আ. স. ম. ফিরোজ
আ.স.ম. ফিরোজ (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৫৩) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়াও দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে তিনি পটুয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ১০ম জাতীয় সংসদে তিনি জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ছিলেন।[১][২] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৩]
আ. স. ম. ফিরোজ | |
---|---|
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ | |
কাজের মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ – ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | আব্দুস শহীদ |
উত্তরসূরী | নূর-ই-আলম চৌধুরী |
পটুয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ২৪ মার্চ ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | আবদুল আজিজ খন্দকার |
উত্তরসূরী | আসন বিলুপ্ত |
পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | সিদ্দিকুর রহমান |
উত্তরসূরী | রুহুল আমিন |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫ | |
পূর্বসূরী | রুহুল আমিন |
উত্তরসূরী | ইয়াকুব আলী শরীফ |
কাজের মেয়াদ ১২ জুন ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | ইয়াকুব আলী শরীফ |
উত্তরসূরী | শহিদুল আলম তালুকদার |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ | |
পূর্বসূরী | শহিদুল আলম তালুকদার |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৫৩ |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | মহাজোট |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাআ.স.ম. ফিরোজ ১৯৫৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতিহাস বিষয়ে বরিশাল সরকারি বি.এম. কলেজ থেকে বি.এ. ড্রিগ্রি নেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাআ. স. ম. ফিরোজ ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৬৯-১৯৭০ সালে বিএম কলেজের ছাত্র সংসদের (বাকসু) নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।
১৯৭১ সালে ফিরোজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ফিরোজ ১ম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-৬ আসন থেকে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন বিএনপির মতিউর রহমান।[৪]
১৯৭৯ সাল থেকে তিনি বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ৪৪বছর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালের তৃতীয় নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।[৫]
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন আবু জাফর খান।[৬]
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন বিএনপির শহিদুল আলম তালুকদার।[৭]
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী শহিদুল আলম তালুকদারের কাছে পরাজিত হন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী একে এম ফারুক হোসেন তালুকদারকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হন।[৮] নবম জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[৯] ১০ম জাতীয় সংসদে তিনি জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[১০]
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[১১] দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি সংসদীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৩]
তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ittefaq, The Daily। "দশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হলেন আ স ম ফিরোজ :: দৈনিক ইত্তেফাক"। archive.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১৫।
- ↑ "শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা"। www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৬।
- ↑ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২।
- ↑ "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"। জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। আরটিভি। ৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২৪।