অহোম রাজবংশ‍ (১২২৮-১৮২৬) বর্তমান আসামের অংশ অহোম সাম্রাজ্য প্রায় ৬০০ বছর ধরে রাজত্ব করেছিল। পাটকাই পর্বত পার হয়ে আসামে আসা মং মাওর শান রাজকুমার চুকাফা এই বংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেেন। আসামে মানর আক্রমণ ও ১৮২৬ সালে ব্রিটিশ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সঙ্গে হওয়া ইয়াণ্ডাবু সন্ধির পর এই অহোম বংশের শাসনের অন্ত হয়।

মধ্যযুগের কুলজীতে এই বংশের রাজাদেরকে "আসাম রাজা" বলে অভিহিত করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রাজারা তাদেরকে "চাওফা" (চাও-দেবতা, ফা-স্বর্গ) বা ১৬শ শতক থেকে "স্বর্গদেউ" নাম দিয়েছিল।

স্বর্গদেউ সম্পাদনা

অহোম রাজারা মং মাওর থেকে আসামে আসা প্রথম রাজা চুকাফার বংশধর ছিলেন [১]। উত্তরাধিকার সূত্রে রাজার বাছাই হয়েছিল, কিন্তু রুদ্রসিংহর হুকুমে তারপর তার পাঁচজন পুত্রের মধ্যে চারজনই একজন একজন করে রাজসিংহাসনে বসেছিলেন। স্বর্গদেউর পদ চুকাফার বংশধর দের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবং তারা মন্ত্রীপদর জন্য বিবেচিত হননি। সাম্রাজ্যর অন্তিম সময় পর্যন্ত এই প্রথা বজায় ছিল। যেমন- সভাসদবৃন্দ আতন বুঢ়াগোঁহাঞিকে রাজা হতে অনুরোধ করায় তিনি নাকচ করেছিলেন।

পাত্রমন্ত্রীরা (বুঢ়াগোহাঁই, বরগোহাঁই, বরপাত্র গোহাঁই, বরবরুবা, বরফুকন) অনুমোদন করলে কোনো প্রার্থী রাজসিংহাসনে বসতে পারত। ১৪শ শতকের সময়র উপযুক্ত প্রার্থী না থকার জন্য রাজ্যের কোনো শাসক ছিল না। মনঃপুত না হ’লে মন্ত্রীগণ কোনো রাজাকে শাসন থেকে বহিষ্কার করেছিলেন এবং তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ১৭শ শতকে ক্ষমতার জন্য মারামারি শুরু হাওয়ায় অতি কম সময়ের পরিসরে নতুন নতুন শাসক রাজসিংহাসনে বসেছিলেন এবং আগের রাজাকে হত্যা করা হয়েছিল। চুলিক্‌ফা ল’রা রাজার সময়ে একটা নিয়ম সৃষ্টি করা হ’ল যে রাজা হতে হলর প্রার্থীর অঙ্গে খুঁত থাকতে পারবে না এবং এর সুযোগ নিয়ে বহু অহোম কুমারের অঙ্গে ক্ষত করা হয়েছিল। রুদ্রসিংহ‍ও তার ভ্রাতা লেচাইর মনোভাবের ওপর সন্দেহ করে অঙ্গক্ষত করিয়েছিলেন। তবুও উত্তরাধিকারীর সমস্যা অব্যাহত ছিল ও রুদ্রসিংহ‍ তার পরের পুত্রদের একজন একজন করে রাজা হতে আদেশ দিয়েছিলেন। তার একজন পুত্র মোহনমালাকে আওকাণ করা হয়েছিল যিনি পরে মোয়ামরীয়া বিদ্রোহে একটা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালীন শাসক ও সভাসদরাও এমন নিয়মের সুযোগ নেওয়াতে দুর্বল রাজা রাজসিংহাসনে বসতে পেররছিল। নিজের নিজের পিতার অঙ্গক্ষত হওয়া কমলেশ্বর সিংহ (কদম দীঘলার পুত্র) ও পুরন্দর সিংহ (ব্র্জনাথের পুত্র ও অহোমের শেষ রাজা) শাসক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

