ইয়ামাহা ওয়াইপিএফ ৩৭

ইয়ামাহা ওয়াইপিএফ ৩৭ হচ্ছে বাংলাদেশে নির্মিত ফাস্ট প্যাট্রোল বোটের একটি শ্রেণী যা বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজগুলো ইয়ামাহা মেরিন বাংলাদেশ- বিএফ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড-এ নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি জাহাজ নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫]

শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: ইয়ামাহা ওয়াইপিএফ ৩৭
নির্মাতা:
ব্যবহারকারী:
নির্মিত: ২০১৬–বর্তমান
অনুমোদন লাভ: ২০১৬–বর্তমান
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার: ফাস্ট প্যাট্রোল বোট
দৈর্ঘ্য: ১১.২৮ মিটার (৩৭.০ ফু)
প্রস্থ: ২.৫৯ মিটার (৮.৫ ফু)
গভীরতা: ০.৯৬ মিটার (৩.১ ফু)
প্রচালনশক্তি: ২ × ইয়ামাহা ১৫০/২০০/২৫০এইচপি ডিজেল ইঞ্জিন (৪ স্ট্রোক), জাপান
গতিবেগ: ৩৫ নট (৬৫ কিমি/ঘ; ৪০ মা/ঘ) (সর্বোচ্চ)
ধারণক্ষমতা: ১৬-২০ জন

ইতিহাস সম্পাদনা

সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য এসব জাহাজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো সম্পাদনা

দেশীয় প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী জাহাজের নকশা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতায় আরোও একটি মাইলফলক অর্জন হয় ইয়ামাহা মেরিন বাংলাদেশ- বিএফ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক এসব ফাস্ট প্যাট্রোল বোট নির্মাণের ফলে। ইয়ামাহা ওয়াইপিএফ ৩৭ ফাস্ট প্যাট্রোল বোটের দৈর্ঘ্য ১১.২৮ মিটার (৩৭.০ ফু), প্রস্থ ২.৫৯ মিটার (৮.৫ ফু) এবং গভীরতা ০.৯৬ মিটার (৩.১ ফু)। প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ২টি ইয়ামাহা ১০০/২০০/২৫০এইচপি ডিজেল ইঞ্জিন (৪ স্ট্রোক), জাপান। যার ফলে জাহাজগুলো সর্বোচ্চ ৩৮ নট (৭০ কিমি/ঘ; ৪৪ মা/ঘ) গতিতে চলছে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো ১৬-২০ জন সৈন্য বহন করতে পারে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Developed & Customized to the requirement of Bangladesh Fire Services & Civil Defence...We are pleased to add our locally manufactured Boats fitted with YAMAHA OBMs to their fleet! Yamaha Marine Bangladesh - BF International Limited"www.facebook.com। ২০২২-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০২ 
  2. "We strive for excellence in our products, and our manufactured, YPF 37 powered with Yamaha OBMs is an example of that! Yamaha Marine Bangladesh - BF International Limited"www.facebook.com। ২০২২-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০২ 
  3. "Our range of locally manufactured Fibreglass Boats fitted with Yamaha OBMs. Yamaha Marine Bangladesh - BF International Limited"www.facebook.com। ২০২২-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০২ 
  4. "YPF 37"BF Intlernational Ltd. (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪ 
  5. "সেন্টমার্টিন দ্বীপের আশেপাশে টহল দিচ্ছে বিজিবি | BGB High Speed Interceptor Vessel"