আসহাব উদ্দীন
আসহাব উদ্দীন (জন্ম: ২৮ অক্টোবর ১৯৫৮) হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। তিনি সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সাল পর্যন্ত কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ইয়েমেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।[১][২][৩][৪]
মেজর জেনারেল আসহাব উদ্দীন এনডিসি, পিএসসি | |
---|---|
জন্ম নাম | মোহাম্মদ আসহাব উদ্দীন |
জন্ম | ২৮ অক্টোবর ১৯৫৮ মাটিজুরা, তিলপাড়া, বিয়ানীবাজার, সিলেট, পূর্ব পাকিস্তান। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
সেবা/ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
পদমর্যাদা | মেজর জেনারেল |
পুরস্কার | জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা পদক |
মাতৃশিক্ষায়তন | মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফারহা আসাব চৌধুরী |
সন্তান | ১ কন্যা ও ১ পুত্র |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাআসহাব উদ্দীন ২৮ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজারের তিলপাড়া ইউনিয়নের মাটিজুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে তিনি ফারহা আসাব চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এই দম্পতীর এক কন্যা, ফারিয়া ও এক পুত্র, ফারহান।[৫]
তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর এবং স্নাতকোত্তর ডিফেন্স স্টাডিজ অর্জন করেন। তিনি ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কৌশলগত গবেষণায় স্নাতকোত্তর (এমফিল) ডিগ্রি লাভ করেন।[৫]
তিনি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে সামরিক বিজ্ঞান কোর্স এবং পাকিস্তানে সেনা স্টাফ কোর্স সহ কয়েকটি কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি রিজার্ভ কম্পোনেন্ট, ২০০৩ সালে স্পেশাল ফোর্স অপারেশন এবং ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কোর্স সম্পন্ন করেন।[৫]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআসহাব উদ্দীন ১৯৭৯ সালে প্রথম নিয়মিত ব্যাচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, দুটি পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডিং এবং দুটি পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং সাভার ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ছিলেন। এছাড়াও তিনি ডিরেক্টর মিলিটারি ট্রেনিং এবং মিরপুরের সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন ২০১৩ সালে।[৫]
তিনি ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন ও সাভারের ভাটিয়ারী গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাবের সভাপতি।[৫]
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন
সম্পাদনাআসহাব শান্তিরক্ষী হিসাবে মোজাম্বিকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশ নিয়েছেন।[৫]
সম্মাননা
সম্পাদনা- জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা পদক
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মেজর জেনারেল আসহাব উদ্দিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ "কুয়েতে জাতীয় শোক দিবস পালন"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ সায়েদুল ইসলাম (২ এপ্রিল ২০১৫)। "ইয়েমেনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২২।
- ↑ "BANGLADESH EMBASSY, KUWAIT"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Biography, Major General Mohammad Ashab Uddin, ndc, psc (retd)"। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ২৬ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২২।