অহোম রাজাদের ওপর দৈবিকত্ব আরোপ করা হয়। অহোম পরম্থেকের মতে চুকাফা ছিলেন খুনলুঙর বংশধর, যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসে মং-রি-মং-রাম শাসন করেছিলেন। চুহুংমুংর রাজত্বকালে (১৪৯৭-১৫৩৯) প্রথম আসামীয়া ইতিহাস লেখা হয়েছিল এবয হিন্দু ধর্মর প্রভাব বাড়ছিল। সেইসময় অহোম রাজাদের মূলক ইন্দ্র(খুংলুং বলে মনে করা হয়) ও শ্যামা(একজন নিম্নবংশীয় মহিলা)র মিলনের সঙ্গে জড়িত করা হয়েছিল এবং তাদেরকে অহোমের জন্য সৃষ্টি করা গোষ্ঠী "ইন্দ্রবংশ ক্ষত্রীয় বলে প্রচার করা হয়েছিল [২]। চুহুংমুঙ স্বর্গনারায়ণ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন এবং পরের রাজাদেরকে স্বর্গদেউ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।

রাজাভিষেক সম্পাদনা

স্বর্গদেউর রাজাভিষেককে "শিঙরী ঘর উঠা" বলে অভিহিত করা হয়েছিল। চুদাংফা বামুণী কুমারির সময়ে (১৩৯৭-১৪০৭) একে প্রথমবারের জন্য পালন করা হয়েছিল। পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর উপদেশমতে কমলেশ্বর সিংহ (১৭৯৫-১৮১১) ও চন্দ্রকান্ত সিংহর (১৮১১-১৮১৮) রাজ্যাভিষেক পালন করা হয়নি। রাজত্বকালে মৃত্যু হওয়া রাজাকে মৈদাম-এ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। একে বহু মৈদামে ১৭শ শতকে মির জুমলা লুটপাত চলায়। পরবর্তীকালে খরি দিয়ে কিছুসংখ্যক রাজার (যেমন- শিবসিংহ) ভস্ম সমাধিস্থ করা হয়েছিল।

রাজসিংহাসনে বসার সময় নতুন রাজা অহোম পুরোহিতরা ঠিরাং করা একটা অহোম নাম গ্রহণ করেছিলেন। নামটির শেষভাগ ছিল ফা (টাই: প্রভু, দেবতা)। যেমন- চুচেংফা। পরের রাজারা সিংহ দিয়ে শেষ হওয়া একটি হিন্দু নাম নিয়েছিলেন। যেমন- চুচেংফাই নাম নিয়েছিলেন প্রতাপ সিংহ। কুলজীতে রাজাদের কোনো বৈশিষ্ট ফুটে ওঠা অনানুষ্ঠানিক নামও পাওয়া যায়। রাজা হওয়ার সময় প্রতাপ সিংহর বয়স যথেষ্ট হয়েছিল বলে তাকে বুঢ়া রাজা বলেও অভিহিত করা হয়।

রাজকীয় পরিবার ও ফৈদসমূহ সম্পাদনা

তৃতীয় অহোম রাজা চুবিন্‌ফা (১২৮১-১২৯৩) অহোমের অভিজাত সাতটা বংশকে সাতঘরীয়া অহোম নাম দেন। এর প্রথম বংশ ছিল রাজার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বংশ ছিল ক্রমে বুঢ়াগোহাঁইবরগোহাঁইর। শেষের চারটি বংশ ছিল অহোম পুরোহিতের। চুখ্রাম‌ফা (১৩৩২-১৩৬৪) আপাত উত্তরাধিকারীর জন্য সংরক্ষিত উপাধি চারিং রাজা আরম্ভ করে। প্রথম চারিং রাজা ছিলেন চুখ্রাম্‌ফার অর্দ্ধ ভ্রাতা ও কামতা কুঁয়রী রজনীর পুত্র চাও পুলা। চুহুংমুং দিহিঙীয়া রাজা (১৪৯৭-১৫৩৯) পূর্বের রাজার বংশধরদেরকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থাপে গিয়ে পরে অহোমের সাতটা রাজকীয় ফৈদ হয়ে পড়ে: চারিঙীয়া, টিপমীয়া, দিহিঙীয়া, চামগুরীয়া, টুংখুঙীয়া, পর্বতীয়ানামরূপীয়াগদাধর সিংহ‍ (১৬৮১-১৬৯৬) টুংখুঙীয়া ফৈদর শাসনের পাতনি মেলে ও অহোম সাম্রাজ্যর শেষ দিন পর্যন্ত তারা রাজত্ব করেন।

