আরাধনা (১৯৭৯-এর চলচ্চিত্র)
আরাধনা ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার নাট্য-প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন রাজু সিরাজ। ছায়াছবিটির কাহিনী লিখেছেন বশীরুল হক এবং চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক রাজু সিরাজ নিজেই। বশীরুল হক নিবেদিত এবং আঞ্জুমান হক প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কবরী সারোয়ার, বুলবুল আহমেদ, শর্মিলী আহমেদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।[১] চলচ্চিত্রটি ৫ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে একটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।[২]
আরাধনা | |
---|---|
পরিচালক | রাজু সিরাজ |
প্রযোজক | আঞ্জুমান হক বশীরুল হক (নিবেদিত) |
চিত্রনাট্যকার | রাজু সিরাজ |
কাহিনিকার | বশীরুল হক |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | আলম খান |
চিত্রগ্রাহক | অরুণ রায় |
সম্পাদক | আমিনুল ইসলাম মিন্টু |
পরিবেশক | চিত্রদূত |
মুক্তি | ১৯৭৯ |
স্থিতিকাল | ১৩৬ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাভাইয়ের আদুরে বোন রূপা ভালোবেসে বিয়ে করে ডাক্তার আশিককে। কিন্তু বিয়ের রাতেই এক দুর্ঘটনায় মারা যায় আশিক। এই সংবাদ সহজভাবে নিতে পারে না রূপা। সে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পরে। ভাই আবুল হাসান তাকে মিথ্যে আশ্বাস দেয় যে আশিক ফিরে আসবে। একদিন আশিক আসে কিন্তু সে রূপার স্বামী আশিক না বরং তার মত দেখতে ডাক্তার মাসুদ। রূপা তাকে তার স্বামী ভেবে নেয়। মাসুদ সব জানার পর রূপাকে প্রফেসর কাদেরের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য শহরে নিয়ে যেতে বলে। আবুল হাসান রূপাকে নিয়ে শহরে যায়। তারা হোটেলে থাকা শুরু করে যেখানে মাসুদ প্রতিদিন তাকে এসে দেখে যায়। অন্যদিকে মাসুদের স্ত্রী পারুল তা জানতে পেরে হোটেলে এসে আবুল হাসান ও রূপাকে শাসায়। পরে সে তার ভুল বুঝতে পেরে তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নতুন ঘটনার উদয় হয়।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- কবরী সারোয়ার - রূপা
- বুলবুল আহমেদ - আশিক / মাসুদ
- শর্মিলী আহমেদ - পারুল, মাসুদের স্ত্রী
- আনোয়ার হোসেন - আবুল হাসান, রুপার ভাই
- শওকত আকবর - প্রফেসর কাদের
- নারায়ণ চক্রবর্তী - খালু
- সাইফুদ্দিন - মাসুদের মামা
- ব্ল্যাক আনোয়ার - গেদু
- মঞ্জুর হোসেন - শামসু চাচা
- মায়া হাজারিকা - মাসুদের মামী
- মিনতি হোসেন - ফরিদা
- সেতারা বেগম - রহিমা
- শামসুল হুদা - আলী চাচা
- মজিবুর রহমান
- আক্রাম
- কাজল
- বিউটি
- বেবি রিতা - সোমা
সঙ্গীত
সম্পাদনাআরাধনা ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলম খান। গীত রচনা করেছেন মুকুল চৌধুরী। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, খুরশিদ আলম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ও শাম্মী আখতার।[৩]
গানের তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | গীতিকার | সুরকার | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|---|
১. | "তুমি বলে ডাকলে" | মুকুল চৌধুরী | আলম খান | খুরশিদ আলম | ৪:১৬ |
২. | "আমি তোমার বধূ" | মুকুল চৌধুরী | আলম খান | শাম্মী আখতার | ৩:২১ |
৩. | "চিঠি আসবে জানি আসবে" | মুকুল চৌধুরী | আলম খান | সাবিনা ইয়াসমিন | ৩:৩৫ |
৪. | "আমি না জানিলাম" | মুকুল চৌধুরী | আলম খান | ইন্দ্রমোহন রাজবংশী | ৪:২২ |
পুরস্কার
সম্পাদনা- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক - আব্দুস সবুর।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মঈন আব্দুল্লাহ্ (১৫ জুলাই ২০১০)। "অভিনেতা বুলবুল আহমেদ আর নেই"। দৈনিক সমকাল। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ রাশেদ শাওন (অক্টোবর ২৪, ২০১২)। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ রওশন আরা বিউটি (১৮ জুন ২০১৫)। "জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শাম্মী আখতার"। দৈনিক আজাদী। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আরাধনা (ইংরেজি)