পথে চলতে থাকে তাহলে ইরান বিশ্বের প্রথম দেশ হবে যে একটি দেশজুড়ে ছড়ানো প্রেসের আগে দেশজুড়ে ছড়ানো টেলিভিশন আছে। [১৯]

১৯৭৫ সালে ইরানে রঙিন টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়, কিন্ত যারা রঙিন টেলিভিশন সেট কিনতে পেরেছে তারা রঙিন সম্প্রচার দেখতে পেরেছে।[২০] পূর্ণাঙ্গ রঙিন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৭৬ সালে।[২১] ১৯৭৭ সালের ১লা ফেব্রুয়ারিতে ইরান ফরাসি সিক্যাম ব্যাবহার করা শুরু করে, এবং আমদানিকৃত টেলিভিশন সেটগুলো অব্যবহারযোগ্য হয়ে যায়।[১২] এনআইআরটি রঙে সম্প্রচার করার সুবিধা থাকতেও এবং ১৯৭৪ এশিয়ান গেমস রঙে প্রচার করেও, সমস্ত অনুষ্ঠান ১৯৭৮ সালের পর্যন্ত রঙে প্রচারিত হয়নি, রঙিন টেলিভিশন সেটের চাহিদা মেটাতে স্থানীয় নির্মাতাদের ক্ষমতার কারণে।[২]

এনআইআরটির প্রথম চ্যানেল, প্রথম প্রোগ্রাম নামে পরিচিত, সাধারণ অনুষ্ঠান প্রচারিত করতো, এবং ৩৩ শতাংশের অনুষ্ঠান ইমপোর্ট করা হয়েছে। এটির দ্বিতীয় চ্যানেল, দ্বিতীয় প্রোগ্রাম নামে পরিচিত, বেশিরভাগ শিক্ষাবিষয়ক এবং সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচারিত করতো, যেগুলো ৬০ শতাংশ ইমপোর্ট করা।[৮]

ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান সম্প্রচার সম্পাদনা

১৯৭৯ ইরানি বিপ্লবের পর এনআইআরটির নাম সেদা ভা সিমা-ইয়ে জোমহুরিয়ে ইসলামিয়ে ইরান (صدا و سيمای جمهوری اسلامی ايران "ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের কণ্ঠ এবং দর্শন"), অথবা ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান সম্প্রচার (আইআরআইবি), হিসেবে নামকরণ করা হয়, এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রর নতুন সংবিধান অনুযায়ী রেডিও এবং টেলিভিশন "ইসলামী বিপ্লবের পরিপূর্ণতার পথের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং ইসলামী সংস্কৃতির প্রচারে কাজ করে থাকবে এবং এর জন্য বিভিন্ন ধারণার সুস্থ সংঘর্ষ থেকে উপকৃত হওয়া এবং ধ্বংসাত্মক ও ইসলাম বিরোধী মতবাদের বিস্তার ও প্রচার কঠোরভাবে এড়িয়ে চলা।"[২২]

১৯৯৮ সালে ইরান সিক্যাম বাদ দিয়ে পিএএল সিস্টেম ব্যবহার করা শুরু করে।[২৩]

স্যাটেলাইট টেলিভিশন সম্পাদনা

আইআরআইবির একচেটিয়া এবং বিবাচনের ফলে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ, এর মধ্যে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা থেকে চলিত ফার্সি ভাষার চ্যানেলগুলো উল্লেখযোগ্য, ইরানে জনপ্রিয়তা পেয়েছে,[২৪] যদিও ১৯৯৪ একটি আইন জারি হয়ে থাকে যাতে ইরানে স্যাটেলাইট ডিশের ব্যবহার এবং মালিকানা নিষিদ্ধ করা হয়।[২৫] কিন্তু আইআরআইবির গবেষণা কেন্দ্র অনুমান করেছে যে ইরানি গৃহসমূহের মধ্যে ৭০ শতাংশ স্যাটেলাইট ডিশ ব্যবহার করে।[২৬]

বারবার জ্যাম করা হয়েও ২০১১ সালে বিবিসি ফারসি চ্যানেলটি ৭২ লাখ সাপ্তাহিক দর্শক গ্রহণ করেছে।[২৭] ইরানে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেলসমূহের মধ্যে এক হল জেম টিভিদুবাই থেকে সম্প্রচারিত, এটি অবৈধভাবে সেই দেশে সম্প্রচার করে।[২৮] নিউজ কর্পোরেশনের অর্ধ মালিকানাধীন স্যাটেলাইট চ্যানেল ফার্সি ১, যা বেশিরভাগ অন্যান্য এশীয় দেশ এবং লাতিন আমেরিকার থেকে কমেডি এবং নাটক ধারাবাহিক প্রচার করে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলের মধ্যে এক।.[২৯]