রাণী সম্পাদনা

অহোম রাণীরাও (কুঁয়রী) রাজ্য শাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে বর কুঁয়রী, পর্বতীয়া কুঁয়রী, রাইডাঙীয়া কুঁয়রী, তামূলী কুঁয়রী ইত্যাদি পদ দেয়া হয়েছিল। তারা ছিলেন অহোমের উচ্চ বা সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা। নিম্ন বংশজাত রাণীকে চমুয়া কুঁয়রী বলে অভিহিত করা হয়েছিল। কিছুজনকে শাসনের জন্য রাজ্যের একটা অংশ দেয়া হয়েছিল যেগুলি ফুকন, বরুয়া ইত্যাদি ভাগ-বাটোয়ারা করেছিলেন। শিবসিংহ (১৭১৪-১৭৪৪) তার রাণী ফুলেশ্বরী কুঁয়রী, অম্বিকা কুঁয়রী ও অনাদরী কুঁয়রীকে একজন একজন করে রাজ্য শাসনের জন্য রাজ ছত্ররাজ চিহ্ন প্রদান করেছিলেন। তাদেরকে অভিহিত করা হয়েছিল বর-রাজা [৩]। সেইসময়ের প্রচলিত মুদ্রার উল্টো পিঠে রাণীর নাম লেখা থাকায় তাদের গুরুত্ব বোঝা যায়।

ধর্মীয় প্রভাব সম্পাদনা

 
শিবসাগর চহরর সমীপত থকা অহোম সৈন্যর প্রতিমূর্তি

চুকাফার আরাধ্য দেবতা ছিলেন সোমদেও নামে একজন অনা-হিন্দু, অনা-বুদ্ধধর্মীয় দেবতা। পূজা-পার্বনের জন্য দেওধাই, বাইলুং ইত্যাদি পুরোহিতের শ্রেণী ছিলেন। কিন্তু কালক্রমে শাসিত রাজ্যের ধর্ম-সংস্কৃতির প্রভাব অহোম রাজাদের ওপর পড়তে শুরু করে। ব্রাহ্মণের ঘরে বড়ো হওয়া চুদাংফা বামুণী কোঁয়রের (১৩৯৭-১৪০৭) সময় থেকে হিন্দু ধর্ম‍ রাজপরিবারে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। চুহুংমুং দিহিঙীয়া রাজা (১৪৯৭-১৫৩৯) ছিলেন অনা-অহোম নাম স্বর্গনারায়ণ গ্রহণ করা প্রথম অহোম রাজা। মহাপুরুষীয়া ধর্মে দিক্ষিত হওয়া প্রথম রাজা ছিলেন চুটাম্‌লা (১৬৪৮-১৬৬৩)। ক্রমে ক্রমে মহাপুরুষীয়া ধর্মের বিভিন্ন খেলের লোকরা রাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে শুরু করে। ১৭শ শতকের শেষের ঘ্টনাবলীর পর প্রথম টুংখুঙীয়া ফৈদর রাজা গদাধর সিংহ‍ (১৬৮১-১৬৯৬) তার শাসনকালে এই ধর্মীয় জোটগুলির প্রতি মনে গভীর অবিশ্বাস পুষে রেখেছিলেন। তার পুত্র ও উত্তরাধিকারী রুদ্রসিংহর সময়ে (১৬৯৬-১৭১৪) বিকল্প ধর্মের সন্ধান আরম্ভ হয়। রুদ্রসিংহর পুত্র ও উত্তরাধিকারী শিবসিংহ (১৭১৪-১৭৪৪) আনুষ্ঠানিকভাবে শাক্তধর্ম গ্রহণ করেন। শিবসিংহর শাসনকাল থেকে আরম্ভ হওয়া মহাপুরুষীয়া সত্রর ওপর শুরু হওয়া অত্যাচার মোয়ামরীয়া বিদ্রোহের প্রধান কারণ ছিল যা অহোম সাম্রাজ্যর শক্তি বহুলাংশে হ্রাস করে।

