খোশবাগ

মুর্শিদাবাদে অবস্থিত বাংলার নবাবদের কবরস্থান

খোশবাগ (এছাড়াও খোসবাগ; আক্ষরিক অর্থে "সুখের বাগান বা আনন্দ উদ্যান") হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুশির্দাবাদে ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরের প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত বাংলার নবাবদের কবরস্থানের বাগান।[১][২][৩][৪] খোশবাগে আফশার রাজবংশের বাংলার নবাব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কবরস্থান, অন্যদিকে জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে নাজাফি রাজবংশের মীর জাফর থেকে শুরু করে পরবর্তী নবাব ও তাদের পরিবারের কবর রয়েছে। খোশবাগ নবাব সিরাজউদ্দৌলা, তার স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নেসা, নবাব আলীবর্দি খান ও তার মায়ের কবরস্থান বা বিশ্রামস্থল।

খোশবাগ
খোশবাগে প্রবেশপথ
বিস্তারিত
অবস্থানভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২৪°০৯′৪৫″ উত্তর ৮৮°১৫′৩২″ পূর্ব / ২৪.১৬২৬১০° উত্তর ৮৮.২৫৮৯১১° পূর্ব / 24.162610; 88.258911
আয়তন৭.৬৫ একর
কবরের সংখ্যানবাব সিরাজউদ্দৌলা, লুৎফুন্নেসা বেগম, নবাব আলীবর্দি খান, আলীবর্দি খানের মা ও বাংলার নবাব পরিবারের অন্য সদস্যদের কবর
ওয়েবসাইট"Khoshbagh"। ৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২১ 

ইতিহাস সম্পাদনা

 
খোশবাগে অবস্থিত মসজিদ

কবরস্থানের বাগানটি বাংলার প্রথম নবাব নবাব আলীবর্দি খান নির্মাণ করেন। এটি প্রাচীরযুক্ত বেড়া নিয়ে গঠিত। বাইরের দেয়ালে মাস্কেট্রির জন্য গর্ত লুপ করা ছিল এবং অষ্টভুজ দুর্গ দুপাশে ছিল।[১] বাগানটিতে সিরাজউদ্দৌলা, আলীবর্দি খানসহ তাদের পরিবারের মোট ৩৪ সদস্যের কবর রয়েছে।[৫][৬]

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা বেগম মীর জাফরের হারেমে যোগ দিতে অস্বীকার করেন এবং ঢাকায় পালিয়ে আসেন। পরে তিনি মুশির্দাবাদ ফিরে আসেন, এবং কথিত আছে যে তিনি খোশবাগে সিরাজের কবর ও ১০৮ ধরনের গোলাপের যত্ন নিয়ে থাকতেন যা বেশ কয়েক বছর ধরে একসময় বাগানে ফুটেছিল। তিনি খোশবাগের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১,০০০ ভারতীয় রুপি ব্যয় করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয় এবং তার মৃত্যুর পরে ১৭৯০ সালে, তাকে তার স্বামী নবাব সিরাজউদ্দৌলার কবরের কাছে সমাধিস্থ করা হয়।[১]

বাগানটি ৭.৬৫ একর (৩.১০ হেক্টর) ভূমির ওপর অবস্থিত এবং ২,৭৪১ ফুট (৮৩৫ মি) লম্বা প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত।[১]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Information on Khushbagh"। Murshidabad.net। ৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১২ 
  2. Pratapaditya Pal; National Centre for the Performing Arts; Enamul Haque (১ নভে ২০০৩)। Bengal, sites and sights। Marg Publications। পৃষ্ঠা 151। 
  3. Bengal (Volume 86)। The Society। ১৯৬৭। 
  4. Kalikinkar Datta (১৯৬৩)। Alivardi and his times। World Press। পৃষ্ঠা 249। 
  5. "এখানে শুয়ে আছেন সিরাজ="। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২১ 
  6. "ভাঙনে অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় সিরাজের সমাধিস্থল"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • "ওয়েবসাইট"। ৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২১