সরকারি চ্যানেলসমূহ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Iran Almanac and Book of Facts, একো অফ ইরান, ১৯৯২, পৃষ্ঠা ২৩৮
  2. The Cambridge History of Iran, ভলিউম ৭, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, ১৯৮৯, পৃষ্ঠাসমূহ ৮১০-৮১১
  3. Habib Sabet Is Dead; An Iranian Altruist And Industrialist, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০, পৃষ্ঠা ৩০
  4. Journal of the Television Society, টেলিভিশন সোসাইটি, ১৯৫৯, পৃষ্ঠা 515
  5. Broadcasting, ব্রডকাস্টিং পাবলিকেশনস, পৃষ্ঠা ৭৭
  6. Regional Trade Directory: Iran-Pakistan-Turkey, মাদাতালি কারামালি, ১৯৬৮, পৃষ্ঠা ৮৩
  7. Basic Facts About Iran, Ministry of Information, Publications Dept, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১১০
  8. A Small Media, Big Revolution: Communication, Culture, and the Iranian Revolution, অ্যানাবেল স্রেবার্নি-মোহাম্মদি, আলি মোহাম্মদি, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, ১৯৯৪, pages 66–67
  9. Communications and Development Review, ভলিউম ১, ইস্যু ১–৪, ইরান যোগাযোগ এবং উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, ১৯৭৭
  10. Journal of the Society of Motion Picture and Television Engineers, ভলিউম ৭৭, সিম্পটি, ১৯৬৮, পৃষ্ঠা ৫১২
  11. Political Elite of Iran, মার্ভিন জোনিস, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ২৪৭
  12. Iran Almanac and Book of Facts, ভলিউম ১৬, একো অফ ইরান, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা ১২৫
  13. Iran Almanac and Book of Facts, একো অফ ইরান, ১৯৭৪, পৃষ্ঠা ১২৯
  14. Iran Almanac and Book of Facts, একো অফ ইরান, ১৯৬৯, পৃষ্ঠা ৪৬১
  15. Encyclopedia of International Media and Communications, ভলিউম ২, অ্যাকাডেমিক প্রেস, ২০০৩, পৃষ্ঠা ৬১৭
  16. Iran: A Survey of U.S. Business Opportunities, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স, ডোমেস্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্যুরো অফ ইন্টারন্যাশনাল কমার্স, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা ৬০
  17. InterMedia, আন্তর্জাতিক সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান, ১৯৭৩, পৃষ্ঠা ১৭
  18. CENTO Seminar on Management & Training in Television & Radio Broadcasting, সেন্টো, ১৯৭৫, পৃষ্ঠা ২৫
  19. Iranian Media: The Paradox of Modernity, গোলাম খিয়াবানি, Routledge, সেপ্টেম্বর ২০০৯, পৃষ্ঠা ১৬৩
  20. Revolution in Iran: The Politics of Countermobilization, জেরোল্ড ডি গ্রিন, হল্ট ম্যাকডগাল, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ২২
  21. Iran: An Economic Profile, জাহাঙ্গীর আমুজেগার, মিডেল ইস্ট ইনস্টিটিউট, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা ১২৬
  22. Journalism in Iran: From Mission to Profession , হোসেন শাহিদি, রাউটলিজ, ২০০৭, পৃষ্ঠা ৯৫
  23. Iran Today: An Encyclopedia of Life in the Islamic Republic, ভলিউম ১, পৃষ্ঠা ৮৫
  24. Television and Public Policy: Change and Continuity in an Era of Global Liberalization, ডেভিড ওয়ার্ড, রাউটলিজ, ২০০৯, পৃষ্ঠা ২৯৭
  25. Iran Prohibits Satellite Dishes To Bar U.S. TV, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯৪, পৃষ্ঠা ৬
  26. "Iran: Regime admits over 40% Iranians view satellite TV despite crackdown"। এনসিআরআই। ২৮ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২৩ 
  27. "BBC Persian audience doubles to 6m"দ্য গার্ডিয়ান। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২৩ 
  28. এর্ডব্রিঙ্ক, টমাস (১৫ জানুয়ারি ২০১৩)। "Soap Opera's Disappearance Adds to TV Drama in Iran"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২৩ 
  29. ফিলকিনস, ডেক্সটার (২০ নভেম্বর ২০১০)। "TV Channel, Part Owned by Murdoch, Draws Threats in Iran"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২৩