স্বর্গদেউদের তালিকা সম্পাদনা

বর্ষ শাসনকাল অহোম নাম অন্য নাম উত্তরাধিকারী শাসন অন্ত রাজধানী
১২২৮-১২৬৮ ৪০ বছর চুকাফা প্রাকৃতিক মৃত্যু চরাইদেও
১২৬৮-১২৮১ ১৩ বছর চুতেউফা চুকাফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু চরাইদেও
১২৮১-১২৯৩ ১২ বছর চুবিন্‌ফা চুতেউফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু চরাইদেও
১২৯৩-১৩৩২ ৩৯ বছর ত্যাওচুখাংফা চুবিন্‌ফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু চরাইদেও
১৩৩২-১৩৬৪ ৩২ বছর চুখ্রাংফা ত্যাওচুখাংফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু চরাইদেও
১৩৬৪-১৩৭৬ ১২ বছর চুতুফা চুখ্রাংফার ভায়েক চুতীয়া রাজার দ্বারা ভতরা গরু গছকাই হত্যা চরাইদেউ
১৩৭৬-১৩৮০ ৪ বছর পাত্র মন্ত্রীদের দ্বারা শাসন চরাইদেও
১৩৮০-১৩৮৯ ৯ বছর ত্যাও খামটি চুখান্‌ফার পুত্র হত্যা [৪] চরাইদেও
১৩৮৯-১৩৯৭ ৮ বছর শাসক নেই
১৩৯৭-১৪০৭ ১০ বছর চুদাংফা বামুণী কোঁয়র ত্যাও খামটির পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু চরাগুয়া
১৪০৭-১৪২২ ১৫ বছর চুজান্‌ফা চুদাংফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৪২২-১৪৩৯ ১৭ বছর চুফাক‌‍ফা চুজান্‌ফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৪৩৯-১৪৮৮ ৪৯ বছর চুচেন্‌ফা চুফাক্‌ফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৪৮৮-১৪৯৩ ৫ বছর চুহেন্‌ফা চুচেন‌ফার পুত্র হত্যা [৫]
১৪৯৩-১৪৯৭ ৪ বছর চুপিম্‌ফা চুহেন্‌ফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৪৯৭-১৫৩৯ ৪২ বছর চুহুংমুং স্বর্গনারায়ণ, দিহিঙীয়া রাজা ১ চুপিম্‌ফার পুত্র হত্যা [৬] বকতা
১৫৩৯-১৫৫২ ১৩ বছর চুক্লেংমুং গড়গঞা রাজা চুহুংমুঙর পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু গড়গাঁও
১৫৫২-১৬০৩ ৫১ বছর চুখাম্‌ফা খোরা রাজা চুক্লেংমুঙর পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু গড়গাঁও
১৬০৩-১৬৪১ ৩৮ বছর চুচেংফা প্রতাপ সিংহ, বুঢ়া রাজা, বুদ্ধিস্বর্গনারায়ণ চুখাম‌ফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু গড়গাঁও
১৬৪১-১৬৪৪ ৩ বছর চুরাম্‌ফা জয়দিত্য সিংহ, ভগা রাজা চুচেংফার পুত্র ক্ষমতাচ্যুত গড়গাঁও
১৬৪৪-১৬৪৮ ৪ বছর চুটিংফা নরীয়া রাজা চুরাম্‌ফার ভায়েক ক্ষমতাচ্যুত গড়গাঁও
১৬৪৮-১৬৬৩ ১৫ বছর চুটাম‌লা জয়ধ্বজ সিংহ, ভগনীয়া রাজা চুটিংফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু গড়গাঁও, বকতা
১৬৬৩-১৬৭০ ৭ বছর চুপাংমুং চক্রধ্বজ সিংহ চুটামলার সম্বন্ধীয় ভ্রাতা প্রাকৃতিক মৃত্যু বকতা/ গড়গাঁও
১৬৭০-১৬৭২ ২ বছর চুন্যাত্‌ফা উদয়াদিত্য সিংহ চুপাংমুঙর ভ্রাতা ক্ষমতাচ্যুত
