আহমদ শামসুল ইসলাম

একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি

আহমদ শামসুল ইসলাম (জন্ম ৬ আগস্ট ১৯২৪) হলেন একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। [১] তিনি বাংলাদেশে প্লান্ট টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব প্লান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (বিএপিটিসিবি) এর প্রতিষ্ঠাতা। ইসলাম পাটের দুটি জাত তোষা ও দেশির মধ্যে সংকরায়ণ ঘটিয়েছেন। শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে।[২]

আহমদ শামসুল ইসলাম
জন্ম (1924-08-06) ৬ আগস্ট ১৯২৪ (বয়স ৯৯)
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয় (১৯২৪-৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭-৭১)
বাংলাদেশি (১৯৭১-বর্তমান)
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
 যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষাউদ্ভিদবিজ্ঞান
মাতৃশিক্ষায়তনপ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাবিজ্ঞানী, অধ্যাপক
পরিচিতির কারণপ্লান্ট টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব প্লান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (বিএপিটিসিবি) এর প্রতিষ্ঠাতা
দাম্পত্য সঙ্গীহোমায়রা ইসলাম
সন্তানইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম (পুত্র)
জেবা ইসলাম সিরাজ (কন্যা)
পুরস্কারএকুশে পদক
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রউদ্ভিদবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহকর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস
পৃষ্ঠপোষকন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, ইউনেস্কো, জাপানিজ সোসাইটি ফর প্রমোশন অব সায়ন্সেস
ওয়েবসাইটasaislam.org

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

ইসলাম ১৯২৪ সালের ৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী সিরাজুল ইসলাম ছিলেন রাজশাহী কলেজ এবং পরে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষক। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে স্নাতক এবং ১৯৪৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[১][২] তিনি ১৯৫৪ সালে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তার পোস্ট ডক্টরাল কাজের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে "ক্যুরি স্মারক পুরস্কার" লাভ করেন।[১] তিনি তার পোস্ট ডক্টরাল কাজ চালিয়ে যান এবং ১৯৬১-৬২ সালে ইথাকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৬২-৬৩ সালে ডেভিসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনেস্কোর ফেলোশিপ অর্জন করে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানিজ সোসাইটি ফর প্রমোশন অব সায়ন্সেস থেকে ফেলোশিপ অর্জন করে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় সফরে যান।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ইসলাম ২০০৩ সালের ২১ আগস্ট ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেক বিভাগে এমএসসি ডিগ্রি উদ্বোধন করলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক হিসেবে যোগ দেন।[২]

তিনি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজিস্ট (জিএনওবিবি) এর সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩][৪] ২০০৮ সালে মাকসুদুল আলম তাকে পাটের জিনোম উদ্ভাবন প্রকল্প শুরু করার প্রস্তাব দেন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

শামসুল ইসলামের স্ত্রী হোমায়রা ইসলাম। এই দম্পতির পুত্র ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বর্তমান উপাচার্য[৫] এবং কন্যা জেবা ইসলাম সিরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক।[১] ইসলাম ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে তিনি একটি বাড়ি কিনেছিলেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দেশে চলে আসেন।

প্রকাশনা সম্পাদনা

  • ফান্ডামেন্টাল অব জেনেটিকস (১৯৭০)
  • বংশগতিবিদ্যার মূলকথা ও জিন প্রকৌশল

সম্মাননা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Prof. Ahmad Shamsul-Islam"। Islamic World Academy of Sciences। ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "Professor Ahmad Shamsul Islam Joins BRAC"। BRAC University। আগস্ট ২৩, ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. "Biotech Round Table Conference"দ্য ডেইলি স্টার। জুলাই ২৬, ২০০৯। জুন ১০, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  4. Ahmed A. Azad (জুলাই ২, ২০১০)। "A catalyst for technological development"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  5. "Professor Dr. Yousuf Mahbubul Islam"। Daffodil University। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 

আরও পড়ুন সম্পাদনা