আলমগীর এম. এ. কবীর (২৫ নভেম্বর ১৯১১ - ১০ জানুয়ারি ১৯৯৬)[১] হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সমাজকর্মী ও সাবেক উপদেষ্টা[২] জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে তাকে “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[৩]

আলমগীর এম. এ. কবীর
জন্ম(১৯১১-১১-২৫)২৫ নভেম্বর ১৯১১
মৃত্যু১০ জানুয়ারি ১৯৯৬(1996-01-10) (বয়স ৮৪)
ঢাকা
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পেশাসমাজকর্মী
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৮)

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি সম্পাদনা

কবীর ১৯১১ সালের ২৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। খান বাহাদুর এ. কে. কবীরুদ্দীন এবং সাজেদা খন্দকারের চতুর্থ পুত্র তিনি।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ব্রিটিশ রাজত্বকালে ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান পুলিশ যোগদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৬০ সালে তিনি পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত হন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাথে যোগ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের কল্যাণে তিনি পলওয়েল মার্কেট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতেন এবং বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৮সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তার ভূমিকার জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পান।

তিনি বাংলাদেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সারকারের উপদেষ্টা হিসাবে ১৯৯০ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।[২]

পুরস্কার ও সম্মননা সম্পাদনা

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৪][৫][৬] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "100th Birth Anniversary - In remembrance: Alamgir M. A. Kabir"The Daily Star - Online। নভেম্বর ২৫, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. "সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাগণের তালিকা ও কার্যকাল"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  5. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  6. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা