আমিনা বেগম
নবাবজাদী আমিনা বেগম বাংলার নওয়াব পরিবারের একজন ক্ষমতাশালী নবাবজাদী এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নওয়াব নবাব সিরাজ উদ-দৌলার মাতা অর্থাৎ নবাবমাতা বা রাজমাতা ছিলেন।[১]
নবাবজাদী আমিনা বেগম | |
---|---|
বাংলার নবাব এর নবাবজাদী | |
মৃত্যু | নভেম্বর ১৭৬০ ঢাকা, বাংলাদেশ |
সমাধি | |
দাম্পত্য সঙ্গী | জৈনুদ্দিন আহমদ |
বংশধর | মির্জা মেহেদী সিরাজ উদ-দৌলা |
রাজবংশ | আফসার (জন্মসূত্রে) |
পিতা | নবাব আলীবর্দি খান |
মাতা | শরফ-উন-নিসা। (সাঈদ আহমদ নিজাফির বোন এবং সাঈদ হোসাইন নিজাফির কন্যা) |
ধর্ম | ইসলাম |
প্রথম জীবন
সম্পাদনাআমিনা বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের কনিষ্ঠ কন্যা ছিলেন। তিনি জয়নউদ্দিন আহমদ খানকে বিয়ে করেন। তাদের দুই পুত্র, মির্জা মেহেদী ও সিরাজ উদ-দৌলাহ। তার পিতা তার স্বামী জয়নউদ্দিন খানকে পাটনার নওয়াব নাজিম (গভর্নর) নিযুক্ত করেন।
পেশা
সম্পাদনাতার স্বামীকে হত্যা করার পর আফগান বিদ্রোহীরা আমিনাকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি তার দুই পুত্রের সাথে বন্দী ছিলেন। তারা বাংলার নবাব আলীবর্দী খানকে উদ্ধার করে, যারা আফগানদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। তার পুত্র সিরাজ বাংলার নবাব হতে চলে আসেন। পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং তাদের সহকর্মী মীর জাফর সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করার পর আমিনা বেগম ও সিরাজের স্ত্রী, কন্যাসহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের সাথে কারাবন্দী করা হয়। বন্দিদেরকে ১৭৫৮ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে ঢাকায় (তারপর জাহাঙ্গীরনগর নামে) নির্বাসিত করা হয় এবং জিনজিরা প্রাসাদে আটকে রাখা হয়।
মৃত্যু
সম্পাদনা১৭৬০ সালে মীর জাফরের পুত্র মীরন তাদের মুক্তি দেয়ার কথা বলে মুর্শিদাবাদে ফিরে আসতে বলেন। কিন্তু এটা ছিল তার প্রবঞ্চনা। ঢাকা থেকে নৌকায় ফেরার পথে মীরনের আদেশে তাদের নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে আমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়। মুর্শিদাবাদের খোশবাগে তার পরিবারের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Khan, Abdul Majed (২০০৭)। The Transition in Bengal, 1756-75: A Study of Saiyid Muhammad Reza Khan (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 9780521049825।