১৬৭২-১৬৭৪ ২ বছর চুক্লাম্‌ফা রামধ্বজ সিংহ চুন্যাত্‌ফার ভ্রাতা বিষ খাইয়ে হত্যা
১৬৭৪-১৬৭৫ ২১ দিন চুহুংগা চামগুরীয়া রাজা চুহুংমুঙর চামগুরীয়া বংশধর ক্ষমতাচ্যুত
১৬৭৫-১৬৭৫ ২৪ দিন গোয়র রাজা চুহুংমুঙর পরিনাতি ক্ষমতাচ্যুত
১৬৭৫-১৬৭৭ ২ বছর চুজিন্‌ফা অর্জুন কোঁয়র, দিহিঙীয়া রাজা ২ নামরূপীয়া গোহাঁইর পুত্র, প্রতাপ সিংহর নাতি ক্ষমতাচ্যুত, আত্মহত্যা
১৬৭৭-১৬৭৯ ২ বছর চুদৈফা পর্বতীয়া রাজা চুহুংমুঙর পরিনাতি ক্ষমতাচ্যুত, হত্যা
১৬৭৯-১৬৮১ ৩ বছর চুলিক্‌ফা রত্নধ্বজ সিংহ, ল’রা রাজা চামগুরীয়া বংশ ক্ষমতাচ্যুত, হত্যা
১৬৮১-১৬৯৬ ১৫ বছর চুপাত্‌ফা গদাধর সিংহ গোয়র রাজার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৬৯৬-১৭১৪ ১৮ বছর চুখ্রুংফা রুদ্র সিংহ চুপাত্‌ফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু রংপুর
১৭১৪-১৭৪৪ ৩০ বছর চুতান‌ফা শিব সিংহ চুখ্রুংফার পুত্র প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৭৪৪-১৭৫১ ৭ বছর চুনেন্‌ফা প্রমত্ত সিংহ চুতান‌ফার ভ্রাতা প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৭৫১-১৭৬৯ ১৮ বছর চুরাম্‌ফা রাজেশ্বর সিংহ চুনেন্‌ফার ভ্রাতা প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৭৬৯-১৭৮০ ১১ বছর চুন্যেওফা লক্ষ্মী সিংহ চুরাম্‌ফার ভ্রাতা প্রাকৃতিক মৃত্যু
১৭৮০-১৭৯৫ ১৫ বছর চুহিত্পাংফা গৌরীনাথ সিংহ চুন্যেওফা প্রাকৃতিক মৃত্যু যোরহাট
১৭৯৫-১৮১১ ১৬ বছর চুক্লিংফা কমলেশ্বর সিংহ রুদ্রসিংহর ভায়েক লেচাইর নাতি প্রাকৃতিক মৃত্যু, সরুআই যোরহাট
১৮১১-১৮১৮ ১৭ বছর চুদিংফা (১) চন্দ্রকান্ত সিংহ চুক্লিংফার ভ্রাতা ক্ষমতাচ্যুত যোরহাট
১৮১৮-১৮১৯ ১ বছর পুরন্দর সিংহ (১) চুরাম্‌ফার বংশধর ক্ষমতাচ্যুত যোরহাট
১৮১৯-১৮২১ ২ বছর চুদিংফা (২) চন্দ্রকান্ত সিংহ
১৮২১-১৮২৪ ৩ বছর যোগেশ্বর সিংহ হেম আইদেউর ভায়েক
১৮৩৩-১৮৩৮ পুরন্দর সিংহ(২)

পাদটিকা সম্পাদনা

  1. প্রথম অহোম রাজার আসামে আসার বিষয়ে জানতে চুকাফা দেখুন
  2. Gogoi 1968, p283. In Hindu lore, the two other accepted families are চন্দ্রবংশীয় and সুর্যবংশীয়
  3. Gogoi 1968
  4. Deposed and assassinated along with his chief queen by the ministers for their autocratic rule
  5. Suhenphaa was speared to death in his palace by a disgruntled subject called Tairuban.
  6. স্বর্গদেউর পুত্র চুক্লেংমুঙর নির্দেশে রাজকর্মচারীর দ্বারা হত্যা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  • Gogoi, Padmeshwar (1968) The Tai and the Tai Kingdom, Gauhati University Press.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা